মানব হৃদপিন্ড সম্পূর্ণভাবে কয়টি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত?
A
১টি
B
২টি
C
৩টি
D
৪টি
উত্তরের বিবরণ
হৃদপিন্ড রক্ত সংবহন তন্ত্রের প্রধান অঙ্গ এবং এটি রক্ত পাম্পের মতো কাজ করে, ফলে রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত হয়।
-
হৃদপিন্ড বক্ষগহ্বরে, দুই ফুসফুসের মাঝখানে, সামান্য বাম দিকে অবস্থিত।
-
মানব হৃদপিন্ড চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত: উপরের দুটি হলো বাম ও ডান অলিন্দ, নিচের দুটি হলো বাম ও ডান নিলয়।
-
নিলয় অলিন্দের তুলনায় বড়, প্রাচীর পুরু এবং পেশিবহুল।
-
প্রকোষ্ঠগুলো আলাদা হলেও হৃদপিন্ড একক হিসাবে কাজ করে এবং এটি পেরিকার্ডিয়াম নামক পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।
-
হৃদপিন্ড অনৈচ্ছিক পেশি দ্বারা গঠিত।
কৈশিক জালিকা হল ধমনি ও শিরার সংযোগস্থলে থাকা সূক্ষ্ম রক্তনালি জালিকা, যা এক স্তর বিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়াম দিয়ে গঠিত।
-
কৈশিক জালিকার মাধ্যমে রক্ত এবং কোষের মধ্যে পুষ্টি, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, এবং বর্জ্য পদার্থ এর আদান-প্রদান ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি অপরিবাহী পদার্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 months ago
A
তামা
B
রূপা
C
কাচ
D
সিলিকন
অপরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের অপরিবাহী বলা হয়। যেমন: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
অধিকাংশ অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে আধান স্থির অবস্থায় সেই স্থানেই আবদ্ধ থাকে, সঞ্চালিত হয় না।
-
তাই দুটি আহিত বস্তুকে অপরিবাহী দিয়ে যুক্ত করলে আধান এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয় না এবং তড়িৎ প্রবাহ তৈরি করে না।
-
অর্থাৎ অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে।
পরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের পরিবাহী বলা হয়। যেমন: রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।
-
প্রায় সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
পরিবাহী পদার্থে আধান দিলে তা কোনো একটি স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে পুরো পদার্থে ছড়িয়ে পড়ে।
-
দুটি আহিত বস্তুকে পরিবাহীর মাধ্যমে যুক্ত করলে আধান সহজেই এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে।
-
পরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে না বললেই চলে। তবে তাপ প্রয়োগ করলে পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অর্ধপরিবাহী
-
কিছু পদার্থ যেমন সিলিকন, জার্মেনিয়াম ইত্যাদির তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি। এদেরকে অর্ধপরিবাহী বলা হয়।
-
অর্থাৎ, এদের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ সম্ভব, তবে পরিবাহীর তুলনায় কম এবং অপরিবাহীর তুলনায় বেশি।
-
একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো:
-
পরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা কমে যায় (রোধ বেড়ে যায়)।
-
কিন্তু অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় (রোধ কমে যায়)।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
'দিরহাম' কোন দেশের মুদ্রা?
Created: 1 month ago
A
কুয়েত
B
মরক্কো
C
জর্ডান
D
বাহরাইন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিম্নরূপ শ্রেণিবদ্ধ করা যায়:
রিয়াল:
-
সৌদি আরব
-
ওমান
-
ইয়েমেন
-
কাতার
-
ইরান
দিনার:
-
ইরাক
-
কুয়েত
-
জর্ডান
-
বাহরাইন
-
আলজেরিয়া
-
তিউনিশিয়া
দিরহাম:
-
সংযুক্ত আরব আমিরাত
-
মরক্কো
পাউন্ড:
-
মিশর
-
সিরিয়া
-
লেবানন
0
Updated: 1 month ago
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম -
Created: 1 month ago
A
বঙ্গ
B
পুন্ড্র
C
বরেন্দ্র
D
গঙ্গারিডাই
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম হলো 'পুন্ড্র', যা প্রাচীন বাংলার গুরুত্বপূর্ণ জনপদগুলোর মধ্যে একটি। পুন্ড্ররা ‘জন’ বা জাতি দ্বারা গঠিত ছিল এবং বঙ্গসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখত।
-
জনপদ: পুন্ড্র
-
রাজধানী: পুন্ড্রনগর (বর্তমান বগুড়া শহরের নিকটে করতোয়া নদীর তীরে, পরবর্তীতে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত)
-
পুন্ড্রদের বিস্তৃতি: বর্তমান বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে
-
ইতিহাস: সম্ভবত মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রি.পু. ২৭৩-২৩২ অব্দ) পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীনতা হারায়
-
পুন্ড্ররা বঙ্গসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নিকটজন ছিল
প্রাচীন বাংলার অন্যান্য জনপদসমূহ:
-
বঙ্গ
-
বরেন্দ্র
-
সমতট
-
হরিকেল
-
রাঢ়
-
চন্দ্রদ্বীপ
-
তাম্রলিপ্ত
-
গঙ্গারিডাই
-
গৌড়
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago