(প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক ছিলো) ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশ সফর করেন?
A
থাইল্যান্ড
B
মিয়ানমার
C
ভিয়েতনাম
D
ভুটান
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্নটি তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। এটি এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয় তাই প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ কোনটি?
Created: 5 days ago
A
ভারত
B
শ্রীলংকা
C
মায়ানমার
D
রাশিয়া
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৬ ডিসেম্বর প্রথম দেশ হিসেবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির খবর মুজিবনগর সরকারের কাছে পৌঁছার পর ভারত দ্রুত বাংলাদেশকে দ্বিতীয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যেহেতু প্রশ্নের অপশনে ভুটান না থাকায়, তাই উত্তর হিসেবে ভারত দেওয়া যায়।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য দেশ
-
প্রথম মুসলিম দেশ যা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, তা হলো আফ্রিকার সেনেগাল।
-
এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্বীকৃতি দেয় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
-
এশিয়ার বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
প্রথম পশ্চিমা দেশ হিসেবে গ্রেট ব্রিটেন ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল স্বীকৃতি দেয়।
-
দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ভেনিজুয়েলা ২ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
ফ্রান্স ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে স্বীকৃতি দেয়।
-
ব্রাজিল ১৫ মে ১৯৭২ সালে এবং আর্জেন্টিনা ২৫ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তথ্যের উৎস: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বঙ্গভবনের শতবর্ষ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘বাংলাদেশের তারিখ’, এবং প্রথম আলো।

0
Updated: 5 days ago
মূল্য সংযোজন কর বাংলাদেশে কখন থেকে চালু করা হয়?
Created: 1 week ago
A
১ জুলাই, ১৯৯১
B
১ জুলাই, ১৯৯৩
C
১ জুলাই, ১৯৯৫
D
১ জানুয়ারি, ১৯৯৬
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)
-
মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট হলো একটি ধরনের পরোক্ষ কর যা পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রয় চক্রের প্রতিটি ধাপে যুক্ত হয়।
-
বাংলাদেশে এই কর ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯১ সালের ১ জুলাই থেকে।
-
পরবর্তীতে, ২০১২ সালে ভ্যাট আইন সংশোধিত হয়ে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২’ প্রণয়ন করা হয়, যা ১ জুলাই ২০১৯ থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর) কোথায় ছিল?
Created: 4 days ago
A
মুজিবনগর
B
থিয়েটার রোড, কলকাতা
C
কমিরগঞ্জ
D
বেনাপোল
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর) ছিল থিয়েটার রোড, কলকাতায়।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার
- মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
- মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত।
- মুক্তিযুদ্ধ শুরুর এক মাসের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
- মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে।
- বাংলার শোষিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনতার মুক্তির বাসনাকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সমর্থনের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা ছিল মুজিবনগর সরকারের স্মরণীয় সাফল্য ও কৃতিত্ব।
- স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর ছিলো স্বাধীন দেশের অস্থায়ী রাজধানী এবং সচিবালয়/সদরদপ্তর ছিলো কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোড।
⇒ মুজিবনগর সরকারের সদর দপ্তর প্রথম স্থাপিত হয় মুজিবনগরে (মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা)। পরবর্তীকালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রধানত নিরাপত্তা এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানের সুবিধার্থে এ সরকারের প্রধান কার্যালয় কলকাতায় স্থানান্তর হয়। কারণ মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণের মাত্র ২ ঘন্টা পর পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান মুজিবনগরে বোমা বর্ষণ করে এবং মেহেরপুর দখল করে নেয়।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীসভা:
- রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
- উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
- প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ,
- পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়: খন্দকার মোশতাক আহমেদ,
- অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী: ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী,
- স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়: এ এইচ এম কামরুজ্জামান,
- প্রধান সেনাপতি: কর্নেল (অব.) এম. এ. জি. ওসমানী,
- চিফ অব স্টাফ: লে. কর্নেল (অব.) আবদুর রব,
- ডেপুটি চিফ অব স্টাফ: গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
⇒ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব:
- মুজিবনগর সরকার শাসনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় গঠন করে।
- মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে।
- মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করে।
- এই সরকার গঠনের পর থেকে অগণিত মানুষ দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
- মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে এই যুদ্ধের জনমত গড়ে তোলা ও সমর্থন আদায় করার ক্ষেত্রে এই সরকার বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 4 days ago