'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থে মোট কয়টি কবিতা হয়েছে?
A
১৩টি
B
১৬টি
C
১৯টি
D
২১টি
উত্তরের বিবরণ
সাত সাগরের মাঝি ফররুখ আহমদের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা মূলত জাগরণের উদ্দেশ্যে রচিত। এই কাব্যগ্রন্থে মোট উনিশটি কবিতা স্থান পেয়েছে, যা ১৯৪৩-৪৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে লেখা। কবি বাংলা প্রচলিত শব্দ পরিত্যাগ করে বহু অপ্রচলিত আরবি ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাজচিত্রের বিরূপ প্রভাবও কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে।
-
কাব্যনাট্য:
-
নৌফেল ও হাতেম
-
-
সনেট সংকলন:
-
মুহূর্তের কবিতা
-
-
কাহিনিকাব্য:
-
হাতেমতায়ী
-
-
শিশুতোষ গ্রন্থ:
-
পাখির বাসা
-

0
Updated: 19 hours ago
নিচের কোনটি উপন্যাস নয়?
Created: 1 week ago
A
দিবারাত্রির কাব্য
B
শেষের কবিতা
C
পল্লী-সমাজ
D
কবিতার কথা
কবিতার কথা, শেষের কবিতা, দিবারাত্রির কাব্য ও পল্লী-সমাজ—allই বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা তাদের প্রকাশকাল, রচয়িতা ও মূল চরিত্রের দিক থেকে আলাদা। প্রতিটি গ্রন্থের তথ্য নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
-
কবিতার কথা: জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ। এটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তি হলো: "সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি"।
-
শেষের কবিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস, যা ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়। এটি কাব্যোপন্যাস হিসেবেও পরিচিত। মূল চরিত্রগুলো হলো অমিত, লাবণ্য, কেতকী প্রমুখ।
-
দিবারাত্রির কাব্য: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস, যা ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়। প্রধান চরিত্রগুলো হলো হেরম্ব ও আনন্দ।
-
পল্লী-সমাজ: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। এর আগে এটি “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় ১৯১৫ সালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। প্রধান চরিত্রগুলো হলো রমা, রমেশ, বেণী ও বলরাম।

0
Updated: 1 week ago
'আনন্দমঠ' উপন্যাসের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
C
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
আনন্দমোহন বাগচী
‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৮৮২ সালে।
-
এই উপন্যাসের পটভূমি ১৭৭০ সালের ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এবং সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।
-
মূল বিষয়: দেশভক্তি, জাতিপ্রেম ও হিন্দুধর্মে বিশ্বাস।
-
এখানে ‘স্বদেশ’ বলতে বোঝানো হয়েছে বঙ্গভূমিকে এবং ‘ধর্ম’ বলতে বোঝানো হয়েছে হিন্দু ধর্মকে।
-
উপন্যাসে উল্লেখিত ‘বন্দে মাতরম্’ গানটি ইংরেজবিরোধী আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে ওঠে।
-
এটি ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়, তবে এর ঘটনা কল্পিত হলেও বিশ্বাসযোগ্য এবং চরিত্রগুলো আদর্শায়িত।
-
গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও মন্বন্তরের বর্ণনা বাস্তবধর্মী।
-
কাহিনিতে প্রেম ও আদর্শের সংঘাত উপন্যাসকে গভীরতা দিয়েছে।
-
‘বন্দে মাতরম্’ গানটি পরে became একটি উদ্দীপক দেশাত্মবোধক স্লোগান।
-
উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ করেন:
-
নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত (The Abbey of Bliss, 1907)
-
শ্রী অরবিন্দ (Ananda Math, 1910)
-
-
এটি একটি বাস্তবধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস।
-
এই রচনায় বঙ্কিমচন্দ্রের স্বসম্প্রদায়প্রীতি বা নিজের ধর্ম ও জাতির প্রতি পক্ষপাত লক্ষ্য করা যায়।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
তিনি ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ।
-
জন্ম: ১৮৩৮ সাল, চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
তাঁর প্রথম উপন্যাস: Rajmohan’s Wife (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
তাঁর রচিত বিখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, ও সীতারাম।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসসমূহ
-
দুর্গেশনন্দিনী
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
"থালা, বাটি, মাটি" - কোন প্রকারের বিশেষ্য?
Created: 1 day ago
A
সমষ্টিবাচক
B
বস্তুবাচক
C
গুণবাচক
D
জাতিবাচক
বস্তুবাচক বিশেষ্য হলো সেই বিশেষ্য, যেগুলো দ্বারা কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝানো হয়। একে দ্রব্যবাচক বিশেষ্যও বলা হয়।
যেমন—
-
বই
-
খাতা
-
কলম
-
থালা
-
বাটি
-
মাটি
-
চাল
-
পানি
-
চিনি
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ:
বেলে মাটি — এখানে “মাটি” একটি বস্তুবাচক বিশেষ্য, কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক পদার্থকে নির্দেশ করছে। অন্যদিকে, “বেলে” একটি বিশেষণ, যা মাটির ধরনকে বর্ণনা করছে।
(উৎস:

0
Updated: 1 day ago