মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি বলা হয় কাকে?
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
বেগম রোকেয়া
C
আল মাহমুদ
D
ফররুখ আহমদ
উত্তরের বিবরণ
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি হিসেবে পরিচিত এবং বাংলা সাহিত্যে কাব্য ও সনেটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ এবং প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো 'সাত সাগরের মাঝি'। ফররুখ আহমদ তাঁর কাহিনী কাব্য 'হাতেমতায়ী' এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন এবং একই সালে শিশুতোষ 'পাখির বাসা' এর জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি 'মুহূর্তের কবিতা' নামে একটি সনেট সংকলন রচনা করেছেন।
-
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
-

0
Updated: 21 hours ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ ঘটে-
Created: 1 week ago
A
কৃষ্ণকুমারী নাটকে
B
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যে
C
পদ্মাবতী নাটকে
D
মেঘনাদবধ কাব্যে
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন একজন মহাকবি ও নাট্যকার, যিনি বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
তিনি বাংলা ভাষার সনেট প্রবর্তক।
-
তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
-
প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন ‘পদ্মাবতী’ নাটকে (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ যা তিনি রচনা করেন তা হলো দ্য ক্যাপটিভ লেডি, যা ইংরেজিতে রচিত।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলো হলো:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মৃত্যুক্ষুধা
B
আলেয়া
C
ঝিলিমিলি
D
মধুমালা
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা।
- মৃত্যুক্ষুধা ।
- কুহেলিকা।
• 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাস:
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে।
- নারী জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।
- দারিদ্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবারে মেজ-বৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্ট ধর্মান্তর গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে ওঠে গল্পে। অন্যদিকে গল্পের নায়কা রুবি আনসারকে ভালোবাসালেও রুবির পিতা তাকে বিয়ে দেয় আইসিএস পরীক্ষার্থী মোয়াজ্জেমের সঙ্গে। মোয়াজ্জেমের মৃত্যুর পর বিধবা রুবির জীবনে নেমে আসে সমাজের বিধিনিষেধ।
• ‘বাঁধন-হারা' উপন্যাস:
• কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা' (১৯২৭)।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস।
- এতে ১৮টি পত্র রয়েছে।
- কাজী নজরুল ইসলাম করাচীতে অবস্থানকালে ‘বাধন-হারা' উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
- এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসের নায়ক নুরুল হুদা।
- অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে - রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ।
• 'কুহেলিকা' উপন্যাস:
- ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে 'নওরোজ' পত্রিকায় 'কুহেলিকা' উপন্যাস প্রকাশ আরম্ভ হয়।
- গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ পায় ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে(১৯৩১)।
- এ উপন্যাসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এসেছে অত্যন্ত বড় ক্যানভাসে।
- কুহেলিকা উপন্যাসের নায়ক জাহাঙ্গীর।
- এই উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি, ''ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।''
অন্যদিকে,
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তাঁর রচিত গীতিনাট্য: আলেয়া, মধুমালা।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তিনটি ছোট নাটকের গ্রন্থ হচ্ছে ঝিলিমিলি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর , বাংলাপিডিয়া মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার কবি হচ্ছেন -
Created: 6 days ago
A
গোবিন্দদাস
B
কোরেশী মাগন ঠাকুর
C
বিদ্যাপতি
D
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান মূলত মুসলিম চরিত্রনির্ভর এবং প্রণয়সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত সাহিত্যকর্ম। এটি মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্য ধারার অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মুসলিম সাহিত্যিকরা বিভিন্ন কাহিনি বাংলায় অনুবাদ ও রূপান্তর করে।
এই ধারার প্রধান কবিগণ—
-
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
সৈয়দ সুলতান
-
আবদুল হাকিম
-
আলাওল
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর প্রমুখ
অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যে—
-
বৈষ্ণব পদাবলির প্রধান কবি: গোবিন্দদাস, বিদ্যাপতি
-
মঙ্গলকাব্যের প্রধান কবি: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
উৎস:

0
Updated: 6 days ago