'লাঠালাঠি'- এটি কোন সমাস?
A
প্রাদি সমাস
B
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
উত্তরের বিবরণ
• বহুব্রীহি সমাস:
যে সমাসে পূর্বপদ বা পরপদ কোনােটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কিছু বােঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
• ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস:
যে বহুব্রীহি সমাসে দুটি একরূপ বিশেষ্য দিয়ে এক জাতীয় কাজ বোঝায়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন:
- লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ = লাঠালাঠি।
- কানে কানে যে কথা = কানাকানি।
- কোলে কোলে যে মিলন = কোলাকুলি।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ৷
0
Updated: 3 months ago
'ত্রিফলা' - কোন ধরনের সমাস সাধিত শব্দ?
Created: 3 weeks ago
A
উপমান কর্মধারয় সমাস
B
দিগু কর্মধারয় সমাস
C
উপমিত কর্মধারয় সমাস
D
রূপক কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাসের বিভিন্ন রূপের মধ্যে দিগু, উপমান, উপমিত এবং রূপক কর্মধারয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি রূপে পূর্বপদ ও উত্তরপদের মধ্যে অর্থগত সম্পর্ক ভিন্ন হয়, ফলে সমাসের ভাবও পরিবর্তিত হয়।
দিগু কর্মধারয় সমাস:
যেসব কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদ সংখ্যা নির্দেশ করে, সেগুলোকে দিগু কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
তিন ফলের সমাহার = ত্রিফলা
-
চার রাস্তার মিলন = চৌরাস্তা
উপমান কর্মধারয় সমাস:
যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাকে উপমান বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমানের সঙ্গে গুণবাচক শব্দের যোগে গঠিত সমাসকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
কাজলের মতো কালো = কাজলকালো
-
শশের মতো ব্যস্ত = শশব্যস্ত
উপমিত কর্মধারয় সমাস:
যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের সমাস হয়— একে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ
-
আঁখি পদ্মের ন্যায় = পদ্মআঁখি
রূপক কর্মধারয় সমাস:
যেসব কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমেয়ের অভেদ কল্পনা করা হয়, অর্থাৎ উপমানকে উপমেয়রূপে কল্পনা করা হয়, সেগুলোকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু
-
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি
0
Updated: 3 weeks ago
'লাঠালাঠি' শব্দটির সমাস -
Created: 4 months ago
A
দ্বন্দ্ব
B
বহুব্রীহি
C
কর্মধারায়
D
তৎপুরুষ
বহুব্রীহি সমাস হলো এমন একটি সমাস, যেখানে সমাসবদ্ধ পদ দুটির অর্থ সরাসরি বোঝানো হয় না; বরং এই সমাস অন্য কিছুর বা অন্য ব্যক্তির নির্দেশ করে। অর্থাৎ, সমাসের মিশ্র অর্থ নয়, বরং এতে ইঙ্গিত থাকে এক বহিরাগত বিষয়ের প্রতি।
🔸 সংজ্ঞা:
যে সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্মিলিত অর্থ অন্য কিছুর ইঙ্গিত দেয়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
📘 উদাহরণ:
-
চতুরানন = চারটি মুখ যাঁর — বোঝানো হয়েছে ব্রহ্মাকে।
-
ত্রিনয়ন = তিনটি চোখ যাঁর — বোঝানো হয়েছে শিবকে।
এখানে ‘চতুরানন’ বা ‘ত্রিনয়ন’ বললে মুখ বা চোখ বোঝায় না, বরং বোঝানো হয় এমন এক ব্যক্তিকে যার সেই বৈশিষ্ট্য আছে।
🔁 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস কী?
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হলো এক বিশেষ ধরণের বহুব্রীহি, যেখানে সমাসটি গঠিত হয় দুটি একরকম বিশেষ্য শব্দ দিয়ে, যা মিলে একজাতীয় কাজ বা পারস্পরিক আচরণ প্রকাশ করে।
🔸 সংজ্ঞা:
যে বহুব্রীহি সমাসে দুটি একরূপ বিশেষ্য শব্দ একত্র হয়ে একে অপরের প্রতি সংঘটিত কাজ বোঝায়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে।
📘 উদাহরণ:
| সমাস | বিশ্লেষণ | অর্থ |
|---|---|---|
| লাঠালাঠি | লাঠি + লাঠি | লাঠি দিয়ে একে অপরকে মারা (যুদ্ধ) |
| কানাকানি | কান + কান | কানে কানে ফিসফিস করে কথা বলা |
| কোলাকুলি | কোল + কোল | একে অপরকে জড়িয়ে ধরা (আলিঙ্গন) |
এই ধরণের শব্দে একই বস্তু বা অঙ্গের পুনরাবৃত্তি থাকে এবং তা পারস্পরিক কোনো কার্যক্রম নির্দেশ করে।
উৎস:
ভাষা-শিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 4 months ago
'অজমূর্খ' - শব্দটি কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
বহুব্রীহি সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
অব্যয়ীভাব সমাস
বাংলা ব্যাকরণে উপমান কর্মধারয় সমাস হলো সেই সমাস যেখানে কোনো বিষয়কে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। এ ধরনের সমাসে উপমানের সঙ্গে গুণবাচক শব্দ যুক্ত থাকে এবং সাধারণত পরপদ বিশেষণ হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
কাজলের মতো কালো → কাজলকালো
-
শশের মতো ব্যস্ত → শশব্যস্ত
-
অজের ন্যায় মূর্খ → অজমূর্খ
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago