ইউটিলিটি সফটওয়্যার হলো সেই ধরনের প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ায়, ডেটা নিরাপদ রাখে এবং হারানো তথ্য পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। এটি মূলত সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) এর বিপরীতে ইউটিলিটি সফটওয়্যার সরাসরি ডেটা সংরক্ষণ বা পরিচালনা করে না; এটি সিস্টেমকে সুষ্ঠুভাবে চলতে সাহায্য করে। তাই DBMS ইউটিলিটি সফটওয়্যার নয়।
ইউটিলিটি সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য:
-
সিস্টেম সফটওয়্যারের অংশ হিসেবে রুটিন কাজ এবং সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ করে।
-
নতুন ফাইল তৈরি, পুরানো ফাইল মুছে ফেলা, ডিস্ক ফরম্যাট করা ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
কম্পিউটারের পারফরম্যান্স উন্নত করে এবং ডেটা নিরাপদ রাখে।
উদাহরণ:
-
Antivirus Software – ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষা।
উদাহরণ: Norton, McAfee, Avast। -
File Management Tools – ফাইল সংগঠন ও অনুসন্ধান।
উদাহরণ: Windows File Explorer, Total Commander। -
Disk Cleanup & Defragmentation Tools – ডিস্কের জায়গা খালি করা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি।
উদাহরণ: Windows Disk Cleanup, Defraggler। -
Backup Software – ডেটার কপি তৈরি করে পুনরুদ্ধারের জন্য।
উদাহরণ: Acronis True Image, Google Drive Backup। -
Compression Tools – ফাইলের আকার ছোট করা।
উদাহরণ: WinRAR, 7-Zip। -
Firewall Software – নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা।
উদাহরণ: Windows Defender Firewall, ZoneAlarm। -
System Monitoring Tools – সিস্টেম পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ।
উদাহরণ: Task Manager, CPU-Z। -
Driver Update Tools – হার্ডওয়্যার ড্রাইভার আপডেট রাখা।
উদাহরণ: Driver Booster, Snappy Driver Installer। -
Registry Cleaners – Windows রেজিস্ট্রি অপ্টিমাইজ ও মেরামত।
উদাহরণ: CCleaner, Wise Registry Cleaner। -
Clipboard Managers – ক্লিপবোর্ডের কার্যকারিতা বাড়ানো।
উদাহরণ: Ditto, ClipMate।