(প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক ছিলো) বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদে কোন সদস্য নিজেই নিজের কাছে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন?
A
বেগম খালেদা জিয়া
B
শেখ হাসিনা
C
জমির উদ্দীন সরকার
D
আবদুল হামিদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়াবলি নির্ধারিত রয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের জন্য বিদায়ী স্পিকারের,
অথবা তার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকারের, সামনে উপস্থিত হয়ে শপথ নিতে হয় এবং একইসঙ্গে শপথনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।
এই নিয়ম অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা সাধারণত বিদায়ী স্পিকারের কাছে শপথ গ্রহণ করেন। তবে কিছু ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে।
যেমন, অষ্টম জাতীয় সংসদে আবদুল হামিদ নিজেই ছিলেন বিদায়ী স্পিকার এবং একইসঙ্গে পুনরায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ফলে তিনি নিজেই নিজের শপথ বাক্য পাঠ করেন।
একইভাবে, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়ে নিজেই শপথ গ্রহণ করেন, কারণ তিনি তখন বিদায়ী স্পিকারের দায়িত্বে ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা কত?
Created: 4 weeks ago
A
৫০
B
২৫
C
৩০
D
৪০
• বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৫০ টি।
• সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে বর্তমানে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৫০টি এবং সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ:
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলায় আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।
- বাংলাদেশের সংসদ একটি এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা যা ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।
- যার মধ্যে ৩০০টি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার ৩০০ জন সদস্য যা প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন করে।
- অবশিষ্ট ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
- ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য এই বিধান নবম সংসদের শুরু থেকে দশ বছর অব্যাহত থাকবে।
- ১৭তম সংশোধনী অনুযায়ী, ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ দশম সংসদের শুরু থেকে আরও ২৫ বছরে বৃদ্ধি পাবে।
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪৮টি রয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 weeks ago
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত সদস্যের উপস্থিতিতে?
Created: 1 week ago
A
৫৭ জন
B
৬০ জন
C
৬২ জন
D
৬৫ জন
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কোরাম
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম সদস্যসংখ্যা অর্থাৎ কোরামের প্রয়োজন হয়। সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্তত ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত না থাকলে সংসদের কার্যক্রম বৈধভাবে চলতে পারে না।
সংসদ অধিবেশনের সময় যদি কোনো পর্যায়ে ৬০ জনের কম সদস্য উপস্থিত থাকার বিষয়টি সভাপতির নজরে আনা হয়, সেক্ষেত্রে তিনি অধিবেশন মুলতবি কিংবা স্থগিত করতে বাধ্য থাকবেন যতক্ষণ না নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য উপস্থিত হন।
কোরাম কী?
কোরাম বলতে বোঝায়, একটি বৈধ সভা পরিচালনার জন্য পূর্বনির্ধারিত ন্যূনতম সংখ্যক ভোটাধিকারপ্রাপ্ত সদস্যের উপস্থিতি। এই সংখ্যা সংশ্লিষ্ট সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হয় এবং সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তা বজায় রাখা আবশ্যক।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 1 week ago
জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত জনে?
Created: 3 weeks ago
A
৯০ জন
B
৭৫ জন
C
৬০ জন
D
৫০ জন
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নং অনুচ্ছেদে কোরাম বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সর্বনিম্ন ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। অর্থাৎ, জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম বা কোরাম বজায় থাকবে যখন কমপক্ষে ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় সংসদের চলমান সভায় যদি কোন সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর নিচে নেমে আসে এবং এ বিষয়ে সভাপতির কাছে কেউ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করার সিদ্ধান্ত নেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি পুনরায় নিশ্চিত না হয়।
উল্লেখযোগ্য:
কোরাম বলতে বোঝায়, কোনো বৈধ সভা বা সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা উপস্থিত থাকা আবশ্যক, যা সংস্থার নিয়মনীতি বা আইনে পূর্বনির্ধারিত থাকে।
তথ্যের উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 3 weeks ago