তমুদ্দিন মজলিশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন কে?
A
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
আবুল কাশেম
D
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
তমদ্দুন মজলিশ ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই গড়ে ওঠা একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা ভাষা আন্দোলনের সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এটি মূলত একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল।
-
সংগঠনের লক্ষ্য ছিল কুসংস্কার দূর করে যুক্তিবাদ ও মানবীয় মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে সত্য, সুন্দর ও শিল্প-সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নেওয়া।
-
তমদ্দুন মজলিশের বাংলা মুখপত্র ছিল সাপ্তাহিক সৈনিক।
-
সংগঠনটি ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে একটি পুস্তিকা – “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু”, যা ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক ধাপকে শক্তিশালী করে।
বি.দ্র.:
-
অনেক বইতে প্রতিষ্ঠার তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ উল্লেখ আছে; তাই পরীক্ষার উত্তরে ২ সেপ্টেম্বর গ্রহণযোগ্য হবে।
-
অপশনে যদি “সাহিত্য ও সংস্কৃতি” একসঙ্গে দেওয়া থাকে, তবে সঠিক উত্তর হবে – সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।
-
আরও বিস্তারিত জানতে লাইভ এসসিকিউ-এর তথ্যকল্পদ্রুম অংশে দেখা যাবে।

0
Updated: 1 day ago
তমুদ্দিন মজলিশ কবে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শিরোনামে পুস্তিকা প্রকাশ করে?
Created: 1 day ago
A
১৯৪৮ সাল
B
১৯৪৭ সাল
C
১৯৪৬ সাল
D
১৯৪৯ সাল
তমুদ্দিন মজলিশ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রখ্যাত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিচর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
-
এটি ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সংগঠনের মূল লক্ষ্য ছিল কুসংস্কার দূর করে যুক্তিবাদ, সত্য, সুন্দর ও মানবীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিল্প ও সাহিত্য ব্যবহার করে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নেওয়া।
-
বাংলা মুখপত্র ছিল সাপ্তাহিক সৈনিক।
-
১৯৪৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
বি.দ্র.:
-
অনেক সূত্রে প্রতিষ্ঠার তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ উল্লেখিত; সেক্ষেত্রে অপশন হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর সঠিক ধরা হবে।
-
কখনো অপশনে সাহিত্য ও সংস্কৃতি দুটোই থাকলে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
অধ্যাপক আবদুল মতিন
B
অধ্যাপক আবুল কাসেম
C
অধ্যাপক আবদুস সালাম
D
অধ্যাপক কামরুদ্দিন মতিন
ভাষা আন্দোলন
-
১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
একই বছর, ১৫ সেপ্টেম্বর, সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রকাশিত পুস্তিকার নাম ছিল: ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’।
-
তমদ্দুন মজলিশ ছাত্র ও শিক্ষক মহলে বাংলাভাষার গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।
-
১৯৪৭ সালের মধ্যেই বহু লেখক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন জানান।
-
পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলাকে বাদ দেওয়া হয়।
-
গণপরিষদের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হওয়ায় বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
‘তমদ্দুন মজলিশ' কে প্রতিষ্ঠা করেন?
Created: 1 week ago
A
হাজী শরিয়ত উল্লাহ
B
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
C
আবুল কাশেম
D
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
তমদ্দুন মজলিশ একটি ইসলামী আদর্শভিত্তিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা দেশে ইসলামী মূল্যবোধ ও ভাবধারা সমুন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে ভারত বিভাগের অব্যবহিত পরেই ঢাকায় গড়ে ওঠে। এটি ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ও অধ্যাপকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষার মাধ্যমে সংস্কৃতির সেবা করা, এবং পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলা ভাষার পক্ষে এর ভূমিকা ছিল প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রতিষ্ঠাতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
-
মূল লক্ষ্য: বাংলা ভাষার প্রচার ও সংস্কৃতির সেবা।
-
মুখপত্র: তমদ্দুন মজলিশের মুখপত্র ছিল সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৪ নভেম্বর ১৯৪৮ (২৮ কার্তিক ১৩৫৫)। প্রথম সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ছিলেন শাহেদ আলী, পরে সভাপতি হন আবদুল গফুর।
-
ভাষা আন্দোলনের প্রচেষ্টা: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?" শিরোনামে বাংলা ভাষার পক্ষে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।

0
Updated: 1 week ago