বাংলা ভাষার কোন রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল?
A
সাধুরীতি
B
লেখ্যরীতি
C
কথারীতি
D
চলিতরীতি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার সাধুরীতির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। সাধু রীতি প্রধানত শুদ্ধ, উচ্চমানের সাহিত্যিক ভাষার ধরন, যা সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস অনুসরণ করে।
-
সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস: বাংলা লেখ্য সাধু রীতি নির্দিষ্ট ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে এবং এর পদবিন্যাস অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত ও স্পষ্ট।
-
গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল: এ রীতি গুরুগম্ভীর ভাবসম্পন্ন এবং এতে প্রাচীন তৎসম শব্দের ব্যবহার প্রচলিত।
-
নাটকীয় সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অপ্রযোজ্য: সাধু রীতি নাটকের সংলাপ বা সরাসরি বক্তৃতার জন্য সাধারণত উপযুক্ত নয়।
-
বিশেষ গঠনপদ্ধতি অনুসরণ: এই রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ ধরনের গঠনপদ্ধতি মেনে ব্যবহার করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়–
Created: 2 months ago
A
সহজবোধ্যতা
B
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য
C
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার
D
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা
চলিত ভাষা হলো সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, যা সহজ, সাবলীল এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার উপযোগী। এর বৈশিষ্ট্য হলো—
-
সহজবোধ্যতা (ক) → চলিত ভাষার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য (খ) → কথোপকথনে ‘টুকটাক’, ‘ঝমঝম’, ‘ঠকঠক’ প্রভৃতি ধ্বন্যাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
-
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা (ঘ) → চলিত ভাষা সাহিত্যে, বক্তৃতায় ও সামাজিক পরিসরে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু—
-
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার (গ) → এটি সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য, চলিত ভাষার নয়। চলিত ভাষায় দেশজ, তদ্ভব ও প্রয়োজনে বিদেশি শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়, সংস্কৃত শব্দের আধিক্য নয়।
তাই সঠিক উত্তর (গ) সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার।
0
Updated: 2 months ago
প্রবাসী বন্ধুকে লেখা পত্রের ঠিকানা কোন ভাষায় লিখতে হয়?
Created: 2 months ago
A
বাংলা ভাষায়
B
অবস্থানকারী দেশের ভাষায়
C
প্রেরকের নিজের ভাষায়
D
ইংরেজি ভাষায়
প্রবাসী বন্ধুকে চিঠি লেখার সময় কতগুলো নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। তার মধ্যে ইংরেজী - ভাষায় ঠিকানা লেখা একটি। ইংরেজি তে ঠিকানা লিখলে এটি প্রবাসী কারো কাছে লেখা এটা বুঝতে সুবিধা হয়।
0
Updated: 2 months ago
সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয়—
Created: 2 months ago
A
সম্বোধন পদ
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভা বর্ধন করে, কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে। সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয় অব্যয় পদ।
0
Updated: 2 months ago