সর্বপ্রথম ঢাকাকে বাংলার রাজধানী করেন কে?
A
মুসা খান
B
শায়েস্তা খান
C
মীর জুমলা
D
ইসলাম খান
উত্তরের বিবরণ
১৬১০ সালের ১৬ জুলাই সুবাদার ইসলাম খান চিশতী সর্বপ্রথম ঢাকাকে বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন এবং এর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। সম্রাট জাহাঙ্গীর জীবিত থাকা পর্যন্ত এই নাম বহাল ছিল।
-
১৬৫০ সালে সুবাদার শাহ সুজা বাংলার রাজধানী বিহারের রাজমহলে স্থানান্তর করেন।
-
১৬৬০ সালে মীর জুমলা আবার ঢাকাকে রাজধানী করেন, যা ১৭১৭ সাল পর্যন্ত বজায় থাকে।
-
১৭১৭ সালে মুর্শিদকুলি খান রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
-
পরবর্তীতে ১৯০৫ থেকে ১৯১১ এবং ১৯৪৭ সাল থেকে ঢাকা পুনরায় বাংলার রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অবশেষে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা ঘোষিত হয় এবং তা আজও বহাল রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান কোন শাসকের বিরুদ্ধে হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
B
ইস্কান্দার মির্জা
C
আইয়ুব খান
D
ইয়াহিয়া খান
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের এক স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রাম।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান:
-
১৯৪৭ সাল থেকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি যে বৈষম্যমূলক আচরণ করছিল, তার প্রকাশ ঘটে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে।
-
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে এক দুর্বার আন্দোলন গড়ে ওঠে যা গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
-
এসময় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা দাবি ঘোষণা করে।
-
১১ দফার মধ্যে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ১৯৬৬ সালে ঘোষিত ছয়দফা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ১০০ জন পূর্বপাকিস্তানী নিহত হন।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা তাদের মধ্যে অন্যতম।
-
এই আন্দোলনের ফলে আইয়ুব খানের পতন ঘটে।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বাংলার কোন সুবাদার মগ দস্যুদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম জয় করেন?
Created: 1 month ago
A
ইব্রাহিম খান
B
কাসিম খান
C
শায়েস্তা খান
D
ইসলাম খান মাসহাদী
শায়েস্তা খান ছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত একজন প্রখ্যাত মোগল সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম আবু তালিব, এবং মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে শায়েস্তা খান উপাধি প্রদান করেন। শায়েস্তা খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন।
-
১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার মীর জুমলার মৃত্যু এর পর ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেব তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
-
শায়েস্তা খান প্রথমবার বাংলায় আসার সময় ৬৩ বছর বয়সী ছিলেন এবং দুই দফায় মোট ২২ বছর বাংলায় শাসন করেন।
বিজয়াভিযান:
-
শায়েস্তা খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিজয়াভিযান ছিল চট্টগ্রাম পুনর্দখল।
-
১৪৫৯ সালে আরাকান রাজ চট্টগ্রামকে বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে দখল করেছিল। শায়েস্তা খান এই অঞ্চল পুনর্দখলের জন্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
তাঁর সেনাবাহিনী সন্দ্বীপ দখল করে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়। চট্টগ্রামের মগ-রাজা ও স্থানীয় পর্তুগিজদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে, এবং পর্তুগিজরা নোয়াখালিতে আশ্রয় নেয়।
-
শায়েস্তা খান ফিরিঙ্গী নেতাকে নিজের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
১৬৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, ফিরিঙ্গীদের ৪০টি রণতরীসহ ইবনে হুসাইনের নেতৃত্বে বিশাল নৌবাহিনী চট্টগ্রামে আক্রমণ করে এবং আরাকান বাহিনী পরাজিত হয়।
-
২৬ জানুয়ারি ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়ীর বেশে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন। দীর্ঘদিন এখানকার শাসন শেষে তিনি দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্রাটের অনুমতি প্রার্থনা করেন, যা মঞ্জুর হয়।
শাসনকাল ও অবদান:
-
শায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত।
-
তিনি নির্মাণ করেন লালবাগ কেল্লা, শায়েস্তা খান মসজিদ, ছোট কাটরা, সাত গম্বুজ মসজিদ প্রভৃতি স্থাপনা।
-
১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে, ৯৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
সপ্তম
B
অষ্টম
C
নবম
D
দশম
অষ্টম সংশোধনী আইন, ১৯৮৮ পাস হয় ৭ জুন ১৯৮৮ তারিখে এবং এর মাধ্যমে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২, ৩, ৫, ৩০ ও ১০০ সংশোধন করা হয়।
-
প্রধান সংশোধনীসমূহ:
১. ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা।
২. বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ: ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা।
৩. বিদেশী খেতাব গ্রহণে বিধিনিষেধ: সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ব্যতীত কোনো নাগরিক কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের প্রদত্ত খেতাব, সম্মাননা, পুরস্কার বা অভিধা গ্রহণ করতে পারবে না। -
উল্লেখযোগ্য, পরবর্তীতে সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদের সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে, কারণ এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago