জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (ECNEC) সভাপতি কে?
A
অর্থমন্ত্রী
B
প্রধানমন্ত্রী
C
পরিকল্পনা মন্ত্রী
D
রাষ্ট্রপতি
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা ECNEC হলো সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী সংস্থা, যা জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প অনুমোদনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
-
পূর্ণরূপ: The Executive Committee of the National Economic Council
-
এটি সরকারের দ্বিতীয় শক্তিশালী কমিটি হিসেবে বিবেচিত হয়
-
এই কমিটির সভাপতি দেশের প্রধানমন্ত্রী
-
অর্থমন্ত্রী বিকল্প চেয়ারম্যান বা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন
-
কমিটির সদস্যরা সরকার প্রধান কর্তৃক মনোনীত হয়ে থাকেন

0
Updated: 1 day ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যম কোন প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়?
Created: 2 weeks ago
A
চারুকলা ইন্সটিটিউট
B
বাংলা একাডেমী
C
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট
D
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি
বাংলা একাডেমী বাংলা ভাষা সংক্রান্ত দেশের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।
-
বাংলা একাডেমীর জন্ম হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং দেশের মুসলিম মধ্যবিত্তের জাগরণ ও আত্মপরিচয় বিকাশের প্রেরণায়।
-
১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব-পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে শহীদুল্লাহ্ মূল সভাপতির অভিভাষণে একটি একাডেমি গড়ার কথা উল্লেখ করেন।
-
১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবার বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
-
দ্বিতীয়বার যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে বাংলা একাডেমীর উদ্বোধন করেন।
-
এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বাস্তব রূপ পায়।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি কোন রাজ্যটি অধিকার করেন?
Created: 1 week ago
A
অযোধ্যা
B
পাঞ্জাব
C
হায়দ্রাবাদ
D
নাগপুর
স্বত্ববিলোপ নীতি ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী নীতি, যার মূল কথা হলো: ব্রিটিশ শাসনাধীন কোনো আশ্রিত রাজ্যের রাজা যদি অপুত্রক অবস্থায় মারা যান এবং তার রাজবংশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকে, তাহলে সেই রাজ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবে। এই নীতির মাধ্যমে সাঁতারা, নাগপুর, ঝাঁসি ও সম্বলপুর রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম সাঁতারা রাজ্যের উপর এই নীতি প্রয়োগ করেন। সাঁতারার রাজা ইংরেজদের অনুমতি ছাড়াই দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৮ সালে রাজা মারা গেলে ডালহৌসি দত্তক পুত্রের দাবি অগ্রাহ্য করে সাঁতারা রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
সম্বলপুর রাজ্যও অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যুর পর ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
-
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভোঁসলে বংশের শেষ রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে, নাগপুর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এটি ইংরেজদের জন্য কলকাতা থেকে বোম্বাই (মুম্বাই) যাতায়াতের পথ সরল করতে সহায়ক হয়।
-
একই বছরের মধ্যে ঝাঁসির রাজা মৃত্যুর পর দত্তক পুত্রের দাবি অস্বীকার করে ডালহৌসি ঝাঁসীকেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
এভাবে শতদ্রু নদীর নিকট ভগৎ রাজ্য, মধ্যপ্রদেশে উদয়পুর, রাজস্থানে করৌলি প্রভৃতি রাজ্যও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান- [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
১ম
B
২য়
C
৩য়
D
৪র্থ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন
-
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হয় ১৯৪৮ সালে।
-
জাতিসংঘের নিজস্ব শান্তিরক্ষা বাহিনী নেই; সদস্য সংগ্রহ করা হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে।
-
১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
-
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ দুটি অপারেশনে অংশগ্রহণ করে:
-
ইরাক-ইরান (UNIIMOG)
-
নামিবিয়া (UNTAG)
-
-
UNIIMOG মিশনে ১৫ জন সদস্য প্রেরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হলো নেপাল।
-
নেপালের মোট শান্তিরক্ষী: ৬,১১৯ জন
-
-
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রুয়ান্ডা।
-
বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে, পাঁচ হাজার ৬৮৬ জন শান্তিরক্ষী পাঠানো সহ।

0
Updated: 2 weeks ago