'সূর্য দীঘল বাড়ি' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
A
শেখ নিয়ামত শাকের
B
জহির রায়হান
C
সুভাষ দত্ত
D
খান আতা
উত্তরের বিবরণ
[সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে অপশন ‘ক’ গ্রহণ করা হয়েছে।]
• ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক হলেন শেখ নিয়ামত আলী এবং মসিহউদ্দিন শাকের।
- আবু ইসহাক রচিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি ১৯৭৯ সালে নির্মিত হয়।
- এটি ছিলো সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র।
---------------------------
• 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
- আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ১৯৫৫সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত দলিল এই গ্রন্থ।
- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তিনি রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী'।
- জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
• উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
- হাসু,
- মায়মুন,
- শাফি,
- ডা. রমেশ চক্রবর্তী,
- মোরল গদু ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং প্রথম আলো রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago
'কাশবনের কন্যা' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 1 month ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
ছোটগল্প
কাশবনের কন্যা
‘কাশবনের কন্যা’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম। গ্রামীণ সমাজ ও জীবনের আবহকে ঘিরে লেখা এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। এতে লেখক বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষদের জীবন ও সংস্কৃতিকে গভীর দরদের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। দারিদ্র্য এবং কষ্টের বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসে গ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে এক বিশ্বাসভিত্তিক শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে—যেখানে রয়েছে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা এবং আত্মিক সুখের অন্বেষণ।
উপন্যাসটিতে বিশেষভাবে চিত্রায়িত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, লোকজ সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ দিগন্ত। এতে মুখ্য চরিত্র হিসেবে উঠে এসেছে: সিকদার, হোসেন, জোবেদা ও মেহেরজান প্রমুখ।
• শামসুদ্দীন আবুল কালাম
বাংলা কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম শামসুদ্দীন আবুল কালাম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের আগস্ট মাসে, বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে। শিক্ষা জীবন শুরু করেন বরিশাল জেলা স্কুলে, যেখানে থেকে তিনি ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
এরপর ১৯৪৩ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মগুলো হলো:
গল্পগ্রন্থ
-
অনেক দিনের আশা
-
ঢেউ
-
পথ জানা নাই
-
দুই হৃদয়ের তীর
-
শাহের বানু
উপন্যাস
-
আলমনগরের উপকথা
-
কাশবনের কন্যা
-
কাঞ্চনমালা
-
জায়মঙ্গল
-
কাঞ্চনগ্রাম
-
পুঁই ডালিমের কাব্য
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞেসা’ — ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’।

0
Updated: 1 month ago
'আলোছায়া' শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বন্দ্ব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
সংজ্ঞা
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
প্রতিটি পদের অর্থ সমানভাবে রক্ষিত হয়।
-
ব্যাসবাক্যে (পূর্ণ বাক্যে) “এবং / ও / আর” ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা সম্পর্ক প্রকাশ পায়।
উদাহরণ
-
আলো + ছায়া → আলোছায়া (আলো ও ছায়া)
-
তাল + তমাল → তালতমাল (তাল ও তমাল)
-
দোয়াত + কলম → দোয়াতকলম (দোয়াত ও কলম)
-
মাতা + পিতা → মাতাপিতা (মাতা ও পিতা)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ

0
Updated: 2 weeks ago
'মস্যাধার' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
মস্যা + ধার
B
মসি + আধার
C
মসী + ধার
D
মসী + আধার
'মস্যাধার' শব্দের সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ
-
মসী + আধার = মস্যাধার
🔹 সন্ধির নিয়ম
-
ই-কার (◌ি) বা ঈ-কার (◌ী)-এর পর ই বা ঈ ছাড়া অন্য কোনো স্বর এলে, ই/ঈ স্থলে য/য-ফলা বসে।
-
এই য-ফলা পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
📌 সূত্র: [ ঈ + আ = য্ + আ ]
উদাহরণ:
-
মসী + আধার = মস্যাধার
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 weeks ago