'প্রেম-পারিজাত' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
ফররুখ আহমেদ
B
কায়কোবাদ
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
বেগম রোকেয়া
উত্তরের বিবরণ
কায়কোবাদ আধুনিক বাংলা মহাকাব্য ধারার শেষ কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৮৫৭ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শাহামতউল্লাহ আল কোরেশী ছিলেন ঢাকার জেলা-জজ আদালতের উকিল। প্রকৃত নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী, সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘কায়কোবাদ’। মাত্র তেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য বিরহবিলাপ প্রকাশিত হয়।
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
কুসুম-কানন
-
অশ্রুমালা
-
মহাশ্মশান (পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ, ১৭৬১, অবলম্বনে রচিত)
-
শিব-মন্দির
-
অমিয়ধারা
-
শ্মশান-ভস্ম
-
মহরম শরীফ
-
-
কবির মৃত্যুর পর প্রকাশিত কাব্য:
-
প্রেমের ফুল
-
প্রেমের বাণী
-
প্রেম-পারিজাত
-
মন্দাকিনী-ধারা
-
গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ
-
0
Updated: 1 month ago
"কপাল কুন্ডলা" উপন্যাসটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
তারাশংকর বঙ্গোপধ্যায়
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
সমরেশ বসু
‘কপালকুণ্ডলা’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি অমর সাহিত্যকর্ম, যা ১৮৬৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস, এবং সাহিত্য-রসিকদের মতে এটি একাধারে রোমান্স ও ট্র্যাজেডির সমন্বিত সৃষ্টি। উপন্যাসটি তার কাহিনির গভীরতা, রহস্যময়তা ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়।
উপন্যাসের কাহিনি গড়ে উঠেছে এক কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলাকে ঘিরে। অরণ্যে প্রতিপালিত এই নারী সমাজজীবনের সঙ্গে অপরিচিত। সে পরবর্তীতে নবকুমার নামের এক ভদ্রলোকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু তার অরণ্যজীবনের সরলতা ও সামাজিক জীবনের জটিলতার সংঘাত থেকেই সৃষ্টি হয় নানা দ্বন্দ্ব, যা উপন্যাসের মূল সুর নির্ধারণ করে। কপালকুণ্ডলার রহস্যময় অতীত ও তার ট্র্যাজিক পরিণতিই এ উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দু।
উপন্যাসের পটভূমিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রা নগর ও স্থাপত্য, অন্যদিকে আছে অরণ্য ও সমুদ্রের প্রকৃতির সৌন্দর্য ও রহস্য। এই দ্বৈত পটভূমি কাহিনিকে দিয়েছে এক অনন্য রোমাঞ্চময় পরিবেশ। কপালকুণ্ডলার চরিত্রের গভীরতা, তার জীবনের বেদনাময় পরিণতি এবং প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য — এই তিনটি উপাদান উপন্যাসটিকে করে তুলেছে বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক ও বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরুষ।
-
১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা উপন্যাসের ইতিহাসে তাঁকে বলা হয় “বাংলা উপন্যাসের জনক।”
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ছিল ‘ললিতা তথা মানস’।
-
তাঁর রচিত প্রথম এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হলো ‘দুর্গেশনন্দিনী’।
-
তাঁর জীবদ্দশায় ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের আটটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল, যা এর জনপ্রিয়তার প্রমাণ।
0
Updated: 1 month ago
'বায়ু' শব্দের প্রতিশব্দ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অনিল
B
পবন
C
অগ্নিসখ
D
কৃশানু
‘বায়ু’ শব্দের প্রতিশব্দ হলো—
-
বাতাস
-
অনিল
-
পবন
-
হাওয়া
-
সমীর
-
সমীরণ
-
বায়
-
বাত
-
মলয়
-
মরুৎ
-
প্রভঞ্জন
-
মারুত
-
অগ্নিসখ
-
বহ্নিসখ
-
জগতায়ু
-
জগৎপ্রাণ
-
জগদ্বল
-
গন্ধবহ
-
গন্ধবাহ
-
শব্দবহ
-
সদাগতি
-
প্রবমান
-
নভঃশ্বাস
-
বাভাস ইত্যাদি
উল্লেখ্য, ‘কৃশানু’ বায়ু শব্দের প্রতিশব্দ নয়।
‘অগ্নি’ শব্দের প্রতিশব্দ হলো—
-
অনল
-
বহ্নি
-
পাবক
-
হুতাশন
-
বৈশ্বানর
-
জ্বলন
-
কৃশানু
-
শিখাবৎ
-
শিখিন
-
বায়ুসখা
-
হুতভুক
-
শুচি
-
পিঙল
-
বিশ্বপা
-
হিমারাতি
-
বায়ুসখ
-
অনিলসখ
-
জগন্নু
-
সর্বভুক ইত্যাদি
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
কার হাত ধরে বাংলা অভিধানের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
B
রাজা রাম মোহন রায়
C
অশোক মুখোপাধ্যায়
D
হরিচরণ দে
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম অভিধানকার হিসেবে স্মরণীয়। তিনি শুধু অভিধান রচনা করেননি, বরং ব্রাহ্মসমাজের প্রথম আচার্য হিসেবেও খ্যাত। তাঁর জন্ম ১৭৮৬ সালে এবং মৃত্যু ১৮৪৫ সালের ২ মার্চ।
-
তিনি ছিলেন খ্যাতনামা স্মার্ত্ত ও ব্রাহ্মসমাজের প্রথম আচার্য।
-
১৮১৭ সালে তিনি বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান ‘বঙ্গভাষাভিধান’ সংকলন করেন।
-
‘বঙ্গভাষাভিধান’ হলো বাঙালি কর্তৃক রচিত বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান।
-
প্রায় দু’শো বছর আগে প্রকাশিত এই অভিধানকে ঘিরে আজও বাঙালির গর্বের শেষ নেই।
-
সে সময়কার প্রসিদ্ধ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্কুল বুক সোসাইটি এই অভিধানের মুদ্রণ ও প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago