হোলাকা উৎসব বর্তমানে কী নামে পরিচিত?
A
জন্মাষ্টমী
B
হোলি
C
ভাইফোঁটা
D
গঙ্গাস্নান
উত্তরের বিবরণ
প্রাচীন বাংলায় মানুষের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে নানা ধরনের আচার-অনুষ্ঠান, উৎসব ও রীতি-নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এসব উৎসব শুধু ধর্মীয় আচারেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সামাজিক মিলনমেলা ও বিনোদনেরও আয়োজন ঘটাত।
-
প্রাচীন বাংলায় পূজা-পার্বণ ও আমোদ-প্রমোদের ছিল ব্যাপক প্রচলন।
-
উমা অর্থাৎ দুর্গার অর্চনা উপলক্ষে বরেন্দ্র অঞ্চলে বিশাল উৎসব অনুষ্ঠিত হতো।
-
বিজয়া দশমীর দিনে ‘শাবোরৎসব’ নামে বিশেষ নৃত্য ও গীতের আয়োজন করা হতো।
-
হোলাকা বা বর্তমানকালের হোলি উৎসব ছিল অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান, যেখানে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে অংশ নিত।
-
ভাইফোঁটা, আকাশপ্রদীপ, জন্মাষ্টমী, অক্ষয় তৃতীয়া, দশহরা, গঙ্গাস্নান ও মহাঅষ্টমীতে ব্রহ্মপুত্রস্নান প্রাচীন বাংলায় প্রচলিত উৎসব ও অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল।
উৎসবগুলো প্রাচীন বাংলার সামাজিক সম্প্রীতি, ধর্মীয় অনুশাসন এবং আনন্দ-উল্লাসের প্রতিফলন ঘটাত।
0
Updated: 1 month ago
কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠী 'বৈসাবি' উৎসব পালন করে?
Created: 1 month ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
ত্রিপুরা
D
উপরোক্ত সবাই
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের তিন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব, যা পাহাড়ি অঞ্চলের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
-
এটি পাহাড়ে বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রধানতম উৎসব।
-
ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় এই উৎসব পালন করে।
-
নামের উৎপত্তি:
-
‘বৈ’ – ত্রিপুরাদের বৈসু
-
‘সা’ – মারমাদের সাংগ্রাই
-
‘বি’ – চাকমাদের বিজু
-
-
চৈত্র মাসের শেষ দুটি দিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিন দিন উৎসব পালিত হয়।
-
প্রতিটি সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও সংস্কার অনুযায়ী প্রার্থনা করে যাতে নতুন বছর সুখ-শান্তিতে কেটে যায়।
0
Updated: 1 month ago
রাস নৃত্য কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নিদর্শন?
Created: 2 months ago
A
ত্রিপুরা
B
মণিপুরী
C
হাজং
D
বম
0
Updated: 2 months ago
'সোহরাই' বাংলাদেশের কোন নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী উৎসব?
Created: 1 month ago
A
মারমা
B
খাসিয়া
C
সাঁওতাল
D
গারো
সোহরাই উৎসব হলো বাংলাদেশের সাঁওতাল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব।
-
সাঁওতালরা বাংলাদেশের রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলায় বসবাস করে।
-
তাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম ‘সোহরাই’ বা ‘সহরায়’।
-
শব্দের উৎপত্তি: শাহার থেকে এসেছে, যার অর্থ বৃদ্ধি হওয়া।
-
উৎসবে মূলত ধনসম্পত্তি ও গরু-বাছুরের বৃদ্ধি কামনায় বিশেষ আচারের মাধ্যমে বোঙ্গা (দেবতা) নিকট প্রার্থনা করা হয়।
-
প্রতি পৌষ মাসে সাঁওতাল গ্রামগুলোতে উৎসবটি ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়।
0
Updated: 1 month ago