কোন মুঘল সম্রাটের নির্বাসনের মধ্য দিয়ে ভারতে মুঘল শাসনের চূড়ান্ত অবসান ঘটে?
A
দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
B
আহমদ শাহ বাহাদুর
C
দ্বিতীয় শাহ আলম
D
আওরঙ্গজেব
উত্তরের বিবরণ
ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বাবরের হাত ধরে যে সাম্রাজ্যের সূচনা হয়েছিল, তা কয়েক শতাব্দী ধরে ভারতীয় উপমহাদেশকে শাসন করেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে রাজনৈতিক দুর্বলতা, বহিঃশত্রুর আক্রমণ এবং ইংরেজ শক্তির উত্থানের কারণে এই সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।
-
১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট জহিরউদ্দিন বাবর কর্তৃক ভারতবর্ষে মুঘল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
পরবর্তীতে তার উত্তরসূরীরা এটিকে সর্বভারতীয় সাম্রাজ্যে রূপান্তরিত করেন।
-
বাবর থেকে আওরঙ্গজেব পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৫২৬ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ সময়কালকে মুঘল শাসনের স্বর্ণযুগ বলা হয়।
-
১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
-
১৭০৭ থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত প্রায় দেড়শ বছরের সময়কে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের যুগ বলা হয়।
-
১৮৫৭ সালে শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরকে ইংরেজরা নির্বাসিত করলে মুঘল সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটে।
-
সামগ্রিকভাবে মুঘল পতনের জন্য রাজনৈতিক দুর্বলতা, অর্থনৈতিক সংকট ও বহিঃআক্রমণকে দায়ী করা হয়।
-
বিশেষত পারস্য সম্রাট নাদির শাহ এবং পরবর্তীকালে আফগান রাজা আহমদ শাহ আবদালী দিল্লি আক্রমণ ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যকে দুর্বল করে তোলে।
-
এই দুর্বল পরিস্থিতির সুযোগে ইংরেজ শক্তি ক্রমে ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটায়।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বিজয়ী হলে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরকে রেঙ্গুনে (বার্মা) নির্বাসিত করা হয়।
-
দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের নির্বাসনের মধ্য দিয়েই ভারতে মুঘল শাসনের চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা -
Created: 1 month ago
A
ওয়াজির
B
সুবাহদার
C
ফৌজদার
D
শিকদার
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
- মুঘল শাসনব্যবস্থা এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী ছিল।
- এই শাসনব্যবস্থা ছিল প্রধানত সামরিক শক্তি নির্ভর।
- একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া অন্যসব কর্মচারিকে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি রচিত হয় তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।
- মুঘলরা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিল।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস ছিলেন 'পাদশাহ' বা সম্রাট।
- তিনি একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রধান বিচারক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন।
- সম্রাটের পরই প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান ছিল।
- বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু শাসনের জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো 'সুবাহ' বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।
- সুবাহদার ছিলেন সুবাহর প্রধান কর্ম নির্বাহক।
- মুঘল আমলে প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় এবং প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল।
- ফৌজদার ছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা।
- শিকদার ছিলেন পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা।
0
Updated: 1 month ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
ফৌজদার
B
শিকদার
C
সুবাহদার
D
ওয়াজির
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী এবং প্রধানত সামরিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল। একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া সকল কর্মকর্তা সামরিক দায়িত্ব পালন করতেন। মুঘল শাসনব্যবস্থার মূল কাঠামো তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে গঠিত হয়।
-
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক শাসন: মুঘলরা শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিলেন
-
ক্ষমতার উৎস: ‘পাদশাহ’ বা সম্রাট ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার কেন্দ্র, একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান ও প্রধান বিচারক
-
প্রধান কর্মকর্তা: সম্রাটের পর প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান
-
প্রদেশ বিভাজন: সাম্রাজ্যকে ‘সুবাহ’ বা প্রদেশে ভাগ করা হয়
-
সুবাহদার: সুবাহর প্রধান নির্বাহক
-
প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় বিভক্ত
-
প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত
-
ফৌজদার: সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা
-
শিকদার: পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা
-
0
Updated: 1 month ago