সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে কার সম্পর্ককে বুঝায়?
A
শাসিত জনগণের
B
শাসিতের
C
সুশীল সমাজের
D
শাসকের
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance)
ধারণা ও সংজ্ঞা:
কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা: 'সুশাসন' একটি আদর্শ বা কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন। এটি এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে ন্যায়নীতি, উত্তমতা, সুষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতার সাথে দেশ বা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
সম্পর্কের প্রতিফলন: অন্যভাবে বলা যায়, সুশাসন রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের এবং শাসকের সাথে শাসিতের ইতিবাচক ও কার্যকর সম্পর্ককে নির্দেশ করে।
মূলনীতি: সুশাসন মূলত অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল এবং ন্যায়সঙ্গত একটি ব্যবস্থা যা আইনের শাসনকে নিশ্চিত করে।
দক্ষতা: এটিকে সরকারের একটি উচ্চতর দক্ষতা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
উদ্ভব ও প্রেক্ষাপট:
বিশ্বব্যাংকের ধারণা: ১৯৮৯ সালে ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের কিছু কার্যক্রমে ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের ধারণাটি সামনে নিয়ে আসে।
"বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন": সুশাসনের ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের একটি 'প্রেসক্রিপশন' বা সুপারিশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
উন্নয়নের এজেন্ডা: আশির দশকের শেষার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের একটি অপরিহার্য অংশ (agenda) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
সুশাসনের তাৎপর্য:
অংশগ্রহণ ও লাভ: সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে কার্যকর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পায় এবং উভয় পক্ষই লাভবান হয়।
"Win-Win Game": এই পারস্পরিক সুবিধা ও অংশগ্রহণের কারণেই সুশাসনকে সরকার ও জনগণের জন্য একটি "Win-Win Game" (উভয়ের জয়) হিসেবে অভিহিত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ই-গভর্নেন্স এর মূল লক্ষ্য?
Created: 1 month ago
A
দুর্নীতি রোধ
B
দারিদ্র বিমোচন
C
সুশাসন প্রতিষ্ঠা
D
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
ই-গভর্নেন্স (E-Governance) হলো আধুনিক প্রশাসন ও সুশাসনের ডিজিটাল বাস্তবায়ন, যা সরকারের কার্যক্রমকে জনগণের কাছে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং কার্যকর করে।
-
শাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Governance।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
ই-গভর্নেন্স এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক গভর্নেন্স (Electronic Governance)।
-
এর মূল বাহন হলো ইন্টারনেট।
-
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
এটি সর্বস্তরের মানুষের কাছে সরকারি সেবা প্রাপ্তির জানালা উন্মোচন করে।
-
ই-গভর্নেন্স সরকার ও জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য এবং দক্ষ আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করে।
-
এটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী ও উচ্চমানের জনকল্যাণ প্রদানের প্রতিফলন ঘটায়।
0
Updated: 1 month ago
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 month ago
A
গ্রামীণ জনগণের ক্ষমতায়ন
B
সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা
C
তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা
D
দ্রুত ও দক্ষ সেবা প্রদান
ই-গভর্নেন্স
E-Governance বা Electronic Governance হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি আধুনিক ব্যবস্থা। এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি কার্যকর উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য হলো দেশের শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
-
ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে একজন নাগরিক স্বল্প খরচে, ঝামেলাবিহীনভাবে, সপ্তাহের সাত দিন, দিনে ২৪ ঘন্টা সরকারি সেবা পেতে পারে।
-
এর ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়, দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং সুশাসন নিশ্চিত হয়।
-
ই-গভর্নেন্সের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
সরকারের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা।
-
সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা।
-
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ই-গভর্নেন্স এর মূল লক্ষ্য?
Created: 1 month ago
A
দুর্নীতি রোধ
B
দারিদ্র বিমোচন
C
সুশাসন প্রতিষ্ঠা
D
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
ই-গভর্নেন্স (E-Governance) হলো আধুনিক প্রশাসন ও সুশাসনের ডিজিটাল বাস্তবায়ন, যা সরকারের কার্যক্রমকে জনগণের কাছে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং কার্যকর করে।
-
শাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Governance।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
ই-গভর্নেন্স এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক গভর্নেন্স (Electronic Governance)।
-
এর মূল বাহন হলো ইন্টারনেট।
-
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
এটি সর্বস্তরের মানুষের কাছে সরকারি সেবা প্রাপ্তির জানালা উন্মোচন করে।
-
ই-গভর্নেন্স সরকার ও জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য এবং দক্ষ আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করে।
-
এটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী ও উচ্চমানের জনকল্যাণ প্রদানের প্রতিফলন ঘটায়।
0
Updated: 1 month ago