সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী হিসেবে সোনারগাঁওয়ের পত্তন করেন কে?
A
মুসা খাঁ
B
আওরঙ্গজেব
C
শেরশাহ
D
ঈশা খাঁ
উত্তরের বিবরণ
সোনারগাঁও ছিল বাংলার অন্যতম প্রাচীন রাজধানী, যা ইতিহাস ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের কেন্দ্রস্থল ছিল।
-
সোনারগাঁও বর্তমান ঢাকা থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলায় অবস্থিত।
-
এর নামকরণ সম্পর্কে ভিন্নমত রয়েছে। কেউ মনে করেন প্রাচীন সুবর্ণগ্রাম থেকে সোনারগাঁও নামের উদ্ভব হয়েছে, আবার কারো মতে বারো ভূঁইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ’র স্ত্রী সোনাবিবি’র নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়।
-
সুলতানি আমলে সোনারগাঁও বাংলার রাজধানী হিসেবে গুরুত্ব পায়।
-
আনুমানিক ১২৮১ খ্রিষ্টাব্দে এ অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
মধ্যযুগে এটি মুসলিম সুলতানদের রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
-
ঈশা খাঁ সোনারগাঁওকে বাংলার রাজধানী হিসেবে আরও সুসংহত করেন।
-
১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ঢাকা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার আগে পর্যন্ত সোনারগাঁও ছিল পূর্ববঙ্গের রাজধানী।

0
Updated: 23 hours ago
চন্দ্র বংশের রাজা শ্রীচন্দ্রের রাজধানী কোথায় ছিল?
Created: 23 hours ago
A
নদীয়া
B
বিক্রমপুর
C
গৌড়
D
রোহিতগিরি
চন্দ্র বংশ ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার একটি স্বাধীন রাজবংশ, যারা প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দশম শতকের শুরু থেকে একাদশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত তারা এ অঞ্চলে শাসন বিস্তার ও প্রতিষ্ঠা করে।
-
এই বংশের প্রথম শাসক ছিলেন পূর্ণচন্দ্র।
-
পূর্ণচন্দ্রের পুত্র সুবর্ণচন্দ্র রোহিতগিরির ভূস্বামী ছিলেন।
-
সুবর্ণচন্দ্রের পুত্র ত্রৈলোক্যচন্দ্র এই বংশের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
ত্রৈলোক্যচন্দ্র তার শাসন বিস্তার করেন হরিকেল, চন্দ্রদ্বীপ, বঙ্গ ও সমতট অঞ্চলে।
-
তাদের শাসনকেন্দ্র ছিল লালমাই পাহাড়, যা প্রাচীনকালে রোহিতগিরি নামে পরিচিত ছিল।
-
আনুমানিক ৯০০–৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ত্রৈলোক্যচন্দ্র রাজত্ব করেন।
-
তার পুত্র শ্রীচন্দ্র ছিলেন চন্দ্র বংশের সবচেয়ে প্রতাপশালী শাসক।
-
শ্রীচন্দ্র ‘পরমেশ্বর পরম ভট্টারক মহারাজাধিরাজ’ উপাধি ধারণ করেন।
-
তাঁর রাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা ছাড়িয়ে উত্তর-পূর্ব কামরূপ এবং গৌড় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
-
তিনি রাজধানী স্থাপন করেন বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।
-
আনুমানিক ৯৩০–৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ বছর তিনি শাসন করেন।

0
Updated: 23 hours ago
কোন মুঘল সুবাদার চট্টগ্রাম দখল করে এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ?
Created: 2 months ago
A
ইসলাম খান
B
রাজা মানসিংহ
C
মীর জুমলা
D
শায়েস্তা খান
• বাংলার মুঘল সুবাদার — শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম দখল করে এর নাম রাখেন — ইসলামাবাদ।
• শায়েস্তা খান:
- শায়েস্তা খান ছিলেন বাংলার মুঘল সুবাদার।
- ১৬৭৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দে এক বছরের সামান্য বেশি সময়ের বিরতিসহ দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
- তিনি ছিলেন মুঘল সম্রাট — আওরঙ্গজেবের মামা।
- তিনি যখন ঢাকায় পৌঁছেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর।
- ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে মীরজুমলার মৃত্যুর পর শায়েস্তা খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন।
- প্রধানত চট্টগ্রাম জয়ের জন্যই বাংলায় শায়েস্তা খানের বিশাল খ্যাতি।
- ১৬৬৬ সালে বাংলার মোঘল শাসক শায়েস্তা খান তাঁর পুত্র বুজুর্গ — ওমেদখানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিজয় সম্পন্ন করেন।
- তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের নাম রাখেন — ইসলামাবাদ।
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া।
ii) জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
iii) ইতিহাস - চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ccc.gov.bd.

0
Updated: 2 months ago
ঢাকায় সুবা-বাংলার রাজধানী কখন স্থাপিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৬১০ সালে
B
১৫৭৬ সালে
C
১৯০৫ সালে
D
১৯৪৭ সালে
ঢাকায় সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় — ১৬১০ খ্রিঃ।
• রাজধানী হিসেবে ঢাকা:
- এটি বাংলাদেশের — বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বৃহত্তম শহর।
- মুঘল সম্রাট আকবরের সময় বাংলার রাজধানী ছিল — বিহারের রাজমহল।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছানুযায়ী — ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম সুবাহ বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
- সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম — 'জাহাঙ্গীরনগর' রাখা হয়।
উল্লেখ্য,
• ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজার পতনের পর ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
• ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
- বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়।
• কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা নামে নতুন প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ঢাকার উথানে অধিকতর স্থায়ী উন্নয়ন সাধিত হয়।
• ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক , প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: ঢাকা জেলা, dhaka.gov.bd.জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago