তারামন বিবি কত নং সেক্টর থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
A
১০নং
B
১১নং
C
৮নং
D
৭নং
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে নারী, শিশু ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মুক্তিযুদ্ধের মানবিক ও সামাজিক ইতিহাসে স্বতন্ত্র স্থান ধারণ করে। নারীরা যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি ত্যাগ ও সহযাত্রার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অবদান রাখেন।
-
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য দুই মহিলাকে ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব প্রদান করা হয়। তারা হলেন ক্যাপ্টেন ডা. সেতারা বেগম (২নং সেক্টর) এবং তারামন বিবি (১১নং সেক্টর)।
-
খেতাবহীন বীর মহিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত কাঁকন বিবি, যিনি সুনামগঞ্জের খাসিয়া সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন; আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা।
-
কাঁকন বিবিকে ‘মুক্তিবেটি’ নামেও ডাকা হতো।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় তিন লাখ নারী পাক সেনা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হন।
-
এই নারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী হিসেবে অবদান রাখেন এবং তাদের ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌ কমান্ডোদের অভিযান কী নামে পরিচিত ছিল?
Created: 1 month ago
A
অপারেশন জ্যাকপট
B
অপারেশন টাইগার
C
অপারেশন থান্ডারবোল্ট
D
অপারেশন ব্লু বার্ড
অপারেশন জ্যাকপট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ডো বাহিনীর পরিচালিত প্রথম অভিযান ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’।
-
তারিখ ও সময়: ১৯৭১ সালের ১৬ই আগস্ট, প্রথম প্রহরে।
-
অভিযানের স্থান: দেশের দুইটি সমুদ্রবন্দর—চট্টগ্রাম ও মোংলা, এবং দুইটি নদী বন্দর—চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ।
-
প্রকৃতি: অপারেশনটি ছিল একটি আত্মঘাতী অভিযান।
-
কার্যক্রম: নৌ-কমান্ডোরা একযোগে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর ২৬টি পণ্য ও সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং গানবোট ডুবিয়ে দেয়।
-
ফলাফল: অভিযানে অংশগ্রহণকারী কোনো গেরিলা শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়েননি।
উল্লেখ্য:
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দেশের যুদ্ধাঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
-
অপারেশন জ্যাকপট পরিচালিত নৌ-কমান্ডো বাহিনী ১০নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
-
১০নং সেক্টর মূলত সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের সমগ্র জলপথ নিয়ে গঠিত।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যৌথ কমান্ড গঠন করে—
Created: 2 months ago
A
১ ডিসেম্বর, ১৯৭১
B
২১ নভেম্বর, ১৯৭১
C
৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১
D
২৬ মার্চ, ১৯৭১
যৌথ কমান্ড গঠন (২১ নভেম্বর ১৯৭১)
-
ঘটনা: মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী মিলে যৌথ কমান্ড গঠন করে ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর
-
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
বিশ্ব ইতিহাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের প্রথম দেশ, যে দেশ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে
-
মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই ভারত নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে
-
যৌথ কমান্ড গঠন ২১শে নভেম্বর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে
-
-
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট:
-
পাকিস্তান ৩রা ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়
-
৬–১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করে
-
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ৯ম–১০ম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন দিল্লীতে কর্মরত প্রবাসী বাঙালি কূটনীতিক ছিলেন -
Created: 1 month ago
A
হোসেন আলী
B
আবুল হাসান মাহমুদ আলী
C
আবুল মাল আব্দুল মুহিত
D
হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তারা কেবল অর্থ ও সামরিক সহায়তাই প্রদান করেননি, বরং আন্তর্জাতিক স্তরে সচেতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করলে প্রবাসী বাঙালিরা তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের সহায়তায় এগিয়ে আসেন।
-
লন্ডন, নিউইয়র্ক, এবং ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন শহরে বাঙালি সম্প্রদায় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেন, স্মারকলিপি প্রদান, সংসদ সদস্যদের কাছে ধর্ণা দেন, এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন।
-
লন্ডনে ইউরোপের অন্যান্য প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতেন। লন্ডনে প্রবাসী বাঙালিদের নেতৃত্ব দিতেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
-
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিদেশে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন:
-
কোলকাতার পাকিস্তানী ডেপুটি হাই কমিশনের হোসেন আলী এবং অন্যান্য বাঙালি স্টাফ (১৮.০৪.৭১)
-
নিউইয়র্কে পাকিস্তান কনসুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল আবুল হাসান মাহমুদ আলী (২৬.০৪.৭১)
-
লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি মহিউদ্দিন আহমদ (১.০৮.৭১)
-
ওয়াশিংটনে পাকিস্তানী দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেল পদে কর্মরত আবুল মাল আব্দুল মুহিত (১.০৮.৭১)
-
ইরাকে কর্মরত আবুল ফতেহ (২১.০৮.৭১)
-
দিল্লীতে কর্মরত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী (৪.১০.৭১)
-
আর্জেন্টিনায় কর্মরত আবদুল মোমিন (১১.১০.৭১)
-
সুইজারল্যান্ডে কর্মরত ওয়ালিউর রহমান (০৩.১১.৭১)
-
-
এই সমস্ত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও বহুমাত্রিক ভূমিকা পালন করেছেন।
0
Updated: 1 month ago