মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল -
A
হরিনাতে
B
মেলাঘরে
C
মাসিমপুরে
D
বশিরহাটে
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে কার্যকরভাবে পরিচালনা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার সুবিধার্থে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে এবং ৬৪টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের জন্য নির্দিষ্ট অঞ্চল, সদরদপ্তর ও কমান্ডার নিযুক্ত ছিলেন।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালির পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল হরিনাতে। কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান এবং পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালির অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল আগরতলার মেলাঘরে। কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩নং সেক্টর: উত্তরে শ্রীমঙ্গলের চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত বিস্তৃত। কমান্ডার ছিলেন মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ এবং পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪নং সেক্টর: হবিগঞ্জ থেকে কানাইঘাট পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল প্রথমে করিমগঞ্জ এবং পরে আসামের মাসিমপুরে। কমান্ডার ছিলেন মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন এ. রব।
-
৫নং সেক্টর: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি ও পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল। সদরদপ্তর ছিল বাঁশতলাতে। কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬নং সেক্টর: রংপুর জেলা ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা নিয়ে গঠিত। প্রধানত ইপিআর বাহিনী দ্বারা পরিচালিত। কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দক্ষিণ দিনাজপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত। প্রাথমিকভাবে ক্যাপ্টেন গিয়াস ও ক্যাপ্টেন রশিদ অভিযান পরিচালনা করেন। কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক এবং পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮নং সেক্টর: প্রাথমিকভাবে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে পুনর্গঠিত হয়। কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম.এ. মঞ্জুর।
-
৯নং সেক্টর: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল টাকি, বশিরহাটের নিকটে। কমান্ডার ছিলেন মেজর এম.এ. জলিল এবং পরে মেজর এম.এ. মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০নং সেক্টর: এটি ছিল বিশেষ নৌ-কমান্ডো বাহিনী, যা ফ্রান্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি কর্মকর্তা উদ্যোগে গঠিত হয়।
-
১১নং সেক্টর: সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা (টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ ব্যতীত) নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল মহেন্দ্রগঞ্জে। কমান্ডার ছিলেন মেজর এম. আবু তাহের। তিনি আহত হলে স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

0
Updated: 1 day ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় পটুয়াখালী ও বরিশাল কোন সেক্টরে ছিল?
Created: 1 week ago
A
৮ নং সেক্টর
B
৯ নং সেক্টর
C
২ নং সেক্টর
D
১ নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ১১টি সেক্টর:
-
১ নং সেক্টর: ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী
-
২ নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব, নোয়াখালী ও ফরিদপুরের অংশ
-
৩ নং সেক্টর: হবিগঞ্জ, আখাউড়া–ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকের কুমিল্লা ও ঢাকার অংশ
-
৪ নং সেক্টর: সিলেট জেলার অংশবিশেষ
-
৫ নং সেক্টর: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং সিলেটের অংশ
-
৬ নং সেক্টর: দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও এবং রংপুর (ব্রহ্মপুত্র নদ ছাড়া)
-
৭ নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চল
-
৮ নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর এবং খুলনার কিছু অংশ
-
৯ নং সেক্টর: পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার অংশ
-
১০ নং সেক্টর: সমুদ্র উপকূল, নৌ কমান্ডো ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন
-
১১ নং সেক্টর: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল

0
Updated: 1 week ago
পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
পাকিস্তান
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র
-
পাকিস্তান সৃষ্টির দীর্ঘ ৯ বছর পর শাসনতন্ত্র বিশেষজ্ঞগণ প্রথম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন।
-
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয়।
-
এটি ছিল পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র।
-
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদ পাকিস্তানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ধরনের শাসনতন্ত্র গ্রহণ করে।
-
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা শাসনতন্ত্র বিলে সম্মতি দেন।
-
মোট ১০৫ পৃষ্ঠার এ শাসনতন্ত্রে একটি প্রস্তাবনা, ১৩টি অংশ, ২৩৪টি বিধি এবং ৬টি তালিকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ছাড়াও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার উল্লেখ ছিল।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 2 months ago
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
মুক্তিযুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো।
⇒ সেক্টরগুলো:
- ১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম,
- ২নং সেক্টর: ঢাকা, নোয়াখালী, ফরিদপুর ও কুমিল্লার অংশবিশেষ,
- ৩নং সেক্টর: কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ,
- ৪ নং সেক্টর: মৌলভীবাজার ও সিলেটের পূর্বাংশ,
- ৫নং সেক্টর: সিলেট ও সুনামগঞ্জ,
- ৬নং সেক্টর: রংপুর, দিনাজপুর,
- ৭নং সেক্টর: রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা,
- ৮নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর,
- ৯নং সেক্টর: খুলনা, বরিশাল,
- ১০নং সেক্টর: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল,
- ১১নং সেক্টর: টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 2 months ago