ইসরায়েলের মুদ্রার নাম কী?
A
পাউন্ড
B
শেকেল
C
দিরহাম
D
দিনার
উত্তরের বিবরণ
ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ, যা ভূমধ্যসাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এটি ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন সীমান্ত দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগযুক্ত। জেরুজালেম সরকারি আসন এবং ঘোষিত রাজধানী হলেও আন্তর্জাতিকভাবে এর মর্যাদা সব দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যবহৃত মুদ্রা হলো শেকেল।
-
অবস্থান: ভূমধ্যসাগরের পূর্ব প্রান্ত, মধ্যপ্রাচ্য।
-
সীমান্তবর্তী দেশসমূহ:
-
উত্তরে লেবানন
-
উত্তর-পূর্বে সিরিয়া
-
পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে জর্ডান
-
দক্ষিণ-পশ্চিমে মিশর
-
পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর
-
-
রাজধানী: জেরুজালেম (সরকারি আসন ও ঘোষিত রাজধানী)
-
মুদ্রা: শেকেল
0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলন এর নেতা ছিলেন -
Created: 1 month ago
A
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত এক গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামি আন্দোলন। এর মূল কারণ ছিল ব্রিটিশদের নীতি অনুযায়ী তুরস্কের সুলতানের খেলাফত দুর্বল ও বিভক্ত করা, যা ভারতের মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ ও রাজনৈতিক অবস্থানকে জটিল করে তোলে।
-
১৯২০ সালে সেভার্স চুক্তির অধীনে ব্রিটিশ সরকার তুরস্ক তথা অটোমান সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করলে এর বিরুদ্ধে ভারতীয়রা যে আন্দোলন গড়ে তোলে, তা খিলাফত আন্দোলন নামে পরিচিত।
-
এটি ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে গঠিত একটি প্যান-ইসলামি আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান জার্মানির পক্ষ নিলে ভারতীয় মুসলমানেরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাঁরা খলিফার অনুগত, অথচ রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকতে বাধ্য ছিলেন।
-
যুদ্ধ শেষে জার্মানি পরাজিত হলে, জার্মানির পক্ষ নেওয়ার শাস্তি হিসেবে তুরস্ককে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়।
-
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক সিল্ক রোড কোন দেশের বিশেষ কৌশলগত উদ্যোগ?
Created: 1 month ago
A
জাপান
B
ভারত
C
চীন
D
নেপাল
সিল্ক রোড প্রাচীনকালে চীনের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগকে বোঝাত। চীনের রেশম ও রেশমী কাপড় মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় পাঠানোর জন্য এই পথ ব্যবহৃত হতো, যা Silk Road বা Silk Route নামে পরিচিত। আধুনিক অর্থে সিল্ক রোড বলতে চীনের “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ” (Belt and Road Initiative বা BRI) বোঝানো হয়, যা ২০১৩ সালে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ঘোষণা করেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য প্রাচীন বাণিজ্যপথগুলোকে আধুনিক আকারে পুনর্গঠন করে চীন এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অবকাঠামোগত সংযোগ বৃদ্ধি করা। সম্প্রতি, ইরানও চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে এই সিল্ক রোড উদ্যোগে যুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
-
প্রাচীন সিল্ক রোড: চীন থেকে মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায় রেশম পাঠানোর বাণিজ্যপথ
-
আধুনিক সিল্ক রোড: চীনের Belt and Road Initiative (BRI), ২০১৩
-
উদ্দেশ্য: প্রাচীন বাণিজ্যপথ পুনর্গঠন, চীন ও অন্যান্য দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অবকাঠামোগত সংযোগ বৃদ্ধি
-
সম্প্রতি: ইরান চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী
0
Updated: 1 month ago
কার উদ্যোগে বেঙ্গল প্যাক্ট সম্পাদিত হয়?
Created: 1 month ago
A
জওহরলাল নেহরু
B
সুভাষচন্দ্র বসু
C
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ
D
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী
বেঙ্গল প্যাক্ট ছিল ১৯২০-এর দশকে বাংলার হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বরাজ পার্টির উদ্যোগে গৃহীত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চুক্তি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এই প্যাক্টের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন।
-
অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতার ফলে ভারতে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক মারাত্মকভাবে অবনতিশীল হয়ে ওঠে।
-
আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য হিন্দু-মুসলমান নেতৃবৃন্দ একে অপরকে দোষারোপ করেন, যা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে বিচলিত করে।
-
তিনি বিশ্বাস করতেন, ভারতের আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য অপরিহার্য।
-
এই ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পক্ষে ছিলেন।
-
এ বিষয়ে তিনি শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ বিভিন্ন মুসলমান নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন।
-
পাশাপাশি তিনি মৌলভী আব্দুল করিম, মওলানা আকরাম খান, মৌলভী মজিবর রহমান প্রমুখ নেতাদের সঙ্গেও রাজনৈতিক সমস্যা ও দাবি-দাবি নিয়ে বৈঠক করেন।
-
কংগ্রেস থেকে বের হয়ে ১৯২২ সালে তিনি গঠন করেন ‘স্বরাজ পার্টি’।
-
স্বরাজ পার্টির সভাপতি হিসেবে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২৩ সালে মুসলমান নেতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
-
চুক্তির লক্ষ্য ছিল বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি জোরদার করা।
-
ইতিহাসে এই চুক্তি ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’ নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago