ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি কোন দুটি দেশের মধ্যকার স্বাক্ষরিত হয়?
A
সিরিয়া ও মিশর
B
ইসরাইল ও মিশর
C
মিশর ও সিরিয়া
D
ইসরাইল ও ইরান
উত্তরের বিবরণ
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসরাইল ও মিশরের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয় এবং আরব-ইসরাইল দ্বন্দ্বের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
-
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত ক্যাম্প ডেভিড অবকাশযাপন কেন্দ্রে।
-
মধ্যস্থতাকারী ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।
-
স্বাক্ষরকারীরা ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন।
-
এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা।
-
চুক্তির ফলশ্রুতিতে মিশর সাময়িকভাবে OIC (Organization of Islamic Cooperation) ও আরব লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়।
-
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত স্থান ক্যাম্প ডেভিড যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিখ্যাত রাষ্ট্রপতির অবকাশযাপন কেন্দ্র।

0
Updated: 18 hours ago
মানবিক গুনাবলী এবং সঠিক বিবেক-বুদ্ধির বহিঃপ্রকাশই-
Created: 1 week ago
A
সুশাসন
B
নৈতিকতা
C
মূল্যবোধ
D
উপরের কোনটিই নয়
মূল্যবোধ:
- মূল্যবোধ এর নির্দিষ্ট কোন মাপকাঠি বা যৌক্তিকতা প্রমাণের সুযোগ নেই।
- কেননা একজনের কাছে যা আর্দশ, তা অন্য জনের কাছে বিরক্তির কারণও হতে পারে।
- তবে অনেকের মতে মানবিক গুনাবলী এবং সঠিক বিবেক-বুদ্ধির বহিঃপ্রকাশই মূল্যবোধ।
- সমাজবিজ্ঞানী এইচ এম জনসন (H.M. Johnson) এর মতে "সামাজিক মূল্যবোধ হল একটি মানদন্ড"।
- ক্লাইড কুখোন বলেন "সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় আচার-আচরণের ধারা যা ব্যক্তি ও সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত"।
- সমাজবিজ্ঞানী এফ ই মেরিল (F. E. Meril) বলেন "সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরণ, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন অঞ্চলটি হরিকেল জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
কুমিল্লা
B
নোয়াখালী
C
ঢাকা
D
সিলেট
হরিকেল:
- হরিকেল জনপদের কথা প্রথম জানা যায় প্রথম শতকের চট্টগ্রামে প্রাপ্ত লিপিতে।
- চন্দ্রবংশীয় লিপিতেও হরিকেল রাজ্যের কথা আছে।
- হরিকেল জনপদ আধুনিক সিলেট থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত দুটি প্রাচীন গ্রন্থের পাণ্ডুলিপিতে হরিকোল (হরিকেল) ও বর্তমান সিলেট বিভাগ অভিন্ন উলিণ্ঢখিত হয়েছে।
- বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে এ কথা বলা যায় যে, জনপদগুলোর নির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ণয় করা বা যুগে যুগে তাদের সীমার বিস্তার ও সংকোচনের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা দুরূহ কাজ।
- হরিকেল প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ।

0
Updated: 3 weeks ago
অপারেশন কিলো ফ্লাইটের মূল লক্ষ্য কী ছিল?
Created: 1 day ago
A
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া
B
পাকিস্তানি বাহিনীর তেল ডিপো ও সরবরাহ লাইন ধ্বংস করা
C
ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সহায়তা করা
D
পাকিস্তানি নৌবাহিনীকে আক্রমণ করা
অপারেশন কিলো ফ্লাইট
-
কিলো ফ্লাইট ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান গঠনের সাংকেতিক নাম।
-
এটি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর বিমান উইংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান।
-
মূল লক্ষ্য: পাকিস্তানি বাহিনীর তেল ডিপো, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সরবরাহ লাইন ধ্বংস করা; একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি করা।
-
এটি একটি দুঃসাহসিক বিমান হামলা যা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়।
প্রস্তুতি ও সরঞ্জাম:
-
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সরকার অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারকে দান করে:
-
আমেরিকায় তৈরি একটি পুরানো DC-3 বিমান
-
কানাডায় তৈরি একটি অটার বিমান
-
ফ্রান্সের তৈরি একটি Alouette-3 হেলিকপ্টার
-
-
ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে একটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিত্যক্ত রানওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি।
-
২৮ সেপ্টেম্বর, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ এ কে খন্দকার এর নেতৃত্বে ৯ জন পাইলট ও ৪৭ জন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে যাত্রা শুরু।
-
বিমান বাহিনী প্রধান হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
ফলাফল:
-
কিলো ফ্লাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীকে দুঃসাহসিক বিমান যোদ্ধারা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেন।
-
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চিরতরে ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সম্ভাবনাও হারায়।

0
Updated: 1 day ago