মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি বলা হয় কাকে?
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
বেগম রোকেয়া
C
আল মাহমুদ
D
ফররুখ আহমদ
উত্তরের বিবরণ
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি হিসেবে পরিচিত এবং বাংলা সাহিত্যে কাব্য ও সনেটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ এবং প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো 'সাত সাগরের মাঝি'। ফররুখ আহমদ তাঁর কাহিনী কাব্য 'হাতেমতায়ী' এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন এবং একই সালে শিশুতোষ 'পাখির বাসা' এর জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি 'মুহূর্তের কবিতা' নামে একটি সনেট সংকলন রচনা করেছেন।
-
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
-

0
Updated: 21 hours ago
রোহিনী কোন উপন্যাসের নায়িকা?
Created: 4 months ago
A
কৃষ্ণকান্তের উইল
B
চোখের বালি
C
গৃহদাহ
D
পথের পাঁচালী
কৃষ্ণকান্তের উইল (উপন্যাস)
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাসটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম এবং প্রকাশের সময়কালে এটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
-
উপন্যাসটির মূল চরিত্র রোহিনী—একজন বিধবা নারী—যার মাধ্যমে লেখক নৈতিকতা ও শিল্পবোধের দ্বন্দ্বকে অত্যন্ত জটিলভাবে উপস্থাপন করেন।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশায় এই গ্রন্থটি চারবার পুনর্মুদ্রিত হয়, যা তার জনপ্রিয়তা ও তাৎপর্য নির্দেশ করে।
-
উপন্যাসটির মুখ্য চরিত্র:
-
রোহিনী
-
গোবিন্দলাল
-
ভ্রমর
-
👤 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৩৮ সাল, চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ)।
-
সাহিত্যচর্চার সূচনা করেন ‘সম্বাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় কবিতা লিখে।
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম: ললিতা তথা মানস।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
প্লট নির্মাণ, চরিত্র রচনা, তাদের বিকাশ ও পরিবর্তনে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
দুর্গেশনন্দিনী
-
কপালকুন্ডলা
-
বিষবৃক্ষ
-
মৃণালিণী
-
রজনী
-
আনন্দমঠ
-
দেবী চৌধুরানী
-
সীতারাম
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
🖋️ তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধসমূহ:
-
লোকরহস্য
-
কমলাকান্তের দপ্তর
-
বিবিধ সমালোচনা
-
সাম্য
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর,
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম,
বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
রামপ্রসাদ সেন কোন ধরনের গানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত?
Created: 1 day ago
A
রাজসঙ্গীত
B
লোকগীতি
C
শ্যামাসঙ্গীত
D
ভজনগীতি
রামপ্রসাদ সেন ছিলেন বাংলা ভক্তিগীতির, বিশেষ করে শ্যামাসঙ্গীতের শ্রেষ্ঠ রূপকার, এক সাধককবি ও গায়ক। তিনি সংসারের বিভিন্ন দুঃখ-কষ্টকে গৌরব মনে করে মায়ের উদ্দেশে গান রচনা করেছিলেন, যেমন: ‘আমি কি দুঃখেরে ডরাই’।
-
রামপ্রসাদ প্রচুর গান রচনা করেছিলেন, যার বেশির ভাগ আজ হারিয়ে গেছে।
-
কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
তিনি ভক্তিভাব এবং রাগ ও বাউল সুরের মিশ্রণে একটি স্বতন্ত্র সুর সৃষ্টি করেন, যা বাংলা সঙ্গীতজগতে ‘রামপ্রসাদী সুর’ নামে পরিচিত।
-
রামপ্রসাদ নিজে এই সুরে কালী বা শ্যামার উদ্দেশে অনেক সঙ্গীত রচনা করেন, যা বিশেষভাবে শ্যামাসঙ্গীত নামে পরিচিত।

0
Updated: 1 day ago
পিস্টনের আয়তন যত বাড়ে ইঞ্জিনের শক্তি ততো বাড়ে। উক্তিটি _____?
Created: 1 week ago
A
সম্পর্কহীন
B
সত্য
C
মিথ্যা
D
কোনটিই নয়
প্রশ্নে বলা হয়েছে: “পিস্টনের আয়তন যত বাড়ে ইঞ্জিনের শক্তি ততো বাড়ে।”
এই উক্তিটি মিথ্যা।
কারণ
-
ইঞ্জিনের শক্তি পিস্টনের আয়তনের উপর নির্ভর করে না।
-
বরং এটি নির্ভর করে পিস্টন ও সিলিন্ডারের সংখ্যার উপর।
∴ তাই উক্তিটি মিথ্যা।

0
Updated: 1 week ago