'প্রেম-পারিজাত' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
ফররুখ আহমেদ
B
কায়কোবাদ
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
বেগম রোকেয়া
উত্তরের বিবরণ
কায়কোবাদ আধুনিক বাংলা মহাকাব্য ধারার শেষ কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৮৫৭ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শাহামতউল্লাহ আল কোরেশী ছিলেন ঢাকার জেলা-জজ আদালতের উকিল। প্রকৃত নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী, সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘কায়কোবাদ’। মাত্র তেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য বিরহবিলাপ প্রকাশিত হয়।
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
কুসুম-কানন
-
অশ্রুমালা
-
মহাশ্মশান (পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ, ১৭৬১, অবলম্বনে রচিত)
-
শিব-মন্দির
-
অমিয়ধারা
-
শ্মশান-ভস্ম
-
মহরম শরীফ
-
-
কবির মৃত্যুর পর প্রকাশিত কাব্য:
-
প্রেমের ফুল
-
প্রেমের বাণী
-
প্রেম-পারিজাত
-
মন্দাকিনী-ধারা
-
গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ
-
0
Updated: 1 month ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 months ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।' বিখ্যাত উক্তিটি কার?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্রমথ চৌধুরী
C
সুফিয়া কামাল
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক। তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘বীরবল’ ব্যবহার করতেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে বিদ্যমান চিন্তা ও দর্শন তাঁর বিখ্যাত উক্তিগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তি:
-
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালিই পড়ে।
-
আনন্দের ধর্ম এই যে তা সংক্রামক।
-
সাহিত্যে মানবত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে।
-
যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।
-
যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম ও অবদান:
-
প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ করেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’ (১৯০২, ভারতী পত্রিকা)
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক
-
সম্পাদনা করেছেন ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি
রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন’ - কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
রাইফেল রোটি আওরাত
B
যাত্রা
C
জাহান্নম হইতে বিদায়
D
নেকড়ে অরণ্য
‘রাইফেল রোটি আওরাত’ উপন্যাস
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ রচনা করেন আনোয়ার পাশা।
-
এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রচিত এবং ১৯৭৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: ড. খালেক, ড. মালেক, ছাবেদ আলী, হাসমত, জামাল সাহেব প্রমুখ।
আনোয়ার পাশা
-
তিনি ছিলেন একাধারে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক।
-
জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ডাবকাই গ্রামে।
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago