A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
উত্তরের বিবরণ
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 week ago
বাক্যের তিনটি গুণ কী কী?
Created: 5 days ago
A
আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও বিধেয়
B
আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা
C
যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
D
কোনোটিই নয়
আদর্শ বাক্যের ৩টি দরকারি গুণ
একটি ভালো বা আদর্শ বাক্য গঠনের জন্য তিনটি গুণ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা
বাক্য বুঝতে গেলে এক শব্দের পর আরেকটি শব্দ কী আসবে, তার একটি আশা বা চাহিদা থাকে। এই চাহিদার নামই আকাঙ্ক্ষা।
উদাহরণ:
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
এই বাক্যটি অসম্পূর্ণ। এখানে বোঝা যাচ্ছে না কাজল লেখাপড়া করে নাকি করে না।
ঠিকভাবে বললে হবে: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
আসত্তি
একটি বাক্যের মধ্যে শব্দগুলোর সঠিক জায়গায় বসার নিয়মই হলো আসত্তি।
উদাহরণ:
নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
এই বাক্যে শব্দগুলোর জায়গা ঠিক না থাকায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
সঠিকভাবে বললে হবে: হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
যোগ্যতা
বাক্যের সব শব্দের মানে ও তথ্য যেন বাস্তবসম্মত ও মানানসই হয়, সেটাই হলো যোগ্যতা।
উদাহরণ:
বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
এই বাক্যটি ভুল, কারণ বর্ষাকালে রোদে প্লাবন হয় না।
সঠিকভাবে বললে হবে: বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াত মাহমুদ

0
Updated: 5 days ago
'তুমি আসবে বলে, আমি অপেক্ষা করছি।' - এটি কোন ধরনের বাক্য?
Created: 2 months ago
A
যৌগিক
B
সরল
C
খণ্ড
D
জটিল
জটিল বাক্য
যেসব বাক্যে সাপেক্ষ সর্বনাম (যেমন—যে-সে, যারা-তারা, যিনি-তিনি, যাঁরা-তাঁরা, যা-তা ইত্যাদি) এবং সাপেক্ষ যোজক (যেমন—যদি-তবে, যদিও-তবু, যেহেতু-সেহেতু, যত-তত, যেটুকু-সেটুকু, যেমন-তেমন, যখন-তখন ইত্যাদি) ব্যবহৃত হয়ে একাধিক অধীন বাক্য একত্রে যুক্ত থাকে, সে ধরনের বাক্যকে জটিল বাক্য বলে।
উদাহরণ:
-
যে ছেলেটি এখানে এসেছিল, সে আমার ভাই।
-
যদি তুমি যাও, তবে তার দেখা পাবে।
-
তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
'আকাশে মেঘ ছিল না, কিন্তু বজ্রপাত হলো।' - বাক্যটির সরল রূপ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বজ্রপাত হলো, তাই আকাশে মেঘ ছিল না।
B
আকাশে মেঘ না থাকলে কিন্তু বজ্রপাত হলো।
C
আকাশে মেঘ না থাকা সত্ত্বেও বজ্রপাত হলো।
D
আকাশে মেঘ থাকায় বজ্রপাত হলো।
যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্য
যৌগিক বাক্যে সাধারণত দুটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, অন্যদিকে সরল বাক্যে থাকে মাত্র একটি সমাপিকা ক্রিয়া। তাই যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে, মধ্যবর্তী সমাপিকা ক্রিয়াকে অসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ:
-
যৌগিক বাক্য: আকাশে মেঘ ছিল না, কিন্তু বজ্রপাত হলো।
সরল বাক্য: আকাশে মেঘ না থাকা সত্ত্বেও বজ্রপাত হলো। -
যৌগিক বাক্য: পরিশ্রম কর, তবেই ফল পাবে।
সরল বাক্য: পরিশ্রম করলে ফল পাবে।
উৎস:
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 months ago