'কাশবনের কন্যা' কোন জাতীয় রচনা?
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
ছোটগল্প
উত্তরের বিবরণ
কাশবনের কন্যা
‘কাশবনের কন্যা’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম। গ্রামীণ সমাজ ও জীবনের আবহকে ঘিরে লেখা এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। এতে লেখক বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষদের জীবন ও সংস্কৃতিকে গভীর দরদের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। দারিদ্র্য এবং কষ্টের বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসে গ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে এক বিশ্বাসভিত্তিক শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে—যেখানে রয়েছে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা এবং আত্মিক সুখের অন্বেষণ।
উপন্যাসটিতে বিশেষভাবে চিত্রায়িত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, লোকজ সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ দিগন্ত। এতে মুখ্য চরিত্র হিসেবে উঠে এসেছে: সিকদার, হোসেন, জোবেদা ও মেহেরজান প্রমুখ।
• শামসুদ্দীন আবুল কালাম
বাংলা কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম শামসুদ্দীন আবুল কালাম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের আগস্ট মাসে, বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে। শিক্ষা জীবন শুরু করেন বরিশাল জেলা স্কুলে, যেখানে থেকে তিনি ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
এরপর ১৯৪৩ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মগুলো হলো:
গল্পগ্রন্থ
-
অনেক দিনের আশা
-
ঢেউ
-
পথ জানা নাই
-
দুই হৃদয়ের তীর
-
শাহের বানু
উপন্যাস
-
আলমনগরের উপকথা
-
কাশবনের কন্যা
-
কাঞ্চনমালা
-
জায়মঙ্গল
-
কাঞ্চনগ্রাম
-
পুঁই ডালিমের কাব্য
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞেসা’ — ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’।

0
Updated: 1 month ago
প্রমথ চৌধুরী রচিত গল্পগ্রন্থ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
পদচারণ
B
সনেট পঞ্চাশৎ
C
চার ইয়ারী কথা
D
কোনোটিই নয়
‘চার ইয়ারী কথা’ গল্পগ্রন্থ
-
‘চার ইয়ারী কথা’ প্রমথ চৌধুরীর একটি উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এতে চার বন্ধুর প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যেখানে নায়িকারা সবাই ইউরোপীয়।
-
গল্পগ্রন্থের চার নায়িকার বৈশিষ্ট্য:
-
প্রথম নায়িকা— উন্মাদ
-
দ্বিতীয় নায়িকা— চোর
-
তৃতীয় নায়িকা— প্রতারক
-
চতুর্থ নায়িকা— মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করেছে
-
-
এ গ্রন্থে ভাষার চাতুর্য, পরিহাসপ্রিয়তা ও সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ভাবালু প্রেমকাহিনীর প্রতি এখানে প্রতিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যায়।
প্রমথ চৌধুরীর কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
'বোবাকাহিনী' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
Created: 3 months ago
A
রুপাই
B
বছির
C
মুনিম
D
মকবুল
বোবা কাহিনী (১৯৬৪)
লেখক: জসীম উদ্দীন
এই উপন্যাসে গ্রামীণ জীবনের করুণ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
-
গ্রামের প্রান্তিক চাষি আজহার মহাজনী শোষণের কারণে ভূমিহীন হয়ে পড়ে।
-
মেধাবী যুবক বছির শহরের সুবিধাবাদী উকিল ও ভণ্ড ধার্মিকদের দ্বারা নিগৃহীত হয়।
-
উপন্যাসে সরল ও সাদামাটা একটি গল্প রয়েছে, যা বিশেষ কোনো জটিলতা ছাড়া পাঠযোগ্য।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: বছির, আজহার, আরজান, রহিমুদ্দিন।
জসীম উদ্দীন (১৯০৩–১৯৭৬)
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর (মাতুলালয়ে)।
-
পরিচিতি: পল্লিকবি হিসেবে খ্যাত।
-
মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬, ঢাকা।
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
নক্সী কাঁথার মাঠ (১৯২৯) – অনুবাদ: The Field of the Embroidered Quilt (E.M. Millford)
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মা যে জননী কান্দে
-
রাখালী
নাটকসমূহ
-
পদ্মাপাড়
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মায়া
ভ্রমণকাহিনি
-
চলে মুসাফির
-
হলদে পরীর দেশ
-
যে দেশে মানুষ বড়
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 2 weeks ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago