চর্যাপদের কোন কবির প্রকৃত নাম 'শান্তিদেব'?
A
কাহ্নপা
B
লুইপা
C
ভুসুকুপা
D
ভাদেপা
উত্তরের বিবরণ
চর্যাগীতির ইতিহাসে ভুসুকুপা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর রচিত পদগুলো চর্যাপদ গ্রন্থে সংরক্ষিত।
-
সংগ্রহিত পদ: মোট আটটি পদ চর্যাপদে অন্তর্ভুক্ত।
-
নামের ব্যাখ্যা: নানা কিংবদন্তি অনুযায়ী ভুসুকুপা নামটিকে ছন্দের নাম হিসেবে ধরা হয়। প্রকৃত নাম ছিল শান্তিদেব।
-
কালক্রম: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, শান্তিদেব ভুসুকু সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবনযাপন করেছিলেন।
-
জীবনকাল: তাঁর জীবৎকালের শেষ সীমা ৮০০ সাল।
-
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮০৬ সাল) ভুসুকুপা সক্রিয় ছিলেন।
0
Updated: 1 month ago
আমি, তুমি ও সে
Created: 6 days ago
A
সবাই
B
আমাদের
C
আমরা
D
সকলে
এই বাক্যে ‘আমি, তুমি ও সে’ একত্রে মিলিত হয়ে একটি সমষ্টিগত অর্থ প্রকাশ করে। এখানে তিনটি পৃথক সর্বনাম একসাথে ব্যবহৃত হয়ে নিত্য সমাস গঠন করেছে, যার ফলাফল একটি বহুবচন রূপ — “আমরা”।
-
আমি, তুমি ও সে — তিনটি একবচন সর্বনাম মিলে যৌথভাবে একবচন নয়, বহুবচন অর্থ প্রকাশ করে।
-
এর মাধ্যমে বোঝানো হয় সকল বক্তা ও শ্রোতাকে একত্রে নির্দেশ করা।
-
এই ধরনের গঠন ভাষায় সম্প্রক্তি বা ঐক্যবোধ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
তাই “আমি, তুমি ও সে” মিলিয়ে সঠিক অর্থ দাঁড়ায় — “আমরা”, যা নিত্য সমাসের উদাহরণ।
0
Updated: 6 days ago
কোনটি অপপ্রয়োগ?
Created: 1 month ago
A
আরক্ত
B
সুস্বাগত
C
যদ্যপি
D
বিবিধ
সমার্থ শব্দের বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ: বিস্তারিত বিশ্লেষণ
সুস্বাগত:
-
অর্থ: স্বাগত, অভ্যর্থনা।
-
সমস্যা: এখানে ‘সু’ যোগ করা অনাবশ্যক। মূল শব্দ স্বাগত যথেষ্ট অর্থবোধক। অতিরিক্ত ‘সু’ ব্যবহারে শব্দের গঠন ও শুদ্ধতা নষ্ট হয়।
-
উদাহরণ (অশুদ্ধ): অতিথিকে সুস্বাগত জানাই।
-
উদাহরণ (শুদ্ধ): অতিথিকে স্বাগত জানাই।
শুদ্ধ ব্যবহারবিধি:
-
বিবিধ — বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন বিষয় নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
যদ্যপি — ‘যদিও’ বা ‘যদ্যপিও’ এর সমার্থক; কোনো বিষয় ঘটলেও বা সত্য হলেও।
-
আরক্ত — রক্তহীন, রক্তবিহীন; সাধারণভাবে রক্তহীনতা বা নীরবতা বোঝাতে।
সম্পর্ক:
-
সমার্থ শব্দের বাহুল্য বা অপ্রয়োজনীয় সংযোজন শব্দের শুদ্ধ ব্যবহারকে বিকৃত করে।
-
‘সুস্বাগত’ উদাহরণে এটি স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
0
Updated: 1 month ago
১০) চর্যাপদের চর্যাগুলো কে রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
বৈষ্ণব কবিরা
B
বৌদ্ধ সহজিয়াগণ
C
হিন্দু সাধকরা
D
শৈব সাধকরা
চর্যাপদের তত্ত্ব
রচনা ও বিষয়বস্তু
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে মূলত বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা ও দর্শন ফুটে উঠেছে।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য
-
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন নেপালের তরাই অঞ্চলের তৎকালীন কপিলাবস্তু-তে।
-
তিনি সাধনা করেছেন গয়া ও বারানসিতে, এবং মতবাদ প্রচার করেছেন বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে।
-
বুদ্ধের কোনো লিখিত রচনা নেই, তার শিক্ষা মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
-
তবে বুদ্ধের বাণী কেবল বৌদ্ধ শাস্ত্র নয়, তা ধর্ম, দর্শন ও সাধনার মূল।
পরবর্তীকালে অবদানকারী ভিক্ষু ও তত্ত্ববিদগণ
-
আনন্দ, শারিপুত্র, মৌয়ল্য-পুত্রতিষ্য, অসঙ্গ, বসুবন্ধু, নাগার্জুন, আর্যদেব, চন্দ্রকীর্তি, শান্তিদেব, কুমারাত, ধর্মপাল, শান্তরক্ষিত, সরোজবজ্র (সরহ), তিল্লো পা, কাহ্ন পা প্রমুখ।
-
এদের অবদানে বৌদ্ধ ধর্মের শাস্ত্র, সাহিত্য, দর্শন ও চর্যা-পদ্ধতি গড়ে উঠেছে।
ভাষা ও শাখা
-
চর্যাপদসহ বৌদ্ধ তত্ত্ব ও সাহিত্য পালি, সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে লিখিত হয়েছিল।
-
বৌদ্ধ মতবাদ বিভিন্ন শাখা ও প্রশাখায় বিভক্ত।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 3 months ago