বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সমন্বয়কারী কোন সংস্থা?
A
জাইকা
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম হলো দেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং দাতাদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ফোরামের সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিলো বাংলাদেশ এইড গ্রুপ।
পরে ১৯৯৭ সালে এর নাম পরিবর্তন হয়ে ‘প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ’ রাখা হয় এবং ২০০২ সালে এটি ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রথম দিকে এই ফোরামের বৈঠক প্যারিসে আয়োজিত হতো, তবে ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিতভাবে ঢাকায় বৈঠক করা হয়।
উৎস: ইআরডি ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কত সালে বাংলাদেশকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে?
Created: 3 months ago
A
১৯৯৮
B
২০০৪
C
২০১৪
D
২০১৯
বাংলাদেশ এখন পোলিওমুক্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিও মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে আর নতুন কোনো পোলিও রোগীর খোঁজ মেলেনি। কিন্তু, পাশের দেশ ভারত তখনও পোলিও মুক্ত হয়নি বলে বাংলাদেশকেও তখনই পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
WHO সাধারণত একটি নির্দিষ্ট দেশকে আলাদাভাবে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে না। বরং, পুরো অঞ্চল বিবেচনা করে ঘোষণা দেয়, কারণ ভাইরাস এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯৭০ ও ৮০’র দশকে বাংলাদেশে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এরপর ১৯৭৯ সালে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চালু হয়। এর ফলেই নব্বইয়ের দশক থেকে পোলিওর বিরুদ্ধে ভালো অগ্রগতি দেখা যায় এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়।
পোলিও কীভাবে ছড়ায় এবং কী বিপদ ডেকে আনে?
পোলিও একটি আরএনএ ভাইরাসজনিত রোগ, যার নাম পোলিওমাইলাইটিস। এটি সাধারণত শিশু-কিশোরদের আক্রান্ত করে।
রোগটি মূলত রোগীর মলমূত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত সংক্রমণের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ছড়ায়, তবে ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। মলমূত্র দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
এই রোগে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের স্নায়ু আক্রান্ত হয়। এতে পক্ষাঘাত বা এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
পোলিওর কোনো চিকিৎসা নেই, তবে টিকাই একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তাই শিশুকে নিয়মিত টিকা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ওয়েবসাইট
0
Updated: 3 months ago
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কোন সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
Created: 1 month ago
A
তমদ্দুন মজলিস
B
ভাষা পরিষদ
C
মাতৃভাষা পরিষদ
D
আমরা বাঙালি
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ছিল ইসলামী আদর্শভিত্তিক একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা ভারত বিভাজনের পরপরই ঢাকায় গঠিত হয়।
সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও ইসলামী আদর্শ সমুন্নত রাখা। ভাষা আন্দোলনের প্রথম ভিত্তি গড়ে তোলার কৃতিত্বও এই সংগঠনের।
-
প্রতিষ্ঠা: ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ও অধ্যাপকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
উদ্দেশ্য: বাংলা ভাষার মাধ্যমে সংস্কৃতির সেবা করা এবং ইসলামী ভাবধারা প্রচার করা।
-
প্রতিষ্ঠাতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম, যিনি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
-
মুখপত্র: সাপ্তাহিক “সৈনিক” পত্রিকা; প্রথম প্রকাশিত হয় ১৪ নভেম্বর ১৯৪৮।
-
বিশেষ প্রকাশনা: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?” শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে, যা ভাষা আন্দোলনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
0
Updated: 1 month ago
আইন ও সালিশ কেন্দ্র কী ধরণের সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
অর্থনৈতিক
B
মানবাধিকার
C
ধর্মীয়
D
খেলাধুলা
আইন ও সালিশ কেন্দ্র
-
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বা আসক হলো বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র মানবাধিকার সংস্থা, যা আইনি সহায়তা প্রদান করে।
-
সংস্থাটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠা কালে এর ৯ জন সদস্য ছিলেন।
-
আসক মূলত ঢাকা শহরের সুবিধাবঞ্চিত নারী, কর্মজীবী শিশু এবং শ্রমিকদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান শুরু করেছিল।
-
সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো: সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং লিঙ্গভিত্তিক সমতার মাধ্যমে আইনের শাসন বজায় রাখা।
উৎস: আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago