চৌম্বক ক্ষেত্রের এস.আই (S.I) একক কী?
A
ওহম
B
টেসলা
C
লুমেন
D
ওয়েবার
উত্তরের বিবরণ
চৌম্বক ক্ষেত্র হলো কোনো তড়িৎবাহী তারের চারপাশে সৃষ্টি হওয়া সেই অঞ্চল যেখানে একটি চুম্বক শলাকা প্রতিক্রিয়া দেখায়। যখন লম্বা সোজা পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করা হয়, তখন এর চারপাশে যে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়, তা চুম্বক শলাকার সাহায্যে চৌম্বক ক্ষেত্র রেখা বা চৌম্বক আবেশ রেখা আকারে প্রদর্শন করা যায়। এই রেখাগুলোকে চৌম্বক বলরেখা বলা হয়।
-
লম্বা সোজা পরিবাহীর জন্য কোনো বিন্দুতে চৌম্বক ক্ষেত্রের মান:
• পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের সমানুপাতিক।
• বিন্দু থেকে পরিবাহীর দূরত্বের ব্যস্তানুপাতিক। -
টেসলা (T) হলো চৌম্বক ক্ষেত্রের এস.আই. একক, যার নামকরণ করা হয়েছে বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার অনুসারে।
-
একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের মান নির্ণয় করা হয় এমনভাবে: এক কুলম্ব (C) আধানের একটি চার্জ, চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে সমকোণে 1 m/s বেগে গতি করলে যদি 1 N বল অনুভব করে, সেই ক্ষেত্রের মান 1 টেসলা।
-
কোনো চুম্বক বা গতিশীল চার্জের চারপাশে যে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়, তাকে তার চৌম্বক ক্ষেত্র বলা হয়।
-
চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্ণয় করতে একটি চুম্বক শলাকার উত্তর মেরু কোন দিকে নির্দেশ করে তা দেখা হয়। তড়িৎবাহী তারের ক্ষেত্রে ফ্লেমিঙের দক্ষিণ হস্ত নিয়ম ব্যবহার করে চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্ণয় করা হয়।
অন্য এককসমূহ:
-
লুমেন → আলোক প্রবাহের একক।
-
ওহম → বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রতিরোধের একক।
-
ওয়েবার → চৌম্বক ফ্লাক্সের (মোট চৌম্বক প্রবাহ) একক, চৌম্বক ক্ষেত্র নয়।

0
Updated: 11 hours ago
প্যারা চৌম্বক পদার্থ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
সোনা
B
পানি
C
সোডিয়াম
D
নিকেল
চৌম্বক পদার্থের প্রকারভেদ
১. ফেরোচৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic Materials)
সংজ্ঞা: যে পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে মিল থাকে।
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট।
২. প্যারাচৌম্বক পদার্থ (Paramagnetic Materials)
সংজ্ঞা: যে পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দূর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং চুম্বকের দিকে মুখ করতে চায়।
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন।
৩. ডায়াচৌম্বক পদার্থ (Diamagnetic Materials)
সংজ্ঞা: যে পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়।
চুম্বকায়নের অভিমুখ: বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের বিপরীত দিকে।
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago
অচৌম্বক পদার্থ নিচের কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
লোহা
B
কোবাল্ট
C
ইস্পাত
D
তামা
চৌম্বক পদার্থ:
-
যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যাদের চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, তাই এদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বা ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলা হয়। ("ফেরো" শব্দের অর্থ লোহা)
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
অচৌম্বক পদার্থ:
-
যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যাদের চুম্বকে পরিণত করা যায় না, তাদেরকে অচৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার ইত্যাদি।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 3 weeks ago
ম্বক শলাকাকে যদি এর ভারকেন্দ্রে অনুভূমিকভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, এটি কোন দিকে মুখ করে থাকবে?
Created: 3 weeks ago
A
উপরে-নিচে
B
উত্তর-দক্ষিণ
C
পূর্ব-পশ্চিম
D
যেকোনো দিক
চুম্বকত্ব
চুম্বক: যে বস্তু অন্য বিশেষ ধর্ম বিশিষ্ট বস্তুকে আকর্ষণ করতে পারে এবং যাকে মুক্তভাবে ঝুলিয়ে দিলে সাম্যাবস্থায় একটি নির্দিষ্ট দিকে (উত্তর–দক্ষিণ) মুখ করে থাকে, তাকে সাধারণভাবে চুম্বক বলা হয়।
চুম্বকত্ব: যে ধর্মের কারণে একটি চুম্বক অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে, সেই ধর্মকে চুম্বকত্ব বলা হয়। এটি পদার্থের একটি ভৌত ধর্ম।
কৃত্রিম চুম্বক: কোনো পদার্থকে কৃত্রিমভাবে চুম্বকে পরিণত করলে তার ভর, ঘনত্ব, আয়তন বা তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না।
চৌম্বক পদার্থ: যেসব বস্তু চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত বা বিকর্ষিত হয়, তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
যেমন: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
চুম্বকের অবস্থান: একটি চুম্বক শলাকাকে তার ভারকেন্দ্রে ঝুলিয়ে দিলে শলাকাটি সর্বদা উত্তর–দক্ষিণ দিকে মুখ করে।
ভূ-চুম্বকত্ব: সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে রানী এলিজাবেথের গৃহচিকিৎসক ড. গিলবার্ট প্রথম প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী নিজেই একটি বড় চুম্বক। পৃথিবীর এ চুম্বকত্বকে ভূ-চুম্বকত্ব বলা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago