১ম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?
A
১৯৪৮ সালে
B
১৯৪৯ সালে
C
১৯৫১ সালে
D
১৯৫০ সালে
উত্তরের বিবরণ
মোট চারটি আরব-ইসরাইল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
১ম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৪৮):
-
ইসরায়েল এবং আরব রাষ্ট্রসমূহ ও ফিলিস্তিনি আরব বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক বাহিনী মধ্যে সংঘটিত।
-
আরবিতে এটি নাকবা (বিপর্যয়) এবং হিব্রুতে মিলখেমেত হাতজমাউত (স্বাধীনতা যুদ্ধ) নামে পরিচিত।
২য় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৫৬):
-
সংঘটিত হয় ১৯৫৬ সালে।
৩য় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৬৭):
-
ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করেছিল।
-
যুদ্ধের স্থায়িত্ব মাত্র ৬ দিন ছিল।
৪র্থ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৭৩):
-
Yom Kippur War নামে পরিচিত।
-
ইহুদিদের পবিত্র দিন ইয়ম কিপুরের সময় আরব জোট ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়।
-
মিশরীয় ও সিরিয়ান সেনারা যুদ্ধবিরতি রেখা ভেদ করে যথাক্রমে সিনাই উপদ্বীপ ও গোলান মালভূমিতে প্রবেশ করে।
-
যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ই তাদের নিজ নিজ মিত্রদের সহায়তা করে, ফলে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
0
Updated: 1 month ago
নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
হাজী মোহাম্মদ দানেশ
B
মওলানা আতাহার আলী
C
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
যুক্তফ্রন্ট ছিল ১৯৫০-এর দশকে পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে গঠিত একটি রাজনৈতিক জোট, যা প্রাদেশিক নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল।
-
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগকে মোকাবিলার জন্য চারটি রাজনৈতিক দল ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে জোট গঠন করে।
-
যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
-
১৯৫৪ সালের ৮-১২ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
যুক্তফ্রন্ট প্রধানত পূর্ব বাংলার চারটি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল:
১. আওয়ামী মুসলিম লীগ: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
২. কৃষক শ্রমিক পার্টি: শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক
৩. নেজামে ইসলাম পার্টি: মওলানা আতাহার আলী
৪. বামপন্থী গনতন্ত্রী দল: হাজী মোহাম্মদ দানেশ
0
Updated: 1 month ago
সৌদি আরবে আমেরিকান সৈন্য মোতায়েনের উদ্দেশ্য -
Created: 5 months ago
A
ইরাকের আক্রমণ হতে সৌদি আরবকে রক্ষা করা
B
ইরাকের কুয়েত দখল অবসান করা
C
স্বল্পমূল্যে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করা
D
উপরের সবকটি
সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সৌদি আরব আরব উপদ্বীপের বৃহৎ অংশজুড়ে বিস্তৃত একটি রাষ্ট্র। আয়তনের দিক থেকে এটি এশিয়ার পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে রয়েছে জর্দান ও ইরাক, উত্তর-পূর্বে কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন, পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ-পূর্বে ওমান এবং দক্ষিণে ইয়েমেন। সৌদি আরব ব্যতিক্রমীভাবে এমন একটি দেশ যার দুই দিকেই সমুদ্রসীমা রয়েছে—একদিকে লোহিত সাগর, অন্যদিকে পারস্য উপসাগর।
এই দেশটির ভূপ্রকৃতি প্রধানত মরুভূমি ও পাহাড়ঘেরা। ১৯৩২ সালে ইবনে সাউদের নেতৃত্বে সৌদি আরবে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি বিশেষ মর্যাদার অধিকারী, কারণ এখানেই মক্কা ও মদিনা নামক ইসলামের দুই পবিত্র নগর অবস্থিত। দেশটি বিশাল পরিমাণে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদের অধিকারী, যা তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি।
রাজধানী: রিয়াদ
দাপ্তরিক ভাষা: আরবি
মুদ্রা: সৌদি রিয়াল
জাতিসংঘে সদস্যপদ গ্রহণ: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫
সৌদি আরবে লিখিত সংবিধান নেই এবং তাদের জাতীয় পতাকায় কালেমা লেখা আছে, যা বিশ্বের একমাত্র এমন পতাকা যা কখনো অর্ধনমিত হয় না।
সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন:
তেল আবিষ্কারের পর সৌদি আরব দ্রুত এক ধনী রাষ্ট্রে রূপ নেয়। তবে জনসংখ্যা কম হওয়ায় তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে উপযুক্ত লোকের সংখ্যা সীমিত ছিল। ফলে প্রশিক্ষণের ঘাটতি ও কম জনবল মিলিয়ে সৌদি সেনাবাহিনী তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল।
এদিকে তাদের প্রতিবেশী ইরাক একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে এবং কুয়েতের উপর মালিকানা দাবি করে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ এলাকায় তেমন প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক বাধা ছিল না, কেবল বিস্তৃত মরুভূমি। সেক্ষেত্রে যদি ইরাকি বাহিনী সেই এলাকা দিয়ে আক্রমণ করত, তাহলে সৌদি সরকার প্রতিরোধ করতে অক্ষম হতো।
এই প্রতিরক্ষা দুর্বলতা দূর করতে এবং তাদের তেলক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখতে সৌদি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেয়। ফলে সৌদি আরবের ভূমিতে মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করা হয়। এর আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তেলের সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
এইভাবে সৌদি আরবের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে অনিবার্য করে তোলে।
উৎস: Britannica
[প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।]
0
Updated: 5 months ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' কত নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল?
Created: 1 month ago
A
১ নং
B
২ নং
C
৪ নং
D
৯ নং
বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল
-
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে উঠেছিল ফিল্ড হাসপাতাল।
-
২ নং সেক্টরে অবস্থিত এই হাসপাতালটি ‘বাংলাদেশ হাসপাতাল’ নামে পরিচিত।
-
প্রতিটি সেক্টরের হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট ছিল। ২ নং সেক্টর বিস্তৃত ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ পর্যন্ত।
-
২ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার: ভারতের আগরতলা (প্রথমে মতিনগর, পরে মেলাঘর)। নেতৃত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় গেরিলাযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনা মূলত এই সেক্টর থেকেই করা হতো।
চিকিৎসা ও পরিচালনা:
-
আহতদের জটিল ও সমন্বিত চিকিৎসা মূলত ভারতীয় হাসপাতালে দেওয়া হতো, তবে বাংলাদেশ হাসপাতাল সম্পূর্ণ বাংলাদেশি জনবল ও অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
-
হাসপাতালের নেপথ্য কারিগররা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এম এ মোবিন, প্রয়াত ডা. আখতার আহমেদ, ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ ও ডা. সিতারা বেগম।
-
ক্যাপ্টেন আখতার মেজর খালেদের সঙ্গে পরামর্শ করে কুমিল্লা সীমান্তের শ্রীমন্তপুর এলাকায় হাসপাতালের উদ্যোগ নেন।
-
ডা. আখতার কমান্ডিং অফিসার হলেও মূল কাজকর্ম চালাতেন ডা. নাজিম।
-
মে মাসে হাসপাতালে যোগ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মোবিন।
-
সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম।
-
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন ডা. আখতার, ডা. নাজিম, ডা. সিতারা এবং পরামর্শক হিসেবে ডা. মোবিন।
-
২ নং সেক্টরের সাবসেক্টরগুলোতে ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধারা দায়িত্বে থাকতেন।
0
Updated: 1 month ago