রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সংশোধন করায় সংবিধানের কোন সংশোধনীকে 'First distortion of Constitution' বলা হয়?
A
৪র্থ সংশোধনী
B
৫ম সংশোধনী
C
৬ষ্ঠ সংশোধনী
D
৭ম সংশোধনী
উত্তরের বিবরণ
পঞ্চম সংশোধনী, যা সংবিধানের মূল নীতিতে পরিবর্তন আনার কারণে ‘First distortion of Constitution’ হিসেবে পরিচিত, ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের চতুর্থ তফসিল সংশোধন করা হয় এবং পূর্ববর্তী সামরিক বিধি, সংবিধান সংশোধন ও বিভিন্ন অধ্যাদেশকে বৈধতা দেওয়া হয়। এর ফলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তিত হয় এবং সংবিধানের সূচনায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সন্নিবেশিত হয়।
-
১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদে পঞ্চম সংশোধনী অনুমোদিত হয়।
-
সংবিধানের চতুর্থ তফসিল সংশোধন করা হয়।
-
১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি হওয়া সকল সামরিক বিধি, সংবিধান সংশোধন ও অধ্যাদেশকে বৈধতা দেওয়া হয়।
-
বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তিত হয়।
-
সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে "জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার" এর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে?
Created: 2 days ago
A
৩২ নং অনুচ্ছেদ
B
৩৩ নং অনুচ্ছেদ
C
৩৪ নং অনুচ্ছেদ
D
৩৫ নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ সন্নিবেশিত আছে, যা ২৬ নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৭ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
৩২ নং অনুচ্ছেদ: জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা।
-
আইনানুযায়ী ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে জীবন বা ব্যক্তি-স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
-
-
৩৩ নং অনুচ্ছেদ: গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কিত রক্ষাকবচ।
-
৩৪ নং অনুচ্ছেদ: জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-
৩৫ নং অনুচ্ছেদ: বিচার ও দণ্ড সম্পর্কিত রক্ষা।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
সংবিধানের তৃতীয় তফসিল অনুসারে, প্রধান বিচারপতিকে কে শপথ বাক্য পাঠ করায়?
Created: 2 days ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
স্পীকার
C
রাষ্ট্রপতি
D
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল [১৪৮ অনুচ্ছেদ] শপথ ও ঘোষণাপত্র সম্পর্কিত বিধান নির্ধারণ করে। তফসিলে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ৯টি পদে শপথগ্রহণের প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে।
-
সংবিধানের তৃতীয় তফসিল অনুসারে শপথগ্রহণের নিয়ম:
১. রাষ্ট্রপতি: শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকারের মাধ্যমে।
২. প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৩. স্পীকার: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৪. ডেপুটি স্পীকার: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৫. সংসদ সদস্য: শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকারের মাধ্যমে।
৬. প্রধান বিচারপতি বা বিচারক: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৭. প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
৮. মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
৯. সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে?
Created: 2 days ago
A
৭২ অনুচ্ছেদে
B
৭৭ অনুচ্ছেদে
C
৭৯ অনুচ্ছেদে
D
৮২ অনুচ্ছেদে
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদে ‘ন্যায়পাল’ পদটির বিধান রয়েছে।
-
সংসদ ন্যায়পালের পদ প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারবে।
-
সংসদ আইনের মাধ্যমে ন্যায়পালকে মন্ত্রণালয়, সরকারী কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পর্কিত তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা এবং অন্যান্য দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। ন্যায়পাল সেই ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।
-
ন্যায়পাল তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে বাৎসরিক রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন, যা সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
অন্যদিকে:
-
৭২ নং অনুচ্ছেদ: সংসদের অধিবেশন
-
৭৯ নং অনুচ্ছেদ: সংসদ-সচিবালয়
-
৮২ নং অনুচ্ছেদ: আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ
উৎস:

0
Updated: 2 days ago