কোন বাংলাদেশী উপজাতির পারিবারিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক?
A
মারমা
B
খাসিয়া
C
সাঁওতাল
D
গারো
উত্তরের বিবরণ
অপশনে দ্বৈত উত্তর থাকায় বাতিল করা হয়েছে।
- সাঁওতাল এবং মারমা উপজাতির পারিবারিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতিসমূহের মধ্যে খাসিয়া এবং গারো সম্প্রদায়ের পারিবারিক কাঠামো মাতৃতান্ত্রিক।
- গারো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী।
-টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর জেলায় এদের বাস।
- বাংলাদেশে তাদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশে প্রথম উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 2 months ago
A
রাঙ্গামাটি
B
বান্দরবান
C
নেত্রকোনা
D
কোনটি নয়
উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি:
-
বাংলাদেশে প্রথম উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি অবস্থিত - বিরিশিরি, নেত্রকোনা।
-
প্রতিষ্ঠা লাভ করে - ১৯৭৭ সালে।
• উপজাতীয় প্রতিষ্ঠান: -
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১০টি উপজাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে চালু রয়েছে ৭টি।
এগুলো হলো: -
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কক্সবাজার।
-
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, রাজশাহী।
-
মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি।
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান।
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোনা।
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙামাটি।
যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি সেগুলো হলো:
-
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, হালুয়াঘাট।
-
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, দিনাজপুর।
-
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, নওগাঁ।
সূত্র: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০।
0
Updated: 2 months ago
উপজাতিদের বর্ষবরণ উৎসবকে সামগ্রিকভাবে কি বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
বৈসাবি
B
ওয়াংগালা
C
সংগ্রাই
D
সোহরাই
বৈসাবি হলো বাংলাদেশে তিনটি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব, যা বৈসু, সাংগ্রাই এবং বিজু এই তিন নামের আদ্যক্ষর থেকে গঠিত। এই উৎসবে আদিবাসীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে এবং পুরনো বছরের কালিমা ও জীর্ণতাকে ধুয়ে নতুন বছরকে বরণ করে। ত্রিপুরারা তাদের বর্ষবরণকে বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই এবং চাকমারা বিজু নামে পালন করে, এবং এই তিনটি উৎসব মিলিতভাবে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বর্ষবরণ উৎসবটি বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিনে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় উদযাপিত হয়।
অন্যদিকে, অন্যান্য আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর উৎসবের নামগুলো হলো:
-
গারোদের প্রধান উৎসব: ওয়াংগালা
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই
-
সাঁওতালদের প্রধান উৎসব: সোহরাই
0
Updated: 1 month ago
'গারো উপজাতি' কোন জেলায় বাস করে?
Created: 1 month ago
A
পার্বত্য চট্টগ্রাম
B
সিলেট
C
ময়মনসিংহ
D
টাঙ্গাইল
গারো উপজাতি
বাংলাদেশে গারো উপজাতির মূল নিবাস ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ি অঞ্চল।
এছাড়াও শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর, রংপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় কিছুসংখ্যক গারো জনগোষ্ঠী বসবাস করে। তবে সংখ্যার দিক থেকে দেখা যায়, ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ই গারো উপজাতির প্রধান আবাসস্থল।
সিলেট অঞ্চলে অল্পসংখ্যক গারো থাকলেও তাদের অধিকাংশই ময়মনসিংহ এলাকায় কেন্দ্রীভূত। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হবে ময়মনসিংহ জেলা।
গারো উপজাতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
তাদের প্রাচীন ধর্মের নাম সাংসারেক।
-
প্রধান দেবতার নাম তাতারা রাবুগা।
-
বর্তমানে অধিকাংশ গারো জনগোষ্ঠী খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করে।
-
তাদের প্রধান উৎসব হলো ওয়ানগালা।
-
গারো ভাষাকে বলা হয় মান্দি ভাষা।
-
গারো সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
উৎস: ময়মনসিংহ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago