সুশাসনের অভাবে নিম্নের কোনটি পরিলক্ষিত হয়?
A
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত
B
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি
C
দুর্নীতি বৃদ্ধি
D
বর্ণিত সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন একটি দেশের কার্যকর ও স্থায়ী পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। সুশাসনের অভাব দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে, যা সমাজ, অর্থনীতি ও প্রশাসনের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
-
দুর্নীতি বৃদ্ধি:
-
সুশাসনের অভাবে দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারকরা অবৈধ সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পায়।
-
-
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া:
-
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
-
অদক্ষ নীতি, দুর্নীতি এবং সম্পদের অপব্যবহারের কারণে সম্পদের সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয় না।
-
-
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি:
-
জনগণের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
-
জনগণ যখন অনুভব করে যে তাদের অধিকার রক্ষা হচ্ছে না এবং সরকার তাদের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ, তখন সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।
-

0
Updated: 23 hours ago
প্লেটোর 'রিপাবলিক' গ্রন্থে সুশাসনের ধারণাকে কীরূপ প্রত্যয় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে?
Created: 13 hours ago
A
একমুখী প্রত্যয়
B
দ্বিমুখী প্রত্যয়
C
সরল প্রত্যয়
D
জটিল প্রত্যয়
সুশাসন (Good Governance) সম্পর্কিত তথ্য
-
প্লেটো অনুযায়ী, সুশাসন হলো সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কযুক্ত দ্বিমুখী প্রত্যয়, যেখানে উভয়েরই দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে।
-
শব্দার্থ: সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
অর্থ: সুশাসন মানে হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
উদ্ভাবক ও প্রথম ব্যবহার: সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথমবার এটি ব্যবহার করে।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল এই শব্দটি প্রথম প্রচলিত করেন।
-
প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে সুশাসনের ধারণা প্রায়ই উল্লেখিত হয়েছে, যেখানে এটি সরকারের এবং জনগণের মধ্যে দ্বিমুখী প্রত্যয় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 13 hours ago
"রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক" - এটি কার উক্তি?
Created: 13 hours ago
A
কফি আনান
B
মহাত্মা গান্ধী
C
ইব্রাহিম গানবারি
D
মিশেল ক্যামডেসাস
সুশাসন (Good Governance) সম্পর্কিত তাত্ত্বিক মন্তব্য ও ধারণা
-
মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus) বলেছেন:
“রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।”
অর্থাৎ, একটি দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
সুশাসনের মূল ধারণা:
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP অনুযায়ী, সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে সক্ষম হয়।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে, রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সাধিত হয়।
-
এটি সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
জাতিসংঘের আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি উল্লেখ করেছেন:
“যে সমস্ত রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, শুধুমাত্র সেই সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে।”

0
Updated: 13 hours ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য নয় -
Created: 13 hours ago
A
নিয়মিত কর প্রদান
B
আইন মান্য করা
C
সন্তানদের শিক্ষাদান
D
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
সুশাসন ও নাগরিকের কর্তব্য
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করাও অপরিহার্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু সরকার সচেষ্ট হলে হবে না; নাগরিককেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যসমূহ:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন: সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা: রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
-
সন্তানদের শিক্ষাদান: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলা।
-
আইন মান্য করা: আইন এবং বিধি-নিষেধ মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন: সততার সঙ্গে ভোট প্রদান ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।
-
নিয়মিত কর প্রদান: রাষ্ট্রের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উল্লেখযোগ্য:
নাগরিকের এই কর্তব্যসমূহের যথাযথ পালনই সুশাসনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 13 hours ago