স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের অনুপস্থিতি কোনটির অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
A
সুশাসনের
B
মূল্যবোধের
C
ব্যক্তি স্বাধীনতার
D
জনসংযোগের
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীন সংবাদমাধ্যম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনগণের সঠিক তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করে এবং সুশাসনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এর কার্যকারিতা সঠিকভাবে প্রয়োগ না হলে সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি হতে পারে।
-
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়।
-
সংবাদপত্র বা মিডিয়ার স্বাধীনতা সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হলে বা কোনো দূরভিসন্ধি নিয়ে অর্ধসত্য বা অসত্য সংবাদ প্রচার করলে তা দেশ, জাতি ও সমাজের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম।
-
শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের অভাবকে সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে দেখা হয়।
-
গণমাধ্যম জনমতের মাধ্যমে সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে সুসংহত করতে সাহায্য করে।
-
স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
-
বর্তমান সময়ে সুশাসন ও গণমাধ্যমের মধ্যে গভীর সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করা যায়।
-
গণতান্ত্রিক সমাজে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং আইনশৃঙ্খলার অভাবকে গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে প্রতিহত করা যায়।
0
Updated: 1 month ago
কোন মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যাপক ব্যর্থতার ফসল হিসেবে সুশাসনের ধারণার উদ্ভব ঘটে?
Created: 1 month ago
A
আফ্রিকা মহাদেশে
B
ইউরোপ মহাদেশে
C
এশিয়া মহাদেশে
D
উত্তর আমেরিকা মহাদেশে
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা এবং এটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত। সুশাসন হলো ন্যায়নীতি অনুসারে দেশ বা রাষ্ট্রকে উত্তমভাবে, সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে শাসন করা। অন্যভাবে বলা যায়, এটি রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও শাসিত জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝায়। সুশাসন অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা যা আইনের শাসনকে নিশ্চিত করে এবং সরকারের উচ্চতর দক্ষতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের উদ্ভব: মূলত ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতার পর ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক সুশাসনের ধারণা উদ্ভব করে।
-
এটি বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে পরিচিত।
-
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সুশাসন সরকার ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা উভয়ের জন্যই লাভজনক হওয়ায় এটিকে একটি ‘Win-Win Game’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের জন্য সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনার কথা বলেছে-
Created: 1 month ago
A
জাতিসংঘ
B
বিশ্বব্যাংক
C
আইএমএফ
D
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
সুশাসন (Good Governance)
উদ্ভব ও সংজ্ঞা:
-
সুশাসনের ধারণা মূলত ১৯৮৯ সালে উদ্ভূত হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথম এই ধারণা উপস্থাপন করে।
-
বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, সুশাসন হল এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক ‘শাসন: বিশ্বব্যাংকের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসনকে চারটি কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে:
১. সরকারি খাতের কার্যকর ব্যবস্থাপনা
২. জবাবদিহিতা
৩. উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো
৪. স্বচ্ছতা ও তথ্য
সুশাসনের প্রামাণ্য সংজ্ঞা:
-
মিশেল ক্যামডেসাস: "রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।"
-
ম্যাককরনি: "সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বোঝায়।"
-
কফি আনান: "সুশাসন মানবাধিকার, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, জনপ্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং সক্ষমতাকে নিশ্চিত করে।"
-
মারটিন মিনোগ: "ব্যাপক অর্থে সুশাসন হলো উদ্যোগ ও সংস্কার কৌশলের সমষ্টি যা সরকারকে আরও গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে।"
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে?
Created: 1 month ago
A
জন মিল
B
জন লক
C
প্লেটো
D
আব্রাহাম লিংকন
গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন, যেখানে সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে। এটি আধুনিক যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারী ব্যবস্থা।
জন লক আধুনিক গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী চিন্তাবিদ:
-
ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং আলোকিত যুগের অন্যতম চিন্তাবিদ।
-
জন্ম: ১৬৩২ সালের ২৯ আগস্ট, ব্রিস্টল।
-
জ্ঞানতত্ত্বে (Epistemology) তিনি অভিজ্ঞতাবাদ (Empiricism) প্রয়োগ করেছেন এবং দার্শনিক চিন্তাধারায় মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
-
রাজনীতি সংক্রান্ত লিখিত গ্রন্থগুলো আধুনিক রাজনৈতিক দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
-
অসংখ্য দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদের উপর তার প্রভাব বিস্তৃত।
উল্লেখযোগ্য:
-
গণতন্ত্রের প্রাচীন জনক অ্যারিস্টটল।
-
ক্লিসথেনিসকে বলা হয় ‘এথেনীয় গণতন্ত্রের জনক’।
0
Updated: 1 month ago