A
মহানন্দা
B
ভৈরব
C
কুমার
D
বড়াল
উত্তরের বিবরণ
পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন মহানন্দার উপনদী
• মহানন্দা (Mahananda):
- হিমালয়ের পাদদেশে দার্জিলিং এর নিকটবর্তী মহালড্রীম পর্বত হতে মহানন্দা নদী উৎপত্তি হয়েছে।
- ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে। অত:পর ভারতের পূর্ণিয়া ও মালদহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের নিকট বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশ করে গোদাগাড়ির কাছে পদ্মার মিলিত হয়েছে।
- পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন এর উপনদী।
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনায় সম্মিলিত নদী অববাহিকার কত শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 months ago
A
৪
B
১৪
C
৭
D
৩৩

বাংলাদেশ হিমালয় থেকে উৎসরিত ৩টি বৃহৎ নদী:
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলল দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ।
- নদীগুলোর মধ্যে ৫৭টি হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত নদী যার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন এবং ৩টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে অভিন্ন।
- আবহমানকাল ধরে নদীমাতৃক বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা আবর্তিত হচ্ছে এসকল নদীর পানিকে ঘিরে।
- এ তিনটি নদীর অববাহিকার মোট আয়তন প্রায় — ১.৭২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যার মাত্র — ৭ শতাংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এসকল নদীর অন্যান্য অববাহিকাভূক্ত দেশ হচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান ও চীন।
উৎস: যৌথ নদী কমিশন ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ব্রহ্মপুত্র
B
পদ্মা
C
মেঘনা
D
যমুনা
ব্রহ্মপুত্র নদ
ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি দক্ষিণ-পশ্চিম হিমালয়ের তিব্বত অংশে অবস্থিত পবিত্র মানস সরোবর থেকে। এটি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদীগুলোর মধ্যে একটি, যার বিস্তৃতি চীন (তিব্বত), ভারত এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।
তিব্বতের ভূমি অতিক্রম করে নদীটি ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এরপর দেওয়ানগঞ্জ (ময়মনসিংহ) অতিক্রম করে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নেয় এবং ভৈরববাজারের দক্ষিণে গিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়।
বাংলাদেশ অংশে প্রবেশের পর মেঘনার সঙ্গে মিলনের আগে নদীটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। এই অংশে নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার। আর এর সামগ্রিক দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৫০ কিলোমিটার, যা শুরু হয় তিব্বতের উৎপত্তিস্থল থেকে।
আসাম অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রকে স্থানীয়ভাবে দিহাঙ নামে ডাকা হয়। এর মোট অববাহিকা এলাকা প্রায় ৫,৮৩,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশে এই নদীটি স্বাভাবিকভাবে বিনুনি (meandering) প্রকৃতির।
এই নদীর উল্লেখযোগ্য শাখানদী হলো বংশী ও শীতলক্ষ্যা, এবং প্রধান উপনদী হিসেবে রয়েছে ধরলা ও তিস্তা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটে ১৭৮৭ সালের এক ভূমিকম্পে, যার ফলে নদীর তলদেশ উঠে আসে এবং ব্রহ্মপুত্রের মূল ধারার পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে একটি নতুন স্রোতধারা গঠিত হয়, যা আজকে যমুনা নদী নামে পরিচিত।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে ঢোকার পর গঙ্গা নদী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার সাথে নিম্নোক্ত একটা জায়গায় মেশে-
Created: 1 month ago
A
গোয়ালন্দ
B
বাহাদুরাবাদ
C
ভৈরববাজার
D
নারায়ণগঞ্জ
পদ্মা নদী বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং বৃহৎ নদী। এটি মূলত মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রবাহ, যা বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করে পদ্মা নামে পরিচিত। রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ এলাকায় পদ্মা নদী যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
এই মিলিত স্রোত দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর গঙ্গা, যমুনা ও মেঘনার ঐক্যবদ্ধ স্রোত মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পতিত হয়।
বাংলাদেশের গঙ্গা-পদ্মা নদীবিধৌত এলাকার আয়তন প্রায় ৩৪,১৮৮ বর্গকিলোমিটার।
পদ্মার শাখানদীসমূহ এর মধ্যে কুমার, ভৈরব, গড়াই, মাথাভাঙ্গা, ইছামতি ও আড়িয়াল খাঁ নদী উল্লেখযোগ্য।
পদ্মার উপনদী হিসেবে প্রধানত মহানন্দা নদী পরিচিত। মহানন্দার উপনদীগুলোর মধ্যে পুনর্ভবা, নাগর, কুলিক, ট্যাংগন ও পাগলা নদী গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র:
ভূগোল (১ম পত্র), নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago