'পথের পাঁচালী' উপন্যাসে অপুর মায়ের নাম কী?
A
মৃণালিনী
B
সর্বজয়া
C
নলিনী
D
বিনোদিনী
উত্তরের বিবরণ
'পথের পাঁচালী' বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস, যা গ্রামীণ জীবনের স্বচ্ছ চিত্রায়ণ ও মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত।
-
প্রকাশনা: ১৯২৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত এবং এর আগেই 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত।
-
পটভূমি: বাংলাদেশের গ্রাম এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
-
বিষয়বস্তু: শিশুর চৈতন্যের উদয়, মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয়।
-
উপন্যাসের তিনটি ভাগ: বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু, অক্রূর সংবাদ।
-
নায়ক: বালক অপু।
-
প্রধান চরিত্র:
-
অপু
-
দুর্গা
-
ইন্দির ঠাকরুন
-
সর্বজয়া (অপু ও দুর্গার মা)
-

0
Updated: 21 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন সালে শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন?
Created: 1 day ago
A
১৯০১
B
১৯১০
C
১৯২১
D
১৯৩০
শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা
-
১৮৬৩ সালে আশ্রম হিসেবে শান্তিনিকেতনের যাত্রা শুরু।
-
রায়পুরের জমিদার ভুবনমোহন সিনহার কাছ থেকে বিশ বিঘা জমি কিনে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। আশ্রমটি পশ্চিম বাংলার বীরভূম জেলার বোলপুরের কাছে অবস্থিত। উদ্দেশ্য ছিল গৃহী ব্যক্তিদের জাগতিক কাজ থেকে মুক্ত রেখে প্রার্থনায় সময় কাটানোর জন্য নির্জন আশ্রয় প্রদান।
-
১৮৮৮ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে অতিথিভবন, প্রার্থনা কক্ষ এবং ধর্মীয় সাহিত্যের জন্য গ্রন্থাগারের সংস্থান করা হয়।
-
১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিশুদের জন্য শান্তিনিকেতন আশ্রমে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
তিনি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবার।
-
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
অর্জন: ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ, এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রথম।
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে।
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্রা
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পূরবী
-
পুনশ্চ
-
পত্রপূট
-
সেঁজুতি
-
শেষলেখ্
-
কবি-কাহিনী ইত্যাদি

0
Updated: 1 day ago
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে?
Created: 2 weeks ago
A
পথের পাঁচালী
B
দৃষ্টিপ্রদীপ
C
ইছামতী
D
আরণ্যক
দৃষ্টিপ্রদীপ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যেখানে আধ্যাত্মিকতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট একত্রে মিশে গেছে। এটি প্রথমে প্রবাসী পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি মূলত জিতু নামের এক যুবকের জীবনকেন্দ্রিক, যিনি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি নিজের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র জিতু দার্জিলিংয়ে তার ভাই নিতাই ও বোন সীতাকে নিয়ে বসবাস করে।
-
জিতুর অভ্যন্তরীণ আধ্যাত্মিক যাত্রা ও জীবনযাত্রার নানা দিক উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
-
সমাজের কুসংস্কার ও প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি তার প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জিতুর চরিত্রের মাধ্যমে লেখক মানবজীবনের গভীর দার্শনিক প্রশ্ন ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি অন্বেষণ করেছেন।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৯৪, চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম।
-
বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী।
-
শেষ উপন্যাস: ইছামতী (১৯৫০ সালে প্রকাশিত)।
-
ইছামতী উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৪৯ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিতা
-
আরণ্যক
-
ইছামতী
-
দৃষ্টিপ্রদীপ
ছোটগল্পগ্রন্থ
-
মেঘমল্লার
-
মৌরীফুল
-
যাত্রাবদল
-
কিন্নরদল
কিছু উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য
-
পথের পাঁচালী: গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকাতরতা, পারিবারিক জীবনের সুখ-দুঃখ।
-
ইছামতী: প্রেম ও বিরহ, নদীকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা, প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক।
-
আরণ্যক: বনজীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, প্রকৃতিপ্রেম ও অরণ্যচারী জীবন, দুর্গম অঞ্চলের জীবনযাত্রা।

0
Updated: 2 weeks ago
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত কোন গ্রন্থটি বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে বাজেয়াপ্ত করা হয়?
Created: 2 days ago
A
স্পেন বিজয় কাব্য
B
তারাবাঈ
C
অনল প্রবাহ
D
স্বজাতি প্রেম
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত ‘অনল প্রবাহ’ মুসলিম জাগরণমূলক একটি কাব্য, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। কাব্যটি মুসলমানদের দুরবস্থা ও অধঃপতন তুলে ধরে এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও রোষ প্রকাশ করেছে। কাব্যটির মূল বার্তা হলো: “যা চলে গেছে তার জন্য শোক বৃথা, বরং জাতির হৃতগৌরব উদ্ধারের প্রচেষ্টা মুখ্য।”
-
প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল নয়টি:
-
অনল-প্রবাহ
-
তুর্যধ্বনি
-
মূর্ছনা
-
বীর-পূজা
-
অভিভাষণ: ছাত্রগণের প্রতি
-
মরক্কো-সঙ্কটে
-
আমীর-আগমনে
-
দীপনা
-
আমীর-অভ্যর্থনা
-
-
১৩১৫ বঙ্গাব্দে (১৯০৮) প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণ ছিল পরিবর্তিত ও বর্ধিত।
-
বর্ধিত সংস্করণের কারণে তৎকালীন বাংলার সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে এবং সিরাজীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি ফরাসি অধিকৃত চন্দননগরে ৮ মাস আত্মগোপন করেন এবং পরে আত্মসমর্পণ করলে বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড লাভ করেন।
সিরাজীর অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
উপন্যাস: রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম
-
প্রবন্ধ: স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
-
কাব্যগ্রন্থ: অনল প্রবাহ, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, স্পেন বিজয় কাব্য
-
ভ্রমণকাহিনি: তুরস্ক ভ্রমণ
উৎস:

0
Updated: 2 days ago