টিকা হলো এমন একটি নিষ্ক্রিয় পরিদ্রুত সাসপেনশন, যা প্রাণিদেহে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গঠন করতে সাহায্য করে। টিকায় থাকা অণুজীবগুলো (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া) হতে পারে জীবিত, অর্ধমৃত বা মৃত। এই অণুজীবগুলো এমনভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয় যাতে এগুলো রোগ সৃষ্টি না করে, কিন্তু দেহের অ্যান্টিবডি উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।
টিকার প্রকারভেদ:
১। নিষ্ক্রিয়কৃত জীবাণু জীবন্ত টিকা (Attenuated live vaccine):
-
ক্ষতিকর বৈশিষ্ট্যগুলো দূর্বল বা নিষ্ক্রিয় করে তৈরি জীবিত জীবাণু ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণ: BCG, হাম, মাম্পস, পোলিও, জলাতঙ্ক, যক্ষ্মা, গুটিবসন্ত, প্লেগ, টাইফয়েড।
২। মৃত জীবাণুভিত্তিক টিকা (Killed vaccine):
-
মৃত জীবাণু ব্যবহার করে তৈরি টিকা।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা, কলেরা।
৩। নিষ্ক্রিয় বিষভিত্তিক টিকা (Toxoid vaccine):
-
জীবাণু নিঃসৃত টক্সয়েড ব্যবহার করে তৈরি।
-
উদাহরণ: ডিপথেরিয়া, টিটেনাস (ধনুষ্টংকার)।
৪। দেহ তলের রাসায়নিক বস্ত (Surface chemical molecule):
-
সংক্রমণকারী জীবাণুর দেহ তলের রাসায়নিক অংশ (নির্দিষ্ট প্রোটিন) আলাদা করে টিকা তৈরি করা হয়।
-
উদাহরণ: হেপাটাইটিস-B, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস।
৫। ডিএনএ টিকা (DNA vaccine):
-
রিকমবিনেন্ট DNA প্রযুক্তির মাধ্যমে DNA ব্যবহার করে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়।