জাতিসংঘের কোন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান শিশু তহবিল, বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে?
A
UNESCO
B
UNEP
C
UNICEF
D
UNDP
উত্তরের বিবরণ
UNICEF বা United Nations Children's Fund হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এটি শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ১৯৪৬ সালের ১১ ডিসেম্বর।
-
প্রাথমিক নাম: United Nations International Children's Emergency Fund।
-
বর্তমান নাম: ১৯৫৩ সালে নাম পরিবর্তন করে United Nations Children's Fund রাখা হয়।
-
সদরদপ্তর: যুক্তরাষ্ট্র, নিউইয়র্ক।
-
বর্তমান নির্বাহী পরিচালক: ক্যাথরিন রাসেল।
-
সদস্য রাষ্ট্র: ১৯৩ টি দেশ।
-
কার্যক্রমের এলাকা: বিশ্বের ১৯০টি দেশ ও অঞ্চল।

0
Updated: 18 hours ago
মূল্যবােধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 2 days ago
A
পরিবর্তনশীলতা
B
বিভিন্নতা
C
আপেক্ষিকতা
D
উপরের সবগুলাে
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা স্থান, কাল ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিভিন্ন রূপ ধারণ করে এবং পরিবর্তনশীল।
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
সামাজিক মাপকাঠি:
-
মানুষের কর্মকাণ্ডের ভালো-মন্দ বিচার করার ভিত্তি হলো মূল্যবোধ।
-
এটি মানুষের আচার-ব্যবহার, ধ্যান-ধারণা, চাল-চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে।
যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন:
-
মূল্যবোধ সমাজের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে।
-
একই রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান ও আদর্শের ভিত্তিতে সমাজের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে মিলিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করে।
নৈতিক প্রাধান্য:
-
মূল্যবোধ আইন নয় এবং এর বিরোধিতা বেআইনি নয়।
-
এটি মূলত সামাজিক নৈতিকতার অংশ।
-
সমাজে মানুষের শ্রদ্ধাবোধের কারণে মানুষ মূল্যবোধকে মেনে চলে।
বিভিন্নতা:
-
মূল্যবোধ সমাজ, দেশ, জাতি ও প্রকৃতিভেদে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
-
স্থান, কাল ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী মূল্যবোধে পার্থক্য দেখা যায়।
-
উদাহরণ: পাশ্চাত্য দেশে যে ধরনের পোশাক মেয়েরা পরে, তা আমাদের দেশে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
বৈচিত্র্য ও আপেক্ষিকতা:
-
মূল্যবোধ বৈচিত্র্যময় ও আপেক্ষিক।
-
আজ যা মূল্যবোধ হিসেবে গণ্য হয়, কাল তা সেভাবে বিবেচ্য নাও হতে পারে।
পরিবর্তনশীলতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা:
-
মূল্যবোধের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর পরিবর্তনশীলতা।
-
সমাজ নিয়মিত পরিবর্তনশীল, এবং এর সাথে সাথে সমাজ অনুসৃত মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন, যেমন: বাল্যবিবাহ ও সতীদাহ প্রথা।
-
বর্তমানের অনেক মূল্যবোধ ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারে।
-
মূল্যবোধ নৈর্ব্যক্তিক।
সূত্র:

0
Updated: 2 days ago
কোনটি অপরিবাহী পদার্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
তামা
B
রূপা
C
কাচ
D
সিলিকন
অপরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের অপরিবাহী বলা হয়। যেমন: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
অধিকাংশ অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে আধান স্থির অবস্থায় সেই স্থানেই আবদ্ধ থাকে, সঞ্চালিত হয় না।
-
তাই দুটি আহিত বস্তুকে অপরিবাহী দিয়ে যুক্ত করলে আধান এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয় না এবং তড়িৎ প্রবাহ তৈরি করে না।
-
অর্থাৎ অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে।
পরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের পরিবাহী বলা হয়। যেমন: রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।
-
প্রায় সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
পরিবাহী পদার্থে আধান দিলে তা কোনো একটি স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে পুরো পদার্থে ছড়িয়ে পড়ে।
-
দুটি আহিত বস্তুকে পরিবাহীর মাধ্যমে যুক্ত করলে আধান সহজেই এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে।
-
পরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে না বললেই চলে। তবে তাপ প্রয়োগ করলে পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অর্ধপরিবাহী
-
কিছু পদার্থ যেমন সিলিকন, জার্মেনিয়াম ইত্যাদির তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি। এদেরকে অর্ধপরিবাহী বলা হয়।
-
অর্থাৎ, এদের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ সম্ভব, তবে পরিবাহীর তুলনায় কম এবং অপরিবাহীর তুলনায় বেশি।
-
একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো:
-
পরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা কমে যায় (রোধ বেড়ে যায়)।
-
কিন্তু অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় (রোধ কমে যায়)।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন -
Created: 3 weeks ago
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
মাওলানা আতাহার আলী
C
আবুল কালাম শামসুদ্দিন
D
আবুল কাশেম
যুক্তফ্রন্ট:
- ১৯৫৩ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল।
- যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক ছিলো 'নৌকা'।
- ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার করা হয় ২১ দফা।
- ২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ।
- যুক্তফ্রন্ট তাদের ঐতিহাসিক ২১ দফা দাবিতে গণমানুষের অধিকারের কথা তুলে ধরে।
- এই দফাগুলো সংক্ষেপে বর্ণিত হলো:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
২. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ করা এবং ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে উদ্বৃত্ত জমি বিতরণ।
৩. পাটের ব্যবসায় জাতীয়করণ করা।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা করা।
৬. কারিগর মুহাজিরদের কাজের ব্যবস্থা করা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধের জন্য খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা করা।
৮. শিল্প ও খাদ্যে দেশকে স্বাবলম্বী করা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন করা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
১২. শাসন ব্যয় হ্রাস করা ও মন্ত্রীদের বেতন এক হাজার টাকার বেশি না করা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৪. জন নিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স প্রভৃতি বাতিল করা।
১৫. বিচার ও শাসন বিভাগ পৃথকীকরণ করা।
১৬. মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন 'বর্ধমান হাউস'কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে পরিণত করা।
১৭. বাংলা ভাষা করার দাবিতে নিহত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা।
১৮. একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা।
১৯. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ কোনোভাবেই বৃদ্ধি না করা।
২১. আইন পরিষদের আসন শূন্য হলে তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচন দিয়ে তা পূরণ করা।
তথ্যসূত্র - ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago