'চাঁদমুখ'-এর ব্যাসবাক্য হলো-
A
চাঁদমুখের ন্যায়
B
চাঁদের মত মুখ
C
চাঁদ মুখ যার
D
চাঁদরূপ মুখ
উত্তরের বিবরণ
• ভাষা- শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ অনুসারে,
উপমিত কর্মধারয় সমাস:
- যে কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমেয় পদের সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
- এই সমাসে উভয় পদই বিশেষ্য হয়।
- চাঁদের মতো মুখ = চাঁদমুখ।
• অভিগম্য অভিধান অনুসারে,
চাঁদমুখ = চাঁদের ন্যায় সুন্দর মুখ বা মুখবিশিষ্ট; চাঁদবদন।
• সংসদ বাংলা অভিধান অনুসারে,
- চাঁদের মতো মুখবিশিষ্ট = চাঁদমুখ।
• বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ) অনুসারে,
- মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ।
[সুতরাং ‘চাঁদমুখ’ শব্দের অধিক গ্রহণযোগ্য ব্যাসবাক্য হলো ‘চাঁদের মত মুখ’/‘চাঁদের ন্যায় মুখ’।]
0
Updated: 3 months ago
নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
অভ্যন্তরীন
B
আভ্যন্তরীন
C
অভ্যন্তরীণ
D
আভ্যন্তরীণ
শুদ্ধ বানান: অভ্যন্তরীণ
-
এটি একটি বিশেষণ পদ।
-
শব্দটি সংস্কৃত উৎসের।
অর্থ:
-
মধ্যবর্তী; অভ্যন্তরে আছে এমন।
0
Updated: 1 month ago
ধ্বনি-পরিবর্তনের নিয়মে কোনটি বর্ণ-বিপর্যয়-এর দৃষ্টান্ত?
Created: 1 month ago
A
রতন
B
কবাট
C
পিচাশ
D
মুলুক
'আনোয়ারা' হলো মোহাম্মদ নজিবর রহমানের রচিত একটি কালজয়ী সামাজিক উপন্যাস যা বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
এটি তার প্রথম ও সবচেয়ে সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত এবং উপন্যাসে ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয় এবং আনোয়ারার স্বামীনিষ্ঠার বিষয় প্রধানভাবে ফুটে উঠেছে।
-
প্রকাশের সাল ও স্থান: ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই (১৩২১ বঙ্গাব্দে) কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত।
-
প্রতিপাদ্য: ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয়, আনোয়ারার স্বামীনিষ্ঠা।
-
মূল চরিত্র: আনোয়ারা, নুরুল এসলাম, খাদেম, আজিমুল্লাহ, গোলাপজান।
-
লেখকের অন্যান্য রচনা:
-
চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি (১৯১৭)
-
পরিণাম (১৯১৮)
-
গরীবের মেয়ে (১৯২৩)
-
দুনিয়া আর চাই না (১৯২৪)
-
0
Updated: 1 month ago
'উদ্বন্ধন' - শব্দের শুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
উত্ঃ + বন্ধন
B
উদ্ + বন্ধন
C
উধ্ + বন্ধন
D
উৎ + বন্ধন
বাংলা ভাষায় সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধ্বনির সংযোগে উচ্চারণে পরিবর্তন ঘটে। বিশেষত ব্যঞ্জন ধ্বনির ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রথম অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে ঘোষ অল্পপ্রাণে রূপ নেয়। এর নিয়ম ও উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো।
-
ব্যঞ্জন ধ্বনিসমূহের যে কোনো বর্গের অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি-এর পর যদি থাকে—
-
একই বর্গের ঘোষ অল্পপ্রাণ বা ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি
-
ঘোষ অল্পপ্রাণ তালব্য ধ্বনি (য > জ)
-
ঘোষ অল্পপ্রাণ ওষ্ঠ ধ্বনি (ব)
-
ঘোষ কম্পনজাত দন্তমূলীয় ধ্বনি (র)
-
অথবা আবারো ঘোষ অল্পপ্রাণ ওষ্ঠ্য ধ্বনি (ব)
তবে প্রথম অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি উচ্চারণে ঘোষ অল্পপ্রাণ রূপে রূপান্তরিত হয়।
-
-
উদাহরণ:
-
উৎ + ঘাটন → উদঘাটন
-
উৎ + যোগ → উদ্যোগ
-
উৎ + বন্ধন → উদ্বন্ধন
-
তৎ + রূপ → তদ্রুপ
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago