কোন বাক্যে আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা বোঝায়?
A
আবেগসূচক
B
প্রশ্নবোধক
C
বিবৃতিমূলক
D
অনুজ্ঞাসূচক
উত্তরের বিবরণ
বাংলা বাক্যের প্রকারভেদ এবং তাদের ব্যবহার সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো। বাক্যের ধরন অনুযায়ী অর্থ, উদ্দেশ্য এবং উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।
-
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ বা প্রার্থনা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: আমাকে একটি কলম দাও।
-
উদাহরণ: তার মঙ্গল হোক।
-
-
বিবৃতিমূলক বাক্য: সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের বাক্য ইতিবাচক বা নেতিবাচক হতে পারে।
-
উদাহরণ: আমরা রোজ বেড়াতে যেতাম।
-
উদাহরণ: তারা তোমাদের ভোলেনি।
-
-
প্রশ্নবোধক বাক্য: বক্তা কারও কাছ থেকে কিছু জানতে চাইলে যে ধরনের বাক্য ব্যবহার করে, তা প্রশ্নবাচক।
-
উদাহরণ: তোমার নাম কী?
-
উদাহরণ: সুন্দরবনকে কোন ধরনের বনাঞ্চল বলা হয়?
-
-
আবেগসূচক বাক্য: মনের আবেগ, বিস্ময় বা আকস্মিক ভাব প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
বিস্ময় প্রকাশে: কী বীভৎস, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড।
-
আবেগ প্রকাশে: বাহ্! অনেক সুন্দর লাগছে প্রাকৃতিক দৃশ্য।
-
0
Updated: 1 month ago
যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের দাঁতে লেগে বায়ুতে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
দন্তমূলীয়
B
দন্ত্য
C
মূর্ধন্য
D
কণ্ঠনালীয়
বাংলা ভাষার ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় জিভ, ঠোঁট ও কণ্ঠের বিভিন্ন অঙ্গের অবস্থান ও বায়ুপথে বাধা সৃষ্টির ভিন্নতার ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এই বিভাজন অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিকে কণ্ঠ্য, তালব্য, মূর্ধন্য, দন্ত্য, দন্তমূলীয়, ওষ্ঠ্য ও কণ্ঠনালীয়—এই কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।
তথ্যসমূহ:
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ।
-
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
-
এদের দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনিও বলা হয়।
-
উদাহরণ: প, ফ, ব, ভ, ম।
-
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন:
-
জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে উচ্চারিত হয়।
-
উদাহরণ: ন, র, ল, স।
-
-
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন:
-
ধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ু কণ্ঠনালি হয়ে সরাসরি মুখগহ্বর দিয়ে বের হয়।
-
উদাহরণ: হ।
-
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন:
-
জিভের ডগা দন্তমূল ও তালুর মাঝখানের উঁচু অংশ (মূর্ধা)-এর সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ়।
-
-
তালব্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের সামনের অংশ শক্ত তালুর কাছে উঠে গিয়ে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: চ, ছ, জ, ঝ, শ।
-
-
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে নরম তালুর কাছে গিয়ে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ।
-
অতিরিক্ত তথ্য:
এই শ্রেণিবিন্যাসকে ধ্বনিবিজ্ঞানে ‘উচ্চারণস্থানভিত্তিক ব্যঞ্জনবিভাগ’ বলা হয়। এটি বোঝায় কোন অঙ্গের মাধ্যমে এবং কোথায় বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ধ্বনি উৎপন্ন হয়।
0
Updated: 1 month ago
‘আনারস’ কোন ভাষার শব্দ?
Created: 1 month ago
A
ওলন্দাজ
B
গুজরাটি
C
পর্তুগিজ
D
জাপানি
পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত শব্দ – আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রী ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
"বৃষ্টি আসে আসুক।" - এই বাক্যে ক্রিয়ার ভাব কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সাপেক্ষ ভাব
B
নির্দেশক ভাব
C
অনুজ্ঞা ভাব
D
আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব
বাক্য "বৃষ্টি আসে আসুক" একটি ক্রিয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাবের উদাহরণ, যা বক্তার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা সরাসরি প্রকাশ করে। ক্রিয়ার ভাব হলো সেই গুণ বা ধরন যা ক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটনার রীতি বা প্রকার নির্দেশ করে। ক্রিয়ার ভাবকে মূলত চার ভাগে বিভক্ত করা যায়।
• নির্দেশক ভাব: সাধারণ ঘটনা নির্দেশ করা বা কোনো বিষয় জিজ্ঞাসা করার সময় ক্রিয়াপদ নির্দেশক ভাব প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: তারা বাড়ি যাবে।
• অনুজ্ঞা ভাব: আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধ বা আশীর্বাদ নির্দেশ করার সময় ক্রিয়াপদ অনুজ্ঞা ভাব প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: চুপ করো, মিথ্যা বলবে না, ডেকে দেয় পাষণ্ড!
• সাপেক্ষ ভাব: একটি ক্রিয়ার সংঘটন অন্য ক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল হলে নির্ভরশীল ক্রিয়াপদকে সাপেক্ষ ভাব বলা হয়।
-
উদাহরণ: যদি সে পড়ত, তবে পাস করত।
-
উদাহরণ: আজ বাবা বেঁচে থাকলে আমার এত কষ্ট হতো না।
• আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব: ক্রিয়াপদ যে সরাসরি বক্তার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, তাকে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব বলা হয়।
-
উদাহরণ: সে যাক, বৃষ্টি আসে আসুক, তার মঙ্গল হোক।
0
Updated: 1 month ago