(প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক ছিলো) বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদে কোন সদস্য নিজেই নিজের কাছে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন?
A
বেগম খালেদা জিয়া
B
শেখ হাসিনা
C
জমির উদ্দীন সরকার
D
আবদুল হামিদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়াবলি নির্ধারিত রয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের জন্য বিদায়ী স্পিকারের,
অথবা তার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকারের, সামনে উপস্থিত হয়ে শপথ নিতে হয় এবং একইসঙ্গে শপথনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।
এই নিয়ম অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা সাধারণত বিদায়ী স্পিকারের কাছে শপথ গ্রহণ করেন। তবে কিছু ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে।
যেমন, অষ্টম জাতীয় সংসদে আবদুল হামিদ নিজেই ছিলেন বিদায়ী স্পিকার এবং একইসঙ্গে পুনরায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ফলে তিনি নিজেই নিজের শপথ বাক্য পাঠ করেন।
একইভাবে, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়ে নিজেই শপথ গ্রহণ করেন, কারণ তিনি তখন বিদায়ী স্পিকারের দায়িত্বে ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা।

0
Updated: 1 month ago
জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত জনে?
Created: 2 months ago
A
৯০ জন
B
৭৫ জন
C
৬০ জন
D
৫০ জন
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নং অনুচ্ছেদে কোরাম বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সর্বনিম্ন ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। অর্থাৎ, জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম বা কোরাম বজায় থাকবে যখন কমপক্ষে ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় সংসদের চলমান সভায় যদি কোন সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর নিচে নেমে আসে এবং এ বিষয়ে সভাপতির কাছে কেউ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করার সিদ্ধান্ত নেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি পুনরায় নিশ্চিত না হয়।
উল্লেখযোগ্য:
কোরাম বলতে বোঝায়, কোনো বৈধ সভা বা সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা উপস্থিত থাকা আবশ্যক, যা সংস্থার নিয়মনীতি বা আইনে পূর্বনির্ধারিত থাকে।
তথ্যের উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
সংসদ-কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে কী বলা হয়?
Created: 4 days ago
A
বিরোধী বেঞ্চ
B
ট্রেজারি বেঞ্চ
C
ব্যাকবেঞ্চার
D
মেম্বার বেঞ্চ
সংসদে আসন ব্যবস্থা:
-
ট্রেজারি বেঞ্চ (Treasury Bench / Front Bench):
-
সংসদ-কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে ট্রেজারি বেঞ্চ বলা হয়।
-
সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এখানে বসেন।
-
স্পীকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ।
-
এটি ‘ফ্রন্ট বেঞ্চ’ হিসেবেও পরিচিত।
-
-
বিরোধী দলের সামনের আসন:
-
স্পীকারের আসনের বিপরীত দিকে বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, হুইপ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বসেন।
-
-
ব্যাকবেঞ্চার (Backbencher):
-
সরকারি বা বিরোধী দলের সদস্য যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই, তারা পেছনের সারিতে বসেন।
-
সরকারি দলের ব্যাকবেঞ্চার মন্ত্রী নয়।
-
বিরোধী দলের ব্যাকবেঞ্চারও নেতৃস্থানীয় নয়।
-
সারসংক্ষেপ:
ট্রেজারি বেঞ্চ হলো সরকারি দলের প্রধান নেতৃত্বের আসন, বিরোধী দলের নেতা সামনের সারির বিপরীত পাশে বসেন, আর গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকা সদস্যরা পেছনের সারিতে (ব্যাকবেঞ্চে) অবস্থান করেন।

0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা কত?
Created: 2 months ago
A
৫০
B
২৫
C
৩০
D
৪০
• বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৫০ টি।
• সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে বর্তমানে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৫০টি এবং সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ:
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলায় আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।
- বাংলাদেশের সংসদ একটি এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা যা ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।
- যার মধ্যে ৩০০টি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার ৩০০ জন সদস্য যা প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন করে।
- অবশিষ্ট ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
- ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য এই বিধান নবম সংসদের শুরু থেকে দশ বছর অব্যাহত থাকবে।
- ১৭তম সংশোধনী অনুযায়ী, ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ দশম সংসদের শুরু থেকে আরও ২৫ বছরে বৃদ্ধি পাবে।
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪৮টি রয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago