নিচের কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস?
A
সাম্য
B
মন্দির
C
রজনী
D
ইন্দিরা দেবী
উত্তরের বিবরণ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল দিকগুলোর পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত।
-
জন্ম ও জীবন: ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
উপন্যাসিক পরিচয়: বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে খ্যাত।
-
প্রথম রচনা: তাঁর প্রথম উপন্যাস 'রাজমোহনস ওয়াইফ' ইংরেজিতে লেখা।
-
বাংলা সাহিত্যে প্রভাব: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী' প্রকাশিত হয় ১৮৬৫ সালে।
-
দ্বিতীয় উপন্যাস: 'কপালকুণ্ডলা' প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: 'আনন্দমঠ', 'দেবী চৌধুরানী', এবং 'সীতারাম'।
উপন্যাসসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
প্রবন্ধসমূহ:
-
লোকরহস্য
-
কমলাকান্তের দপ্তর
-
বিবিধ সমালোচনা
-
সাম্য
-
কৃষ্ণচরিত্র
-
ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন
0
Updated: 1 month ago
'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
মোহাম্মদ নজীবর রহমান
B
কাজী ইমদাদুল হক
C
শেখ ফজলুল করিম
D
মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ
● 'আবদুল্লাহ' উপন্যাস
-
'আবদুল্লাহ' হলো কাজী ইমদাদুল হক রচিত একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।
-
এটি প্রথমে 'মোসলেম ভারত' নামের একটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হতো। পরে, ১৯৩৩ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসটি লেখার সময়েই কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যু হলে, তাঁর রেখে যাওয়া খসড়া ব্যবহার করে কাজী আনোয়ারুল কাদির উপন্যাসটি শেষ করেন।
-
এই উপন্যাসে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানবিক প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়েছে।
-
যদিও এটি শিল্পের দিক থেকে খুব উঁচু মানের উপন্যাস নয়, তবুও এতে বাঙালি মুসলমান সমাজের পরিবর্তন ও অগ্রগতির চিত্র স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তাই এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক।
● কাজী ইমদাদুল হক
-
কাজী ইমদাদুল হক জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮২ সালে খুলনা জেলায়।
-
তিনি মূলত ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখক হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
-
এই উপন্যাসটির মাধ্যমেই তিনি একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসেবে স্বীকৃতি পান।
-
তাঁর সাহিত্যচর্চার মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি মুসলমান সমাজের উন্নয়ন।
-
তিনি ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’ (১৯১৮) প্রকাশনার সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো:
-
আঁখিজল
-
মোসলেম জগতে বিজ্ঞানচর্চা
-
ভূগোল শিক্ষা প্রণালী (দুই খণ্ড)
-
নবীকাহিনী (প্রবন্ধ সংকলন)
-
কামারের কাণ্ড
-
আবদুল্লাহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সিন্দবাদ
B
পাঞ্জেরী
C
মহরম
D
আউলাদ
ফররুখ আহমদ মুসলিম জাগরণের এক প্রভাবশালী কবি, যিনি তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেন। এই কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে, এবং এতে মোট ১৯টি কবিতা সংকলিত আছে। গ্রন্থটির শেষ কবিতাটির নামও ‘সাত সাগরের মাঝি’।
কবিতাগুলো হলো
-
সিন্দবাদ
-
বা'র দরিয়ায়
-
দরিয়ায় শেষ রাত্রি
-
শাহরিয়ার
-
আকাশ-নাবিক
-
বন্দরে সন্ধ্যা
-
ঝরোকা’য়
-
ডাহুক
-
এই সব রাত্রি
-
পুরানো মাজারে
-
পাঞ্জেরী
-
স্বর্ণ-ঈগল
-
লাশ
-
তুফান
-
হে নিশান-বাহী!
-
নিশান
-
নিশান-বরদার
-
আউলাদ
-
সাত সাগরের মাঝি
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি, যিনি ইসলামী চেতনা, মানবতা এবং সামাজিক পরিবর্তনের বার্তা তাঁর কবিতায় তুলে ধরেছেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘লাশ’ কবিতার মাধ্যমে তিনি প্রথম সাহিত্যজগতে খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি তাঁর বিখ্যাত কাহিনি কাব্য ‘হাতেমতায়ী’-এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার পান এবং একই বছরে ‘পাখির বাসা’ শিশুতোষ গ্রন্থের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
ফররুখ আহমদ রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে কোনটি পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
গীতাঞ্জলি
B
বৈষ্ণব পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
চর্যাপদ
মঙ্গলকাব্য মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা, যা দেবমাহাত্ম্যমূলক সমাজচিত্রভিত্তিক কাহিনীর মাধ্যমে গঠিত। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে পরিচিত। বিশ্বাস করা হতো যে, এই কাব্য পাঠ বা শ্রবণ করলে সকল প্রকার অকল্যাণ দূর হয় এবং সর্ববিধ মঙ্গল লাভ হয়। সেই ধারণা থেকেই এ কাব্যের নামকরণ হয়েছে মঙ্গলকাব্য।
মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হলেন—
-
মনসা
-
চণ্ডী
-
ধর্মঠাকুর
এদের মধ্যে বিশেষভাবে মনসা ও চণ্ডী দেবীর প্রাধান্য বেশি। এই দেবতাদের কেন্দ্র করে মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান ধারা গড়ে উঠেছে—
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
উৎস:
0
Updated: 1 month ago