নিচের কোন পরমাণুতে নিউট্রন অনুপস্থিত?
A
হিলিয়াম
B
অক্সিজেন
C
হাইড্রোজেন
D
নাইট্রোজেন
উত্তরের বিবরণ
পরমাণু আর কণিকাগুলোর গঠন এমনভাবে বোঝা যায় যে, পরমাণু আর কণিকাগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। পরমাণু আর কণিকাগুলো মূলত অতিসূক্ষ্ম উপাদান থেকে গঠিত, যেগুলোকে আর বিভাজন করা যায় না এবং এগুলোকে পরমাণুর মূল কণিকা বলা হয়।
-
পরমাণুর মূল কণিকা কয়েক ধরনের হয়।
-
স্থায়ী মূল কণিকা:
-
প্রতিটি মৌলের পরমাণুতে থাকা ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন স্থায়ী মূল কণিকা হিসেবে পরিচিত।
-
বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন হাইড্রোজেন পরমাণুতে শুধু ১টি ইলেকট্রন ও ১টি প্রোটন থাকে, নিউট্রন নেই।
-
-
অস্থায়ী মূল কণিকা:
-
কিছু কণিকা নির্দিষ্ট মৌলের পরমাণুতে অস্থায়ীভাবে খুব স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যমান থাকে।
-
এ ধরনের কণিকার সংখ্যা প্রায় ১০০।
-
নিউট্রিনো, অ্যান্টি নিউট্রিনো, পজিট্রন, মেসন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য অস্থায়ী মূল কণিকা।
-
-
কম্পোজিট কণিকা:
-
স্থায়ী ও অস্থায়ী কণিকা ছাড়াও পরমাণুতে আরও কিছু কণিকা থাকে, যেগুলোকে কম্পোজিট কণিকা বলা হয়।
-
উদাহরণ হিসেবে আলফা কণিকা ও ডিউটেরন কণিকা উল্লেখযোগ্য।
-
0
Updated: 1 month ago
কোন কণার আপেক্ষিক আধান শূন্য?
Created: 2 months ago
A
নিউট্রন
B
পজিট্রন
C
প্রোটন
D
ইলেকট্রন
মৌলিক কণিকা হলো সেই সূক্ষ্ম কণিকা যেগুলো দ্বারা পরমাণু গঠিত হয়।
-
পরমাণুর মৌলিক কণিকা তিনটি: ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন।
-
স্বাভাবিক অবস্থায় পরমাণুর প্রোটন ও ইলেকট্রনের সংখ্যা সমান থাকে।
-
নিউট্রনের সংখ্যা কখনো প্রোটনের সমান আবার কখনো বেশি হতে পারে।
-
পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস, যেখানে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
নিউট্রন:
-
নিউট্রন হলো আধানহীন বা চার্জ-নিরপেক্ষ কণা।
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করেন।
-
নিউট্রনের ভর প্রায় প্রোটনের ভরের সমান।
-
প্রতীক: n।
-
প্রকৃত ভর: 1.675 × 10⁻²⁴ g।
-
আপেক্ষিক আধান: ০।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন ছাড়া সব পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন থাকে।
0
Updated: 2 months ago
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে কোন কণা পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
ইলেকট্রন
B
পজিট্রন
C
প্রোটন
D
নিউট্রন
প্রোটন হলো পরমাণুর একটি মৌলিক কণিকা, যা সব মৌলের পরমাণুর কেন্দ্রে (নিউক্লিয়াসে) অবস্থান করে এবং ধনাত্মক আধান বহন করে।
প্রোটন সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রোটনও ইলেকট্রনের মতো সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
এটি সবসময় পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক বিদ্যুৎবাহী কণা পাওয়া যায় তাকেই প্রোটন বলে।
-
প্রোটনের সংকেত হলো H+ অথবা P।
-
প্রোটনের আসল ভর প্রায় 1.67 × 10⁻²⁴ g।
-
প্রোটনের আধান হলো 1.60 × 10⁻¹⁹ C।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক ভর 1 একক।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক আধান +1।
0
Updated: 1 month ago
২য় শেল (L-শেল) সর্বাধিক কতটি ইলেকট্রন ধারণ করতে পারে?
Created: 1 month ago
A
18
B
2
C
8
D
32
বোর তত্ত্ব অনুযায়ী, পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ নিউক্লিয়াসের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথ বা শক্তিস্তরে অবস্থান করে। প্রতিটি শক্তিস্তরকে প্রধান শক্তিস্তর বলা হয় এবং এগুলোকে n দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
ইলেকট্রন বিন্যাস সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রতিটি ইলেকট্রন তার শক্তি অনুযায়ী নিউক্লিয়াসের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান এবং শক্তি কম হলে কেন্দ্রে বেশি কাছে থাকে।
-
পরমাণুতে একাধিক প্রধান শক্তিস্তর থাকে।
-
প্রধান শক্তিস্তরসমূহ:
-
n = 1 → ১ম শক্তিস্তর বা K-শেল (নিউক্লিয়াসের সবচেয়ে নিকটবর্তী)
-
n = 2 → ২য় শক্তিস্তর বা L-শেল
-
n = 3 → ৩য় শক্তিস্তর বা M-শেল
-
n = 4 → ৪র্থ শক্তিস্তর বা N-শেল
-
-
নিউক্লিয়াস থেকে শেলগুলোর দূরত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়, আর দূরত্ব যত বেশি, শক্তি তত বেশি।
-
ইলেকট্রন সর্বদা কম শক্তিসম্পন্ন স্তরে অবস্থান করতে চায়, তবে শক্তি শোষণের মাধ্যমে উচ্চ শক্তি স্তরে যেতে পারে।
-
প্রতিটি শেলের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন সংখ্যা 2n² দ্বারা নির্ধারিত।
-
১ম শেল (K-শেল, n = 1): 2 × (1)² = 2 ইলেকট্রন
-
২য় শেল (L-শেল, n = 2): 2 × (2)² = 8 ইলেকট্রন
-
৩য় শেল (M-শেল, n = 3): 2 × (3)² = 18 ইলেকট্রন
-
৪র্থ শেল (N-শেল, n = 4): 2 × (4)² = 32 ইলেকট্রন
-
0
Updated: 1 month ago