বাংলা ভাষার কোন রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল?
A
সাধুরীতি
B
লেখ্যরীতি
C
কথারীতি
D
চলিতরীতি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার সাধুরীতির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। সাধু রীতি প্রধানত শুদ্ধ, উচ্চমানের সাহিত্যিক ভাষার ধরন, যা সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস অনুসরণ করে।
-
সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস: বাংলা লেখ্য সাধু রীতি নির্দিষ্ট ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে এবং এর পদবিন্যাস অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত ও স্পষ্ট।
-
গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল: এ রীতি গুরুগম্ভীর ভাবসম্পন্ন এবং এতে প্রাচীন তৎসম শব্দের ব্যবহার প্রচলিত।
-
নাটকীয় সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অপ্রযোজ্য: সাধু রীতি নাটকের সংলাপ বা সরাসরি বক্তৃতার জন্য সাধারণত উপযুক্ত নয়।
-
বিশেষ গঠনপদ্ধতি অনুসরণ: এই রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ ধরনের গঠনপদ্ধতি মেনে ব্যবহার করা হয়।

0
Updated: 23 hours ago
'কথায় কথায়' - কোন দ্বিরুক্ত বাচক শব্দ?
Created: 3 days ago
A
পুনরাবৃত্ত
B
অনুকার
C
ধ্বন্যাত্মক
D
কোনোটিই নয়
বাংলা ব্যাকরণে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হলো এমন শব্দগুচ্ছ যা পুনরায় আবৃত্ত হয়। এটি হতে পারে বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব সাধারণত অভিব্যক্তি বা বর্ণনার বল বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।
-
বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত:
-
ভালো ভালো (কথা)
-
কত কত (লোক)
-
হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা)
-
ঘুম ঘুম (চোখ)
-
উড় উড়ু (মন)
-
গরম গরম (জিলাপি)
-
হায় হায় (করা)
-
-
বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত:
-
কথায় কথায় (বাড়া)
-
মজার মজার (কথা)
-
ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা)
-
চোখে চোখে (রাখা)
-
মনে মনে (হাসা)
-
সুরে সুরে (বলা)
-
পথে পথে (হাঁটা)
-
উৎস:

0
Updated: 3 days ago
’সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
ফররুখ আহমদ
B
আহসান হাবিব
C
হাসান হাফিজুর রহমান
D
শামসুর রাহমান
ফররুখ আহমদ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কবি, যিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ বা ‘মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাঁর কাব্যের মূল লক্ষ্য ছিল মুসলিম সংস্কৃতির গৌরবকীর্তন এবং জাতীয় চেতনার পুনর্জাগরণ। পাকিস্তানবাদ, ইসলামিক আদর্শ এবং আরব-ইরানের ঐতিহ্য তাঁর কবিতায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
ফররুখ আহমদ হাতেমতায়ী কাহিনিকাব্যের জন্যে আদমজি পুরস্কার এবং পাখির বাসা গ্রন্থের জন্যে ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনিরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
হাতেমতায়ী
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
শিশুতোষ রচনা
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
ছড়ার আসর
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
কে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
Created: 1 week ago
A
ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু বর্ণিত আছে।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago