IoT (Internet of Things) ডিভাইস সাধারণত বড় পরিমাণে ডেটা উৎপন্ন করে, যা সরাসরি ক্লাউডে পাঠালে ব্যান্ডউইথ সমস্যা ও সময় বিলম্ব ঘটতে পারে। এই সমস্যা কমাতে Edge Computing প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এটি IoT ডিভাইসের কাছাকাছি বা স্থানীয় সার্ভারে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম, ফলে ডেটার রিয়েল-টাইম বিশ্লেষণ সম্ভব হয় এবং লেটেন্সি কমে। এছাড়া, স্থানীয়ভাবে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কারণে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, Blockchain ডেটার নিরাপত্তা বাড়ায়, 5G দ্রুত সংযোগ দেয় এবং Cloud Storage ডেটা সংরক্ষণে সাহায্য করে, কিন্তু এগুলো স্থানীয় প্রক্রিয়াকরণ সরাসরি করে না। সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ক) Edge computing।
• IoT (Internet of Things)
-
IoT হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বস্তু বা ডিভাইস ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
-
এর মূল লক্ষ্য হলো ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যমে মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ সম্পাদন করা।
-
উদাহরণস্বরূপ, একটি স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, অথবা একটি স্মার্ট লাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে ও নিভে যেতে পারে।
-
IoT ডিভাইসগুলো দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য, যা ব্যবহারকারীকে যেকোনো স্থান থেকে যন্ত্রপাতি পরিচালনার সুবিধা দেয়।
-
সেন্সরের মাধ্যমে ডেটা সংগ্রহ করে AI বা মেশিন লার্নিং দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরও সহজ হয়।
• Edge computing
-
Edge computing-এর মূল লক্ষ্য হলো ডেটা উৎসের কাছাকাছি কম্পিউটিং প্রসেসিং করা, যেমন সেন্সর, IoT ডিভাইস বা স্মার্টফোন।
-
এর ফলে ডেটা ক্লাউড বা সেন্ট্রাল সার্ভারে পাঠানোর পূর্বেই প্রাথমিক প্রসেসিং সম্পন্ন হয়।
-
Latency কমে: ডেটা দ্রুত প্রসেস হওয়ায় রিয়েল-টাইম রেসপন্স সম্ভব।
-
Bandwidth খরচ কমে: সব ডেটা ক্লাউডে পাঠানোর প্রয়োজন হয় না।
-
Security বাড়ে: লোকালি ডেটা প্রসেসিং-এর মাধ্যমে ট্রান্সমিশনের ঝুঁকি কমে।
-
Cloud storage খরচ কমে, তবে এটি প্রাথমিক উদ্দেশ্য নয়, বরং একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।