কোন তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সরকারিভাবে গৃহীত হয়?
A
১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল
B
১৯৭২ সালের ১৮ এপ্রিল
C
১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি
D
১৯৭২ সালের ৬ জুন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে সূচিত হয়, যা পরবর্তীতে স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে। এই পতাকা স্বাধীনতার চেতনা ও আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে ওঠে।
-
১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিন কলাভবনের সামনে ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আব্দুর রব।
-
এই পতাকা সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়েছিল ১৯৭০ সালের ৬ জুন।
-
পতাকা তৈরি করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১১৬ নম্বর কক্ষে।
-
জাতীয় পতাকা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন ছাত্রনেতা কাজী আরেফ আহমেদ, শিব নারায়ণ দাসসহ মোট ২২ জন ছাত্রনেতা।
-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথমবার বিদেশে উত্তোলন করা হয় ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল, ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে।
-
স্বাধীনতার পর পতাকা থেকে বাংলার মানচিত্র অপসারণ করা হয় এবং এর মাপ ও রঙ নির্ধারণ করে পরিমার্জন করা হয়।
-
সবুজ আয়তক্ষেত্রের মাঝখানে লাল বৃত্তবিশিষ্ট পতাকা ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়, যা আজকের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

0
Updated: 23 hours ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
৮ : ৫
B
১০ : ৬
C
১১ : ৮
D
১১ : ৭
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
-
নকশা ও রং: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রধান রং গাঢ় সবুজ এবং সবুজের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত। পতাকার আকার অনুপাত ১০:৬ (৫:৩)। লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ পতাকার মোট দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। প্রথমে পতাকার কেন্দ্রস্থলে বাংলাদেশের মানচিত্রও ছিল। এই চূড়ান্ত রূপ সরকারিভাবে গৃহীত হয় ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২।
-
ঐতিহাসিক সূত্রপাত:
-
১৯৭১ সালের ২ মার্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
-
এই পতাকার আদলে মুজিবনগর সরকার জাতীয় পতাকার নকশা নির্ধারণ করে।
-
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার ছিলেন শিবনারায়ণ দাস, যিনি ছাত্রনেতা ছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার নকশা স্বাভাবিক হাতেখড়ি দিয়ে করেছেন।
-
১৯৭০ সালের ৬ জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের ১১৬ নং কক্ষে রাত ১১টার পর তিনি পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন।
-
চূড়ান্ত নকশা সম্পন্ন করেন কামরুল হাসান।
-
-
উদ্বোধন ও উত্তোলন:
-
২৩ মার্চ ১৯৭১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের বাসভবনে পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন। একই দিনে সারাদেশে পতাকা উত্তোলিত হয়।
-
বিদেশে প্রথম উত্তোলন হয় কলকাতায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয়ে।
-
-
আইনি ভিত্তি ও দিবস:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে।
-
প্রতিটি বছর ২ মার্চ উদযাপিত হয় জাতীয় পতাকা দিবস।
-
উৎসঃস্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা একটি সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত দিয়ে তৈরি। এখানে সবুজ রঙ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তরুণ প্রজন্মের প্রতীক, আর লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের প্রতীক।
গৃহীত হওয়ার সময়:
এই রূপের পতাকা সরকারিভাবে ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে গৃহীত হয়।
প্রথম পতাকা উত্তোলন:
-
২ মার্চ ১৯৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র জনতার সমাবেশে তখনকার ঢাকসুর ভিপি আ. স. ম. আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
-
৬ মার্চ ১৯৭১: পতাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।
-
২৩ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন এবং একই দিনে দেশে-বিদেশে সারা বাংলাদেশে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়।
-
বাংলাদেশের বাইরে প্রথম উত্তোলন: কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিসে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে ৪ নং অনুচ্ছেদে।
-
জাতীয় পতাকা দিবস: ২ মার্চ।
-
মানচিত্রসহ পতাকার নকশাকার: শিব নারায়ণ দাস (৬ জুন ১৯৭০)।
-
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত: ১০:৬ (৫:৩)।
উৎস: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
Created: 4 months ago
A
জয়নুল আবেদীন
B
কামরুল হাসান
C
হাশেম খান
D
হামিদুর রহমান
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকার ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান
কামরুল হাসান
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ছিলেন।
-
তাঁর পুরো নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায়, তাঁর পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ১৯৬৯-৭০ সালের স্বাধিকার ও অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামেই তিনি জনসাধারণের মাঝে বেশি পরিচিত ছিলেন।
-
১৯৬০ সালে তিনি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রে প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মে প্রধান উপাদান হিসেবে দেখা যায় – নারী-পুরুষ, বিভিন্ন প্রাণী (বিশেষত গরু ও শৃগাল), সাপ ও প্রকৃতি।
-
চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদের সম্মাননা (১৯৮৪), এবং বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ (১৯৮৫)।
• শিল্পকর্ম ও অবদান
-
কামরুল হাসান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক এবং জাতীয় পতাকার নকশাকার।
-
তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
-
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিখ্যাত “বলাকা” লোগোও তাঁর নকশা করা।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে – ‘রায়বেশে নৃত্য’, ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’, এবং ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’।
• অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য
-
দুর্ভিক্ষচিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
বাংলাদেশের সংবিধান গ্রন্থের অলংকরণ ও সজ্জার মূল তত্ত্বাবধানে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, আর অঙ্গসজ্জার কাজ করেন হাশেম খান।
-
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (১৯৪৫–১৯৭১) ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহি, যিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
তথ্যসূত্র
i) বাংলাপিডিয়া
ii) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা : নবম-দশম শ্রেণি
iii) বণিক বার্তা, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

0
Updated: 4 months ago