'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'- এর রচয়িতা কে?
A
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
B
চণ্ডীদাস
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
ভারতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
“ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী” কাব্যের সারসংক্ষেপ:
- ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈষ্ণব পদাবলির ধারার এবং ব্রজবুলি ভাষায় লিখিত একটি কাব্য।
- ১২৯১ সনে আষাঢ়ের মাঝামাঝি এ কাব্যটির প্রকাশকালে কবির নাম হিসেবে আখ্যাপত্রে লিখিত হয় ভানুসিংহ ঠাকুর। আর গ্রন্থটির প্রকাশক হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- প্রকাশকের বিজ্ঞাপনে বলা হয়: ভানুসিংহের পদাবলী শৈশব সঙ্গীতের আনুষঙ্গিক স্বরূপে প্রকাশিত হইল। ইহার অধিকাংশই পুরাতন কালের খাতা হইতে সন্ধান করিয়া বাহির করিয়াছি।
- ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' গ্রন্থে বর্তমানে মোট ২০টি পদ রয়েছে।
- উল্লেখযোগ্য কবিতা- মরণ, প্রশ্ন।
- ‘মরণ’ কবিতার বিখ্যাত পঙ্ক্তি: "মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান।"
উৎস: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী কাব্যগ্রন্থ।
0
Updated: 3 months ago
'বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য' গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
দীনেশচন্দ্র সেন
B
গোপাল হালদার
C
আহমদ শরীফ
D
সুকুমার সেন
আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, লেখক এবং মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান গবেষক।
তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন এবং তার লেখনীর মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা ও চিন্তাজগতকে সমৃদ্ধ করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য রচনাবলি:
-
‘বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য’ – আহমদ শরীফের প্রধান গ্রন্থ।
-
সাহিত্য সংস্কৃতি চিন্তা (১৯৬৯)
-
স্বদেশ অন্বেষা (১৯৭০)
-
জীবনে সমাজে সাহিত্যে (১৯৭০)
-
বিচিত্র চিন্তা (১৯৮৬)
-
স্বদেশ চিন্তা (১৯৯৭)
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
D
সুকুমার সেন
'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫) গ্রন্থের রচয়িতা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ । তাঁর ভাষা বিষয়ক অন্যান্য গ্রন্থসমূহ হলো - 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান '(১৯৬৫), 'ভাষা ও সাহিত্য' (১৯৩১), 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম খণ্ড - ১৯৫৩, ২য় খণ্ড - ১৯৬৫), 'বাংলা ব্যাকরণ' (১৯৫৮) ।
0
Updated: 3 months ago
কোনটি মুহম্মদ এনামুল হকের রচনা?
Created: 3 months ago
A
ভাষার ইতিবৃত্ত
B
আধুনিক ভাষাতত্ত্ব
C
মনীষা মঞ্জুষা
D
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
‘মনীষা মঞ্জুষা’ হচ্ছে ড. মুহম্মদ এনামুল হকের লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ।
অন্যদিকে,
-
‘ভাষার ইতিবৃত্ত’ রচনায় অবদান রেখেছেন ভাষাতাত্ত্বিক সুকুমার সেন।
-
‘আধুনিক ভাষাতত্ত্ব’ গ্রন্থটি ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ রচিত, যেখানে ভাষা ও সাহিত্যের নানা দিক বিশ্লেষিত হয়েছে।
-
‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ একটি ব্যতিক্রমধর্মী গ্রন্থ, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপভাষাগুলো সংগ্রহ ও সংকলন করা হয়েছে। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সম্পাদনায়।
মুহম্মদ এনামুল হক ছিলেন একাধারে বিশিষ্ট গবেষক, প্রজ্ঞাবান সাহিত্যিক এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষাবিদ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণাক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগামী ও অন্যতম শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত।
তিনি ১৯০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বখৎপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যে তাঁর গবেষণা ও সাধনার মূল উপজীব্য ছিল সত্য অনুসন্ধান ও ঐতিহাসিক চেতনার বিকাশ। বিশেষ করে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপির সন্ধানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
তাঁর রচনার মূল প্রেরণা ছিল সাহিত্য ও ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অতীত-বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে দেওয়া।
ড. এনামুল হকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি হলো:
-
আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (গবেষণামূলক; আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে যৌথ),
-
বঙ্গে সূফীপ্রভাব (গবেষণামূলক),
-
বাঙলা ভাষার সংস্কার (ভাষাতত্ত্বভিত্তিক),
-
মুসলিম বাঙলা সাহিত্য (গভীর গবেষণাধর্মী) ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও ‘মনীষা মঞ্জুষা’ গ্রন্থ।
0
Updated: 3 months ago