'লালসালু' উপন্যাসে কোন চরিত্রটি নারী প্রতিবাদের প্রতীক?
A
আমেনা
B
জমিলা
C
ফাতেমা
D
রহিমা
উত্তরের বিবরণ
লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি প্রখ্যাত উপন্যাস, যা ১৯৪৮ সালে কলকাতা থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি বাংলার গ্রামজীবনের বাস্তবতা, সৌন্দর্য, মাধুর্য ও কঠোরতা চিত্রায়ন করে এবং অসংখ্য গ্রামীণ মানুষের জীবনকে ফুটিয়ে তোলে। নোয়াখালি অঞ্চলের মজিদ নামের একটি কূটচরিত্র গারোপাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে ধর্মের নামে স্থানীয় মানুষকে কীভাবে শোষণ করে, সেই ঘটনা উপন্যাসে উল্লিখিত।
উপন্যাসের মূল বিষয় ধর্মব্যবসায়ীদের স্বরূপ উন্মোচন এবং নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটে সমাজচেতনা। স্বল্পবয়সী স্ত্রী জমিলা মজিদের শোষণ প্রতিহত করে, উপন্যাসে তিনি বিদ্রোহিণী ও প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
মজিদ
-
খালেক ব্যাপারি
-
জমিলা
-
রহিমা
-
আমেনা
-
আক্কাস
-
তাহেরের বাপ
-
হাসুনির মা
-
-
উক্তি: উপন্যাসে ধর্মব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, "খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে।"
-
অনুবাদ ও খ্যাতি:
-
ইংরেজিতে Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে অনূদিত হয়েছে
-
ফরাসি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, নাম Le Arbre Sans Maîme (১৯৬১)
-
ফরাসি অনুবাদ করেছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পত্নী অ্যান মেরি
-

0
Updated: 18 hours ago
কত সালে 'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৮৬০
B
১৮৬১
C
১৮৬৫
D
১৮৬৭
‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা এবং ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের শিরোনাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, এবং বিমলা।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে।
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক। তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য ও রচনা সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
প্রথম উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম বাংলা সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি জহির রায়হানের রচিত উপন্যাস নয়?
Created: 1 day ago
A
শেষ বিকেলের মেয়ে
B
বরফ গলা নদী
C
জীবন থেকে নেওয়া
D
কয়েকটি মৃত্যু
‘জীবন থেকে নেওয়া’ জহির রায়হানের পরিচালিত একটি চলচ্চিত্র, যিনি একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
-
জহির রায়হান:
-
জন্ম: ১৯৩৫, ফেনী জেলা।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
সুপরিচিত গল্পগ্রন্থ: সূর্যগ্রহণ।
-
প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র: সঙ্গম।
-
পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র: কখনো আসে নি।
-
প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র: বাহানা।
-
‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের জন্য আদমজি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
-
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
বরফ গলা নদী
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
কয়েকটি মৃত্যু
-
-
চলচ্চিত্র:
-
জীবন থেকে নেওয়া
-

0
Updated: 1 day ago
ড. সুকুমার সেন বাংলা গদ্যরীতির কয়টি স্তর নির্দেশ করেছেন?
Created: 1 month ago
A
দুটি
B
তিনটি
C
চারটি
D
পাঁচটি
ড. সুকুমার সেনের বাংলা গদ্যরীতির চারটি স্তর
ড. সুকুমার সেন বাংলা গদ্যরীতিকে চারটি স্তরে ভাগ করেছেন:
-
প্রথম স্তর: সূচনা
-
সময়কাল: ষোল শতক থেকে ১৮০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত
-
-
দ্বিতীয় স্তর: উন্মেষ
-
সময়কাল: ১৮০০ (শ্রীরামপুর মিশন) থেকে ১৮৪৭ সালের (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর) পূর্ব পর্যন্ত
-
-
তৃতীয় স্তর: অভ্যুদয়
-
সময়কাল: ১৮৪৭ (বিদ্যাসাগর) থেকে ১৮৬৫ সালের (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের) পূর্ব পর্যন্ত
-
-
চতুর্থ স্তর: পরিণতি
-
সময়কাল: ১৮৬৫ (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত
-
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago