কোনটি বস্তু-বিশেষ্য?
A
বই
B
ফুল
C
গরু
D
ইত্তেফাক
উত্তরের বিবরণ
বস্তু-বিশেষ্য হলো সেই শব্দ যা কোনো দ্রব্য বা বস্তুর নাম প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: ইট, লবণ, আকাশ, টেবিল, বই ইত্যাদি
-
অন্যান্য প্রকার:
-
নাম-বিশেষ্য: ইত্তেফাক
-
জাতি-বিশেষ্য: গরু, ফুল
-
0
Updated: 1 month ago
'যা বলা হয়নি' এর এক কথায় প্রকাশ-
Created: 1 month ago
A
অনুক্ত
B
অবাচ্য
C
অকথ্য
D
অব্যাক্ত
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ বা ভাবকে এক কথায় প্রকাশ করা যায়, যা বাক্যকে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ তুলে ধরা হলো।
-
যা বলা হয়নি → অনুক্ত
-
বলা অনুচিত এমন → অবাচ্য
-
যা বলার যোগ্য নয় → অকথ্য
-
যা কখনো নষ্ট হয় না → অবিনশ্বর
-
যা মর্ম স্পর্শ করে → মর্মস্পর্শী
-
যা অতি দীর্ঘ নয় → নাতিদীর্ঘ
-
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না → অজ্ঞাতকুলশীল
-
যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না → বর্ণচোরা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'যাহারা ভালো, তাহারা পুরস্কৃত হইবে' – এখানে 'যাহারা, তাহারা' কী?
Created: 2 months ago
A
অব্যয়
B
বিশেষণ
C
সর্বনাম
D
যোজক অব্যয়
সর্বনাম পদ
‘যাহারা ভালো, তাহারা পুরস্কৃত হইবে’ – এখানে যাহারা ও তাহারা হলো সাপেক্ষ সর্বনামের উদাহরণ।
সংজ্ঞা:
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।
বাংলা ভাষায় সর্বনামকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা হয়—
-
ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম
-
আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
-
-
আত্মবাচক সর্বনাম
-
স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
-
-
সামীপ্যবাচক সর্বনাম
-
এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
-
-
দূরত্ববাচক সর্বনাম
-
ঐ, ঐসব।
-
-
সাকুল্যবাচক সর্বনাম
-
সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
-
-
প্রশ্নবাচক সর্বনাম
-
কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে?
-
[প্রশ্ন করার জন্য প্রশ্নবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: কী দিয়ে ভাত খায়?]
-
-
অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম
-
কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
-
-
ব্যতিহারিক সর্বনাম
-
আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
-
-
সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম
-
যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
-
-
অন্যাদিবাচক সর্বনাম
-
অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
-
-
সাপেক্ষ সর্বনাম
-
যেমন: যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন (যেমন কর্ম, তেমন ফল)।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
"ন, র, ল, স" কোন শ্রেণির ব্যঞ্জনধ্বনি?
Created: 1 month ago
A
দন্তমূলীয়
B
মূর্ধন্য
C
তালব্য
D
কণ্ঠ্য
বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভাজন করা হয়। প্রতিটি শ্রেণির ধ্বনির উচ্চারণের সময় জিভ, ঠোঁট বা কণ্ঠনালির অবস্থান অনুযায়ী বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হয়। নিচে এসব ব্যঞ্জনধ্বনির প্রকার ও তাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
-
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলো দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন।
-
ন, র, ল, স হলো দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় ধ্বনিদ্বার থেকে বায়ু কণ্ঠনালি হয়ে সরাসরি বেরিয়ে আসে।
-
এই ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনির একমাত্র উদাহরণ হলো হ।
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
এগুলোকে দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনি নামেও ডাকা হয়।
-
প, ফ, ব, ভ, ম হলো ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
দন্ত্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হয়।
-
ত, থ, দ, ধ হলো দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
-
দন্তমূল ও তালুর মাঝের উঁচু অংশ, যাকে মূর্ধা বলা হয়, সেখানে জিভের ডগা লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হলে এই ধ্বনিগুলো তৈরি হয়।
-
ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় হলো মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
তালব্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
চ, ছ, জ, ঝ, শ হলো তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে নরম তালুর কাছে (আলজিভের নিকটে) বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
ক, খ, গ, ঘ, ঙ হলো কণ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
0
Updated: 1 month ago