জাতীয় চিত্রশালা বাংলাদেশ” কোথায় অবস্থিত?
A
সাভার
B
আগারগাঁও
C
শাহবাগ
D
সেগুনবাগিচা
উত্তরের বিবরণ
শিল্পকলা একাডেমি হলো বাংলাদেশের একটি জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, যা দেশের চিত্রকলার সমৃদ্ধি ও শিল্প সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
দেশের ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি (জাতীয় চিত্রশালা) অবস্থিত সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমিতে।
-
এটি মূলত একটি চারুকলা গ্যালারি, যেখানে চিত্রকলা ও শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।
-
গ্যালারিতে জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসানসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংরক্ষিত রয়েছে।
-
এর রূপকল্প হলো শিল্প, সংস্কৃতি-ঋদ্ধ, সৃজনশীল ও মানবিক বাংলাদেশ।
-
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের সংস্কৃতিচর্চার একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।

0
Updated: 23 hours ago
বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা' এর চিত্রকর কে?
Created: 1 month ago
A
জয়নুল আবেদিন
B
কামরুল হাসান
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান – প্রখ্যাত বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী
-
কামরুল হাসান ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, যিনি ‘পটুয়া’ নামেও পরিচিত।
-
১৯৪৮ সালে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঢাকায় একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
১৯৬০ সালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মের মূল উপাদান হলো: নর-নারী, পশুপাখি (প্রধানত গরু ও শৃগাল), সাপ এবং প্রকৃতি।
-
শিল্পকর্মে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন, যেমন: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৮৪) ও বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫)।
কামরুল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম ও অবদান:
-
বিখ্যাত চিত্রকর্ম: ‘তিনকন্যা’ ও ‘নাইওর’। এগুলোর উপর ভিত্তি করে যথাক্রমে যুগোস্লাভিয়া সরকার (১৯৮৫) ও বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীকের ডিজাইনার এবং জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকারী।
-
স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি খুবই জনপ্রিয়।
-
বাংলাদেশের বিমান সংস্থার বিখ্যাত ‘বলাকা’ লোগো ডিজাইন করেছিলেন তিনি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
’মনপুরা-৭০’ কী?
Created: 2 weeks ago
A
জাদুঘর
B
চিত্রশিল্প
C
চলচ্চিত্র
D
ঘূর্ণিঝড়
‘মনপুরা-৭১’ একটি প্রখ্যাত চিত্রকর্ম যা ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো মানুষের স্মৃতিকে উজ্জীবিত করতে আঁকা হয়েছিল। এই ৩০ ফুট দীর্ঘ চিত্রশিল্পটি বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পী জয়নুল আবেদিনের সৃষ্ট। চিত্রকর্মটির মধ্য দিয়ে তার শিল্প জীবনের বৈচিত্র্য এবং মানবকল্যাণের প্রতি গভীর দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
জয়নুল আবেদিন:
-
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিভাবান শিল্পী।
-
বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথপ্রদর্শক; ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফ্টস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অবদান রেখেছেন।
-
জন্ম ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহে।
-
১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) তিনি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন।
-
-
বিশেষ চিত্রকর্মসমূহ:
-
দুর্ভিক্ষ (১৯৪৩)
-
দ্য রেবেল ক্রো (১৯৫১)
-
দুই মহিলা, পাইন্যার মা, মহিলা (১৯৫৩)
-
ফসল মাড়াই (১৯৬৩)
-
নবান্ন (১৯৬৯)
-
মনপুরা (১৯৭০)
-
সংগ্রাম (১৯৭৬)
-

0
Updated: 2 weeks ago
'স্টেপস' ভাস্কর্যটি সিউল অলিম্পিকের পার্কে স্থান পেয়েছিল। এর ভাস্করের নাম-
Created: 2 months ago
A
নভেরা আহমেদ
B
হামিদুজ্জামান খান
C
আবদুল্লাহ খালেদ
D
সুলতানুল ইসলাম
বাংলাদেশের খ্যাতিমান ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান দেশের শিল্প জগতে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেন। তিনি তাঁর অসাধারণ ভাস্কর্যকর্মের মাধ্যমে দেশের পরিচিতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিক গেমসে তার তৈরি ভাস্কর্য ‘স্টেপস’ (Steps) দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কে স্থায়ীভাবে প্রদর্শিত হয়, যা বাংলাদেশের শিল্পের গৌরব হিসেবে বিবেচিত।
হামিদুজ্জামান খান তাঁর সৃষ্টিশীল ভাস্কর্যের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করেছেন। ১৯৮১ সালে বঙ্গভবনে তিনি ‘পাখি পরিবার’ এবং ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নামক ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
এরপর ১৯৮৮ সালে আশুগঞ্জের জিয়া সারকারখানায় ‘জাগ্রত বাংলা’ নামক ভাস্কর্যও তিনি রচনা করেন। একই বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কে তার সৃষ্ট ‘স্টেপস’ ভাস্কর্য স্থাপন বাংলাদেশের শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হয়।
অলিম্পিকের প্রসঙ্গে বলা যায়, বাংলাদেশের প্রথম অলিম্পিক অংশগ্রহণের পরিকল্পনা ছিল ১৯৮০ সালের মস্কো গেমসে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ গেমসটি বয়কট করে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালের লস্ অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা হাতে ক্রীড়াবিদরা মার্চ পাস্টে অংশগ্রহণ করে।
১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশি খেলোয়াড়েরা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ শুরু করে এবং তৎপরবর্তীতে নিয়মিতভাবে লাল-সবুজের পতাকা বিশ্ব মঞ্চে উড়তে থাকে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো অলিম্পিক আসরে বাংলাদেশ কোনো পদক জয় করতে পারেনি।
উৎস: Bengal Foundation, বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৮ অক্টোবর ২০১৯)

0
Updated: 2 months ago