বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত সদস্যের উপস্থিতিতে?
A
৫৭ জন
B
৬০ জন
C
৬২ জন
D
৬৫ জন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কোরাম
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম সদস্যসংখ্যা অর্থাৎ কোরামের প্রয়োজন হয়। সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্তত ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত না থাকলে সংসদের কার্যক্রম বৈধভাবে চলতে পারে না।
সংসদ অধিবেশনের সময় যদি কোনো পর্যায়ে ৬০ জনের কম সদস্য উপস্থিত থাকার বিষয়টি সভাপতির নজরে আনা হয়, সেক্ষেত্রে তিনি অধিবেশন মুলতবি কিংবা স্থগিত করতে বাধ্য থাকবেন যতক্ষণ না নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য উপস্থিত হন।
কোরাম কী?
কোরাম বলতে বোঝায়, একটি বৈধ সভা পরিচালনার জন্য পূর্বনির্ধারিত ন্যূনতম সংখ্যক ভোটাধিকারপ্রাপ্ত সদস্যের উপস্থিতি। এই সংখ্যা সংশ্লিষ্ট সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হয় এবং সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তা বজায় রাখা আবশ্যক।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
(প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক ছিলো) বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদে কোন সদস্য নিজেই নিজের কাছে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন?
Created: 1 month ago
A
বেগম খালেদা জিয়া
B
শেখ হাসিনা
C
জমির উদ্দীন সরকার
D
আবদুল হামিদ
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়াবলি নির্ধারিত রয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের জন্য বিদায়ী স্পিকারের,
অথবা তার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকারের, সামনে উপস্থিত হয়ে শপথ নিতে হয় এবং একইসঙ্গে শপথনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।
এই নিয়ম অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা সাধারণত বিদায়ী স্পিকারের কাছে শপথ গ্রহণ করেন। তবে কিছু ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে।
যেমন, অষ্টম জাতীয় সংসদে আবদুল হামিদ নিজেই ছিলেন বিদায়ী স্পিকার এবং একইসঙ্গে পুনরায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ফলে তিনি নিজেই নিজের শপথ বাক্য পাঠ করেন।
একইভাবে, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়ে নিজেই শপথ গ্রহণ করেন, কারণ তিনি তখন বিদায়ী স্পিকারের দায়িত্বে ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের পর পর দুই অধিবেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ বিরতি থাকে -
Created: 3 days ago
A
৩০ দিন
B
৪৫ দিন
C
৬০ দিন
D
৯০ দিন
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, যা দেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন ক্ষমতা প্রয়োগ করে। সংসদ গঠিত হয় প্রতি নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি নির্বাচিত ৩০০ জন সদস্যের সমন্বয়ে, এবং এর মেয়াদ ৫ বছর।
-
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের পর পর দুই অধিবেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বিরতি থাকতে পারে।
-
একাধিক সদস্য যদি ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকেন, তবে তাদের সংসদ সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।
-
রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ করতে পারেন।
-
সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ আহ্বান করা হয়।
-
দেশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক হুমকি থাকলে সর্বোচ্চ ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যেতে পারে।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
৭ মার্চ ১৯৭৩ খ্রি.
B
৭ এপ্রিল ১৯৭৩ খ্রি.
C
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ খ্রি.
D
৭ ডিসেম্বর ১৯৭২ খ্রি.
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচন ও উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ মার্চ ১৯৭৩।
-
তখন ৩০০টি আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
-
মহিলা আসন সংরক্ষিত ছিল ১৫টি।
-
নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এম. ইদ্রিস।
-
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করে।
-
বঙ্গবন্ধু ঢাকা-১২ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন।
-
প্রথম সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন মুহম্মদুল্লাহ এবং ডেপুটি স্পিকার হন বায়তুল্লাহ।
-
পরে মুহম্মদুল্লাহ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আবদুল মালেক উকিল স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নেন।
উল্লেখযোগ্য পরবর্তী ঘটনা:
-
দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯।
-
তখন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ৩০টি।
-
এই সংসদেই প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ ভোটে একজন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, যিনি ছিলেন সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ (খুলনা-১৪)।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র), SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 weeks ago