সর্বপ্রথম ঢাকাকে বাংলার রাজধানী করেন কে?
A
মুসা খান
B
শায়েস্তা খান
C
মীর জুমলা
D
ইসলাম খান
উত্তরের বিবরণ
১৬১০ সালের ১৬ জুলাই সুবাদার ইসলাম খান চিশতী সর্বপ্রথম ঢাকাকে বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন এবং এর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। সম্রাট জাহাঙ্গীর জীবিত থাকা পর্যন্ত এই নাম বহাল ছিল।
-
১৬৫০ সালে সুবাদার শাহ সুজা বাংলার রাজধানী বিহারের রাজমহলে স্থানান্তর করেন।
-
১৬৬০ সালে মীর জুমলা আবার ঢাকাকে রাজধানী করেন, যা ১৭১৭ সাল পর্যন্ত বজায় থাকে।
-
১৭১৭ সালে মুর্শিদকুলি খান রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
-
পরবর্তীতে ১৯০৫ থেকে ১৯১১ এবং ১৯৪৭ সাল থেকে ঢাকা পুনরায় বাংলার রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অবশেষে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা ঘোষিত হয় এবং তা আজও বহাল রয়েছে।

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ?
Created: 2 weeks ago
A
ঋণ নিয়ন্ত্রণ
B
সঞ্চয় স্থানান্তর
C
ঋণ প্রদান
D
আমানত গ্রহণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক:
- প্রতিটি দেশে বাধ্যতামূলকভাবে একটি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মুদ্রা বাজার এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থেকে এসকল কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে। এটিকে সরকারের ব্যাংক বলে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য ছাড়া অর্থ ও মূদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্ব অপরিসীম। সৃষ্টির পর থেকেই মুদ্রা প্রচলন, অর্থ সরবরাহ এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক পালন করে আসছে।
- বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
⇒ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি:
- মুদ্রা প্রচলন।
- মুদ্রার মুল্যমান সংরক্ষণ।
- মুদ্রা বাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ।
- ঋণ নিয়ন্ত্রণ।
- রিজার্ভ সংরক্ষণ।
- বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ।
- বৈদেশিক মূদ্র্য ও বিনিময় নিয়ন্ত্রণ।
- সরকারের উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি।
- সরকারের আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
উৎস: ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদকাল কোনটি?
Created: 1 week ago
A
১৯৭২-১৯৭৭
B
১৯৭৩-১৯৭৮
C
১৯৭৪-১৯৭৯
D
১৯৭৫-১৯৮০
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:
- বাংলাদেশে মোট ৮টি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
- প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮)।
- দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮০-১৯৮৫)।
- তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮৫-১৯৯০)।
- চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯০-১৯৯৫)।
- পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯৭-২০০২)।
- ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫)।
- সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০)।
তথ্যসূত্র -

0
Updated: 1 week ago
কোনটির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি বন্ধ হয়?
Created: 2 weeks ago
A
পণ্যের দাম কমা
B
মূলধনের জোগান কমা
C
মুনাফার হার কমা
D
সরকারি ব্যয় হ্রাস
মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)
-
সংজ্ঞা:
-
মুদ্রাস্ফীতি ঘটে যখন পণ্যের তুলনায় মুদ্রার সরবরাহ অতিরিক্ত বেড়ে যায়।
-
অর্থাৎ বাজারে উৎপাদনের তুলনায় টাকা বেশি থাকলে মুদ্রার মান হ্রাস পায় এবং পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
-
একই পরিমাণ পণ্যের জন্য আগে চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়।
-
-
মুদ্রা সংকোচন:
-
উৎপাদনের তুলনায় বাজারে মুদ্রার সরবরাহ কমে গেলে মুদ্রা সংকোচন হয়।
-
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায়
-
মুদ্রার পরিমাণ সীমিত করা:
-
ব্যাংক থেকে ঋণের পরিমাণ কমানো।
-
সরকারি ব্যয় হ্রাস করা।
-
-
মূল্য নিয়ন্ত্রণ:
-
পণ্যের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ।
-
ন্যায্য মূল্যের বিক্রয় কেন্দ্র ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
-
-
শ্রমিক ও মজুরি:
-
শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি বৃদ্ধির চাপ কমানো।
-
মজুরি ও উৎপাদন ব্যয়ের ভারসাম্য রাখা।
-
-
মুদ্রা সংস্কার:
-
চরম মুদ্রাস্ফীতির সময় পুরাতন নোট বাতিল করে নতুন নোট চালু করা।
-
-
কর ও সুদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ:
-
কর বৃদ্ধি করলে জনগণের ব্যয় কমে সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায়।
-
ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি বিনিয়োগ সংকুচিত করে।
-
-
বিনিময় ও আমদানি বৃদ্ধি:
-
বিদেশ থেকে ভোগ্যপণ্য ও বিনিয়োগ দ্রব্য আমদানি করে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি।
-
এতে সামগ্রিক যোগান-চাহিদার ভারসাম্য বজায় রেখে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পায়।
-
উৎস: অর্থনীতি ২য় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago