কাজী নজরুল ইসলাম কোন কবিতা রচনার জন্য কারাবরণ করেন?
A
বিদ্রোহী
B
প্রলয়োল্লাস
C
আনন্দময়ীর আগমনে
D
নারী
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা রচনার জন্য কারাবরণ করেণ।
- ৭৯ লাইনের বৃটিশ বিরোধী এই কবিতাটিতে নজরুলের ক্ষুব্ধ মনের প্রকাশ পাওয়া যায় জ্বালাময়ী শব্দের অন্তরালে।
- 'ধূমকেতু' পত্রিকার পূজা সংখ্যায় 'আনন্দময়ীর আগমনে' (২৬ শে সেপ্টেম্বর, ১৯২২) কবিতাটি প্রকাশিত হলে কাজী নজরুল ইসলাম কুমিল্লা থেকে ৮ই নভেম্বর গ্রেফতার হন।
----------------------------
• কাজী নজরুল ইসলাম:
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’।
- কাজী নজরুল ইসলাম আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
কাজী নজরুল ইসলাম রচনাসমগ্র:
• উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা (বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপান্যাস),
- মৃত্যুক্ষুধা,
- কুহেলিকা।
• গল্পগ্রন্থ:
- ব্যথার দান,
- রিক্তের বেদন,
- শিউলিমালা।
• নাটক:
- ঝিলিমিলি,
- আলেয়া
- মধুমালা (গীতিনাট্য)
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
- দুর্দিনের যাত্রী,
- যুগবাণী,
- রুদ্র মঙ্গল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন সাহিত্যকর্মটি বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত?
Created: 1 month ago
A
রমজানের ঐ রোজার শেষে (গান)
B
বিদ্রোহী (কবিতা)
C
চল্ চল্ চল্ (কবিতা/গান)
D
কারার ঐ লৌহ-কপাট (গান)
বাংলাদেশের রণসঙ্গীত ও কাজী নজরুল ইসলাম
-
রণসঙ্গীত: বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা হলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
-
চল্ চল্ চল্: তাঁর কবিতা ‘চল্ চল্ চল্’-এর ২১ লাইন বাংলাদেশের রণসঙ্গীত হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত।
-
গৃহীত তারিখ: ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি, বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রণসঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
-
প্রকাশ: মূলত এটি ‘নতুনের গান’ শিরোনামে ঢাকার ‘শিখা’ পত্রিকা-তে ১৯২৮ (১৩৩৫ বঙ্গাব্দ) সালে প্রকাশিত হয়। পরে নামকরণ হয় ‘চল্ চল্ চল্’।
-
অন্তর্ভুক্তি: নজরুলের ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থেও এই সঙ্গীত অন্তর্ভুক্ত।
-
সঙ্গীতের তাল ও ছন্দ: দাদরা তাল অনুসৃত।
-
প্রথম কয়েকটি লাইন:
"চল্ চল্ চল্!
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ দল- ..."
এই রণসঙ্গীত জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের সাহিত্যে ও সঙ্গীতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের কোন গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত হয়নি?
Created: 1 month ago
A
অগ্নিবীণা
B
বিষের বাঁশি
C
ভাঙার গান
D
চন্দ্রবিন্দু
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মের মধ্যে বেশ কিছু গ্রন্থ ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে কিছু গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ করা হলেও শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়নি। নিচে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
-
যুগবাণী: এটি ছিল প্রবন্ধ গ্রন্থ এবং নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ বই। 'নবযুগ' পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি নিবন্ধ একত্র করে এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২৩ নভেম্বর ১৯২২ সালে ফৌজদারি বিধির ৯৯এ ধারায় ব্রিটিশ সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে (গেজেট নং ১৬৬৬১পি)। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বইটিকে ভয়ংকর বলে আখ্যা দেওয়া হয়, কারণ এতে উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ১৯৪৭ সালে।
-
বিষের বাঁশি: এটি একটি কবিতাগ্রন্থ। ২২ অক্টোবর ১৯২৪ সালে (মতান্তরে ২৪ অক্টোবর) গেজেট ঘোষণায় (গেজেট নং ১০৭২পি) বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয় ২৭ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে।
-
ভাঙার গান: আরেকটি কবিতাগ্রন্থ, যা ১১ নভেম্বর ১৯২৪ সালে নিষিদ্ধ করা হয়।
-
প্রলয়শিখা: ১৯৩০ সালের আগস্টে প্রকাশিত এই কবিতাগ্রন্থটি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ সালে নিষিদ্ধ করা হয় (গেজেট নং ১৪০৮৭পি)। এতে থাকা ‘যতীন দাশ’, ‘পূজা অভিনয়’, ‘হবে জয়’, ‘জাগরণ’, ‘নব ভারতের হলদিঘাট’ প্রভৃতি কবিতাকে রাজদ্রোহমূলক আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
-
চন্দ্রবিন্দু: এটি একটি গানের সংকলন বা গীতিগ্রন্থ। ১৪ অক্টোবর ১৯৩১ সালে এটি নিষিদ্ধ হয় (গেজেট নং ১৭৬২৫)।
এছাড়া নজরুলের আরও কিছু গ্রন্থ যেমন অগ্নিবীণা, সঞ্চিতা, ফণিমনসা, সর্বহারা, রুদ্রমঙ্গল বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে অগ্নিবীণা গ্রন্থের কিছু অংশ বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত কবিতা সেন্সরের শিকার হয়েছিল।
বিশেষত ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় প্রকাশিত নজরুলের রাজনৈতিক কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকার পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ করে এবং কবিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ১৯২২ থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ নিষিদ্ধ হয়েছিল—যুগবাণী, বিষের বাঁশি, ভাঙার গান, প্রলয়শিখা ও চন্দ্রবিন্দু। এর মধ্যে প্রথম নিষিদ্ধ বই ছিল যুগবাণী এবং সর্বশেষ নিষিদ্ধ গ্রন্থ ছিল চন্দ্রবিন্দু।
0
Updated: 1 month ago
‘এ কোন্ পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়’- গানটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
D
লালন শাহ
কাজী নজরুল ইসলামের কুমিল্লা অবস্থান ও অসহযোগ আন্দোলন
-
কুমিল্লা থেকে নজরুল দৌলতপুর গ্রামের আলী আকবর খানের বাড়িতে কিছুদিন অবস্থান করেন। এরপর ১৯ জুন কুমিল্লায় ফিরে ১৭ দিন অবস্থান করেন। তখন অসহযোগ আন্দোলন কুমিল্লায় উত্তপ্ত ছিল।
-
নজরুল কুমিল্লায় বিভিন্ন শোভাযাত্রা ও সভায় যোগ দিয়ে নিজস্ব সুরারোপিত স্বদেশী গান পরিবেশন করেন। তাঁর গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
‘এ কোন্ পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়’
-
‘আজি রক্ত-নিশি ভোরে / একি এ শুনি ওরে / মুক্তি-কোলাহল বন্দী-শৃঙ্খলে’
-
-
এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কলকাতার সৌখিন গীতিকার ও গায়ক নজরুল কুমিল্লায় অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় হন এবং পরাধীনতার বিরুদ্ধে জাগরণী গান রচনা ও পরিবেশন করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের কিছু বিখ্যাত গান:
-
ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী
-
বাজাও প্রভু বাজাও ঘন
-
বন্দীর মন্দিরে জাগো দেবতা
-
জাগো জাগো বধূ জাগো নব-বাসরে
-
কে যাবি পারে আয় ত্বরা করি
0
Updated: 1 month ago