সুশাসনের মানদণ্ড কোনটি?
A
জবাবদিহিতা
B
জনস্বার্থ
C
উন্নয়ন
D
জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন হলো একটি দেশের শাসনব্যবস্থার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতার প্রতীক। এটি সমাজে ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে এমনভাবে পরিচালনা করা যাতে জনগণ তার অধিকার ও সুযোগসমূহ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
Good Governance মানে হলো নির্ভুল, দক্ষ এবং কার্যকরী শাসন, যা জনগণের কল্যাণ ও দেশের স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা সুশাসনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গুরুত্ব প্রমাণ করে।
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক অর্থাৎ এটি একাধিক দিক থেকে পর্যালোচনা করা যায়, যেমন রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক।
-
সুশাসন ধারণাটি আপেক্ষিক, কারণ এটি বিভিন্ন দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে।
-
এই ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক, যা প্রথমবার ১৯৯০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশে কার্যকরী শাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
-
সুশাসনের মূল মানদণ্ড হলো জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি, অর্থাৎ জনগণ সরকারের কার্যক্রম এবং নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
সুশাসন শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ বা প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশ্ন নয়; এটি নাগরিক অধিকার রক্ষা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ন্যায় ও অন্যায়
B
ভালো ও মন্দ
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
সংজ্ঞা:
মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো কাজ বা আচরণের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, নৈতিক-অনৈতিক দিক বিচার করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও ব্যাখ্যা:
-
মূল্যবোধ একটি মানবিক গুণাবলী, যা মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল।
-
এটি সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা এবং পরিবেশে বসবাসের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিক-অনৈতিক বিচার করতে সহায়তা করে।
-
এটি আপেক্ষিক এবং সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
-
মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত উপাদানসমূহ:
-
নীতিবোধ
-
শৃঙ্খলা
-
মানবিকতা
-
সহমর্মিতা
-
সৌজন্যবোধ
-
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা
-
0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত-
Created: 1 month ago
A
গণমাধ্যম
B
সেনাবাহিনী
C
বিচার বিভাগ
D
শিক্ষক সমাজ
সুশাসন ও গণমাধ্যম
-
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
-
বর্তমান সমাজে সুশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
-
গণমাধ্যম একমাত্র ব্যবস্থা যা সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে সুসংহত করতে পারে।
-
শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
-
গণতান্ত্রিক সমাজে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা তা প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মূল্যবোধের উপাদান?
Created: 1 month ago
A
আইনের শাসন
B
সহমর্মিতা
C
সহনশীলতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধের উপাদান
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ, চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণকারী নীতি ও মানদণ্ড। এটি একটি অর্জিত বিষয়, যা সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও সামাজিক উপাদানের প্রভাবে গড়ে ওঠে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির মূল্যবোধের ধরন নির্ভর করে তার জীবনযাপন, শিক্ষা, পরিবার, সংস্কৃতি ও সমাজের উপর।
মূল্যবোধের প্রধান উপাদানগুলো হলো:
-
নীতি ও ঔচিত্যবোধ – সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করার ক্ষমতা।
-
শৃঙ্খলাবোধ – ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে নিয়ম ও বিধি মানার মানসিকতা।
-
সহনশীলতা – ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
-
সহমর্মিতা – অন্যের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করে সাহায্য করার প্রবণতা।
-
সামাজিক ন্যায়বিচার – সমাজে সমতা, ন্যায় এবং অধিকার রক্ষা করার মনোভাব।
-
শ্রমের মর্যাদা – পরিশ্রমের প্রতি সম্মান ও শ্রমিকের অধিকার স্বীকার করা।
-
আইনের শাসন – আইন অনুসরণ এবং আইনমাফিকভাবে আচরণ করার প্রবণতা।
-
নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ – নাগরিক হিসেবে দায়িত্বপূর্ণ ও সচেতন হওয়া।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতা – জনগণের কল্যাণ ও সেবায় সরকারের মনোযোগ।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা – সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
উপসংহার:
মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি, যা সততা, ন্যায়, শৃঙ্খলা এবং সহমর্মিতার মতো গুণাবলীর মাধ্যমে মানুষকে সুশাসিত ও নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
0
Updated: 1 month ago